ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রান নিতে এগুচ্ছিলেন, তখন হেসে উঠেছিলাম একজন অধিনায়কের এহেন অপরিপক্কতায়। পরক্ষণেই চিন্তিত হয়েছিলাম, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে ‘ভারত বিদ্বেষ ট্রাম্পকার্ড’ ঝলসে ওঠার সম্ভাবনা দেখে। তবে আশঙ্কাটি বলতে গেলে অমূলক রূপে দেখা দিল। ধোনির ‘ফাউল প্লেয়িং’ অথবা অ্যারোগেন্ট আচরণের রেকর্ড ক্রিকেট বোদ্ধাদের নিকট তেমন নেই। এ কারণেই খোদ ভারতীয় মিডিয়াই ধোনির আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। অনেকেই ধোনির এই বডি ল্যাংঙ্গুয়েজ মেলাতে পারেননি এতদিনের ধোনির সঙ্গে। ধোনির এই আচরণ ক্রিকেটের নয় এমনটাই স্পষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আলাপে।
বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই ছাপিয়ে গিয়ে আলোচনায় রেফারেন্স হয়ে উঠেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম, যাতে অকুণ্ঠচিত্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রশংসার ফুলঝুরি উড়ছে। ভারতীয় এনডিটিভি চ্যানেলের স্ক্রলিং–এ ধোনির ৭৫শতাংশ জরিমানার স্ক্রলিং বারবার আসছে-যাচ্ছে। সব মিলিয়ে খেলায় হার নয়, অধিনায়ক ধোনির অ-ক্রিকেটীয় আচরণই ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে হারিয়ে দিল।
স্ক্রিনে তাৎক্ষণিক রিপ্লে’তে ধোনির কনুইগুতোয় ছিটকে পড়া মুস্তাফিজুরকে দেখতে দেখতে এ-ও ভাবছিলাম, উনিশ বছরের পেসার ক্রিজের ঠিক ওইখানে কেন দাঁড়িয়েছিলেন? খচ খচ করা চিন্তাটা পরিষ্কার হলো আইসিসির জরিমানা সংবাদে। ধোনিকে জরিমানা করা ছাড়াও, ম্যাচ ফির ৫০শতাংশ জরিমানা করা হয় মুস্তাফিজকে। অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় খেলোয়াড় সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ধোনির জরিমানাকে স্বাগত জানাননি এবং তিনি একই সঙ্গে রানারের পথে মুস্তাফিজের দাঁড়ানোকে প্রতিবন্ধকতা বোঝাতে চেয়ে টুইট করেন। মূলত মুস্তাফিজের জরিমানার কারণও ছিল এটা, যা আইসিসি বোর্ডে মুস্তাফিজ মেনেও নেয়। ধোনির কনুই নিয়ে বাংলাদেশিরা যতটা আলোচনা করছে, মুস্তাফিজের দুবার রানারের পথ আগলে দাঁড়ানোকে ততটাই এড়িয়ে যাচ্ছে।
মুস্তাফিজ ধোনির দৌড় পথের ওপর উঠে এলেও ধোনির মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাকে কিছুটা পাশ কেটে যেতে পারতেন অথবা বড়জোর একটি স্বাভাবিক অনিবার্য সংঘর্ষ হতো দুজনের। খেলার ধারণকৃত দৃশ্য দেখলে সাদা চোখে বোঝা যাচ্ছে, ধোনির ধাক্কা উপায়হীন হয়ে নয়। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা রান নেওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুস্তাফিজকে নিয়ে। তারপরেও মুস্তাফিজকে এরপর ধোনির পথের মাঝে দাঁড়াতে দেখা গেল। স্লো-মোশনে দেখলে, সহজে বোঝা যাবে, ধোনি যে দৌড়ে আসছেন, সেটা মুস্তাফিজ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেছিলেনও, তথাপি তিনি তার অবস্থান থেকে সরে যাননি, বরং দাঁড়িয়ে ছিলেন। বল করার পর কিছুটা এগিয়ে এসে তার শারীরিক গতি এতটাও ছিল না যাতে মনে হতে পারে মুস্তাফিজ নিজের গতির ভারসাম্য রাখতে না পেরে ওই অবস্থানে, অর্থাৎ ধোনির দৌড়পথের মাঝে গিয়ে দাঁড়ান। যেমন করে ভারতীয় মিডিয়া স্ক্রলবারে প্রশ্ন রাখছে ‘Did MS Dhoni intentionally push Bangladesh bowler Mustafizur Rahman?’, আমরাও কি একইভাবে প্রশ্ন রাখতে পারি না, ’মুস্তাফিজ কি ইচ্ছাকৃতভাবেই দু’বার রানারের পথের মাঝে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল?’
মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হিসেবে সেদিন ঠাণ্ডা মাথায় কৌশলি হলে, তিনি মুস্তাফিজকে সামান্য এড়িয়ে রান নিতেন এবং অফিসিয়ালি কমপ্লেইন করতেন মুস্তাফিজের নামে। সেক্ষেত্রে আলোচনা আর এখনকার মতো থাকত না এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য বিষয়টা বিব্রতকর হতো। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ উত্তেজনা পরিস্থিতিকে খেলোয়াড়সূলভভাবে সামলাতে দেয়নি বলেই ধোনি নিজের ‘ত্রুটি’তে বিপাকে পড়েছেন এবং ঢাকা পড়ে গেছে মুস্তাফিজের ‘ভুল’।
এর আগে বাংলা ট্রিবিউনের একটা কলামে লিখেছিলাম, ‘আগামীতে বাংলাদেশ-ভারতের যেকোনও ম্যাচ ‘ইগোসেন্ট্রিক’ ম্যাচ হবে। বোঝা যাচ্ছে আগামীতে বাংলাদেশ-ভারতের যেকোনও ম্যাচের হার ও জিত কঠোর ‘প্রেস্টিজিয়াস’ হয়ে উঠবে। বোঝা যাচ্ছে আগামীতে বাংলাদেশ-ভারতের যেকোনও ম্যাচকে ঘিরে বিজ্ঞাপন ব্যবসা জমজমাট হবে।’ এই ম্যাচটি সেই ধারণাকে সত্য করল।
উপমহাদেশীয় রাজনীতি খেলাতেও প্রভাব রাখে এতে কোনও সন্দেহ নেই। এ কারণে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোর উত্তেজনা অ্যাকশন মুভির মতো হয়। ভারত-বাংলাদেশের রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড চালে আমরা ক্রিকেটে জয়ের স্বাদ নিয়ে আত্মতৃপ্তি খুঁজতে উদ্যত হয়েছি বহুবার। সর্বশেষ বিশ্বকাপে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিমদারের ভুল সিদ্ধান্তে আমাদের ভাগ্য বৈরী হওয়ায় ভারতকে এক হাত দেখে নেওয়ার প্রস্তুতি কেবল খেলোয়াড়দেরই ছিল তা নয়, ক্রিকেট ভক্ত আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কাররাও উত্তেজিত ছিল ভারতবধের প্রত্যাশায়। অর্থ্যাৎ কেবল জেতা নয়, ‘বদলা’ নেওয়ার চাপও ছিল আমাদের খেলোয়াড়দের ভেতরে।
বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস আরও আগেই মজবুত হয়ে উঠেছিল, পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই করে র্যাঙ্কিং নামিয়ে দেওয়ার পর বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধারা মাঠে বাংলাদেশ টিমের পোক্ত আসনকে বুঝে গিয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট অবকাঠামো, অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের চেয়ে পুরনো। এ কারণে তুলনামূলকভাবে পরের টিম বাংলাদেশের ধারাবাহিকভাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা ভারত-পাকিস্তানের একছত্র মাঠ দখলের ইতিহাসকে যখন কোণঠাসা করে দিতে থাকে, তখন তা মেনে নেওয়া সহজ হয় না অভিজ্ঞ দুটো দলের পক্ষে। ফলে শুরু হয় ইগো আর প্রেস্টিজের খেলা। ইগো আর প্রেস্টিজের খেলা মাঠের মূল খেলাকে ছাপিয়ে ওঠে। এই খেলায় খেলোয়াড় এবং দর্শক সকলেই চাপের মধ্যে থাকে। মুস্তাফিজ এবং ধোনির আচরণ কি তবে সেই ইগো ও প্রেস্টিজ উদ্ধার ‘চাপের’ পরিণতি?
বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের মিডিয়ার ঝুঁকে থাকা অবস্থানের কারণে এবার বিশেষ কোনও হল্লা সৃষ্টির সুযোগ না হলেও, শেষ পর্যন্ত উপমহাদেশীয় রাজনীতির কাছে ক্রিকেট পরাস্ত হলই। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বেলার সরফরাজ নওয়াজ বোধকরি মাঠ-গ্যালারি-ফেসবুক উত্তপ্ত করতেই বাংলাদেশের জয়কে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা যেমন করে অভিযোগ করে যে ভারত চায়না বাংলাদেশ ক্রিকেটে আগে বাড়ুক, তেমন করে সরফরাজ নওয়াজও বলেন ভারত চায়না পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলুক। সুতরাং, আগামির বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের যে কোনও খেলা খেলার মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়েও আরও বেশি কিছু অর্থ বহন করবে, এটা আবারও স্পষ্ট। আর মাঠ যত উত্তপ্ত থাকবে, বাণিজ্য হবে তত।
ক্রিকেট পুরোদস্তুর একটি কর্পোরেট হাউজ । এখানে ‘উত্তেজনা’ই বিজ্ঞাপনের আবেদন। ক্রিকেট উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ‘ডাইরেক্ট ভাইঙ্গা দিমু’ অথবা ‘ব্যাম্বু ইজ অন’ এর মতো আরবান স্ল্যাং -ও মুখে মুখে জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে উঠছে। ওদিকে ‘মওকা মওকা’ আর এদিকে ‘ব্যাম্বু…’, মাঝে কেবল নিপাট বাণিজ্য।
শেষ পর্যন্ত যদি টিম স্পিরিট আর স্পোর্টিং স্পিরিটকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে প্রত্যেক টিমকে ‘সাদা’ খেলা খেলতে হবে মাঠে। তাতে হার হোক অথবা জিত। ‘ক্যাপটেন কুল’ হিসেবে পরিচিত ধোনি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেই এখন সমালোচনরার মুখে পড়ছেন বেশি। মুস্তাফিজ তরুণ ও নবাগত বলে তার আচরণগত ভুল কম আসছে আলোচনায়। কিন্তু শুদ্ধি কেবল ধোনির জন্যই প্রযোজ্য হবে তা নয়। নিশ্চয়ই আমরা বারবার অন্য দিকে দোষারোপের আঙুল তুলব না। কারণ আত্মসমালোচনার দায়িত্ববোধ এড়িয়ে যাওয়াটা আমাদের ক্রিকেটের ইমেইজের জন্য ইতিবাচক হবে না। নিশ্চয়ই আমরা যে কোনওভাবে জিততে অনিচ্ছুক। আমরা সকল খেলোয়াড়ের কাছে, প্রত্যেক ক্রিকেট টিমের কাছে, আম্পায়ারের কাছে, এমনকি আইসিসির কাছেও, শতভাগ খেলা প্রত্যাশা রাখি।
***
প্রকাশিত: বাংলা ট্রিবিউন, জুন ২১, ২০১৫
মাহ্তাব মুহাম্মদ বলেছেনঃ
” নিশ্চয়ই আমরা যে কোনওভাবে জিততে অনিচ্ছুক। আমরা সকল খেলোয়াড়ের কাছে, প্রত্যেক ক্রিকেট টিমের কাছে, আম্পায়ারের কাছে, এমনকি আইসিসির কাছেও, শতভাগ খেলা প্রত্যাশা রাখি।”
আইরিন আপু,আপনার এই কথাটিই সমস্ত কথার মূল কথা,সমস্ত দাবির মূল দাবি।এ বিষয়টাতে বোধ হয়,সকলেই একমত হবেন।
আমরা কোনো হলুদ ক্রিকেট খেলতে চাই না।হার-জিত যা-ই আসুক,সাদা ক্রিকেটেই অভ্যস্ত হতে চাই।
আর মুস্তাফিজুরের বিষয়টা নিয়ে যদি বলি,তবে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারেই আনকোরা।যে ম্যাচটাতে সে ধাক্কা খেলো,সেটাই তাঁর জীবনের প্রথম ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ।এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতা নাই বললেই চলে।তাঁর ক্রিজের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা বোধ হয়, এই অনভিজ্ঞতার-ই ফল।অপরদিকে ধোনি পুরোপুরি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটা প্লেয়ার।তাঁর কাছ থেকে এরুপ কনুই শক্তির প্রভাব খাটানোটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।তাঁর উচিত ছিল ক্রিকেটসুলভ আচরণটাই করা, যা তিনি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে এক্ষেত্রে মুস্তাফিজুরকে কিছুটা ছাড় দেয়াটা দোষের কিছু নয়।যেহেতু সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একদমই বাচ্চা।তাঁর জায়গায় পুরোনো কোনো প্লেয়ার হলে,নিশ্চয় ছাড় দেয়াটা যুক্তিযুক্ত হতো না।তাই মুস্তাফিজুরকে ছাড়টুকুন দেয়া-ই যায়।
কিন্তু তার মানে এই নয়,ভবিষ্যতেও সে এ রকম কিছু আবার করুক।আমরা ভবিষ্যতে এই অনিচ্ছাকৃতভাবে করা ভুলটার পুনরাবৃত্তি কখনোই দেখতে চাই না।সেইসাথে ধোনির মতো প্লেয়ায়ের কাছ থেকে গরীবসুলভ আচরণটাও প্রত্যাশা করি না।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
খেলায় খেলোয়ারসুলভ আচরন- ই কাম্য সকল খেলোয়ারের নিকট। আর অভিজ্ঞ সিনিয়রদের নিকট জুনিয়র খেলোয়ার শিখবে ভালো আচরণ ও কৌশলগত নিয়ম। ইন্টারন্যাশনাল খেলায় শাদা খেলাই সবাই দেখতে চাই। ধোনীর মতো একটা অভিজ্ঞ খেলোয়ারের কাছে একদমই মাঠে নতুন অল্প বয়সী প্লেয়ারের বুঝে বা না বুঝে দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে যাবার উপায় ছিলো। যাহোক, হার-জিতের খেলাতে খেলোয়াররা সকলে পরিচ্ছন্ন খেলবে এমনটাই সবাই চাই। সময়োচিত জরুরী বিষয় তুলে ধরেছো আইরিন, অনেক ধন্যবাদ।
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেছেনঃ
ভারতের ক্রিকেট পুরোটাই রাজনীতির আবর্তে ঘুরছে। খুব প্ল্যান করে দেশের মাটিতে সিরিজ খেলে খেলে ক্রমাগত আইসিসি রেটিং বাড়িয়েছিল দলটি। পরে রেটিং এ ১নং হবার পর যখন তারা বাইরে ট্যুর শুরু করল তখন একের পর এক সিরিজ হারা। তাও একেবারে ৪-০, ৪-০ করে। সেই সাথে ওয়ান ডে সিরিজ ও। ধনির বিরুদ্ধে কথা বলবে কার সাধ্যি। শ্রিনি আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে ক্যাপ্টেন কুল তখন দোর্দন্ড প্রতাপে ছড়ি ঘুরাচ্ছিলেন, সেদিন আনন্দ বাজার পত্রিকায় পড়লাম স্বয়ং ডানকান ফ্লেচার কেও ধনীর কথা শুনতে হত।
এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শ্রিনি বিদায় নেয়াতে ধনি আছে চরম বেকায়দায়। ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ধনি, ইন্ডিয়া সিমেন্ট, শ্রিনি, তার মেয়ের জামাই (নামটা মনে নাই) এদের নেক্সাস টা পরে সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।
আজকে র শেষ ম্যাচ টা যখন আপামর বাংগালি সমর্থক রা বাংলা ওয়াশ দেখতে হাজির হয়েছে তখন ক্যাপ্টেন ম্যাশ টসে জিতে অভাবনীয় ভাবে ফিল্ডিং এর সিধান্ত নিল তখন ভাবলাম এটা কি হল!!! যেখানে স্পিনার রা ইকনমিক বোলিং করার পরও সাকিব বা নাসিরের কোটা শেষ না করান। এবং জেনেশুনে পেসার দিয়ে বল করিয়ে ৩ জন মিলে ২০০ র বেশি রান দেয়া। এসবই কেমন যেন ভারতের হাতে ম্যাচটা তুলে দেয়া। যেন সিরিজ টা নিয়েই খালাস। ভারত কে হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে রেহাই দেয়া।
এরপর প্রাইজ দেয়ার সময় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রির অনুপস্থিত থাকা। যিনি পাকিস্থানের সাথে খুব উল্লাস করে শেষ ম্যাচ টি উপভোগ করে লম্বা সময় ধরে পুরষ্কার বিতরনে উপস্থিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। অবশ্য দেশের বাইরে থাকলে এটা অন্য কথা। কটু ভাষ্যে বললে এটাই বুঝায়, বিজিত ভারতীয় দলের সামনে উল্লসিত প্রাইমিনিষ্টার নিজেকে হয়ত বেমানান ভেবেছেন। এসবই আমার হাইপোথিসিস। উপমহাদেশিয় ক্রিকেট রাজনিতির বাইরে আমরা কেউই যেতে পারছিনা।