
সাম্বা নৃত্যখ্যাত ব্রাজিলে প্রথমবারের মত একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা অধিগ্রহণ করায় দুনিয়া জুড়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। খোদ ব্রাজিলেও এই নিয়ে কুঞ্চিত থেকে ঝাকড়া অথবা বাবড়ি চুলচেরা বিশ্লেষণের অভাব নেই। আমাদের জন্য এই খবর বিশেষ উৎসাহব্যাঞ্জক নয়। নারী ক্ষমতায়ণ প্রসারণের যুগে রক্ষণশীল বাংলাদেশের পদচারণা শুরু হয়েছে সে বহু বছর। দু’জন নারী সাগ্রহে আমাদের ভাল-মন্দ দেখেশুনে রাখার ভার নিতে সেই যে কোমর বেঁধে রাজনীতির মাঠে নামলেন তারপর থেকে জনগণ বাধ্যগত দর্শক হয়ে গেল তাদের খেলার। খেলার মধ্যে মধ্যে তত্বাবধায়ক রেফারীর বাঁশি বাজলে মধ্যবর্তী বিরতী নিয়ে দুই নারী খেলার মাঠে নিজেদের অবস্থান অদলা-বদলি করে নেন। খেলা চলে আবার। রাজনীতির খেলা বড় চমকপ্রদ। এখানে রানও চলে। গোলও চলে। লাল কার্ড, হলুদ কার্ড ছাড়াও চলে ট্রাম্প কার্ড।
যা হোক ফিরে আসি ডিলমা রু্সেফের (উচ্চারণ ভেদে রৌসেফ) কাছে। যিনি একজন অর্থনীতিবিদও বটে। আমাদের নারী শাসক দু’জন অবশ্য প্রথমত, দ্বিতীয়ত, তৃতীয়ত এবং শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদ। এদের একজন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত থাকতে পছন্দ করেন। অন্যজন ডক্টরেট ডিগ্রী ধারণ করে চলেছেন একের পর এক।
দীর্ঘসময় ধরে জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখা সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার যোগ্য উত্তরসূরি হলেন রুসেফ। আমাদের এখানে আমরা একজনকে পেয়েছি পিতার উত্তরসূরি হিসেবে । অন্যজনকে পেয়েছি স্বামীর উত্তরসূরি হিসেবে।
জয় ঘোষনার পর কান্না বিজড়িত কণ্ঠে জনতার সামনে রুসেফ বলেন , এখন থেকে আমি পুরো ব্রাজিলবাসীর প্রেসিডেন্ট। আমরাও আমাদের নেত্রীদের চোখে টলটলে অশ্রু দেখেছি। কেউ ভোট চাইতে এসে কেঁদেছেন। কেউ ক্যান্টনমেন্টের বিলাশ বহুল গৃহ হারিয়ে গুলশানের এপার্টমেন্টবাসী হওয়ায় কেঁদেছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত পরাজিত হোসে সেররা (উচ্চারণভেদে হোসে সিরা, জোসে সেরার ইত্যাদি) অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দি ডিলমা রুসেফকে। বলেছেন, আমি গর্ব সহকারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছি। যারা ভাবছেন, আমরা পরাজিত তাদের জন্য বলছি, আমরা কেবল সত্যিকারের যুদ্ধ শুরু করেছি। এরকম বুদ্ধিজীবি বক্তব্যের সাথে বাংলার জনগণ দীর্ঘদিন পরিচিত না। কারণ আমরা জানি, হেরে গেলে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে স্থুল অথবা সূক্ষ নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগমূলক বক্তব্য দিতে হয়।
আমরা যখন প্রত্যাশা করছি, এবার বুঝি দুই নেত্রী অবসরে যাবেন তখন ৬২ বছর বয়স্কা ডিলমা সবে তার প্রেসিডেন্ট দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করে নতুন প্রত্যাহ্বানের মুখোমুখি। ডিলমা রুসেফকে নিয়ে শিক্ষা, দারিদ্র ক্ষেত্রে ব্রাজিলবাসি যখন আশার আলো দেখছে, তখন আমরা একের পর পর অন্ধকার দেখছি।
ব্রাজিলে হর্ষধ্বনি চলছে ওলে ওলে ওলে·· লুলা··· ডিলমা··· আর আমাদের দেশের জনগণের গলায় মাছের কাঁটার মত আটকে যাওয়া দুই নারীকে নিয়ে মাতম ধ্বনি হায় খালেদা! হায় হাসিনা!
ডাকপিয়ন বলেছেনঃ
আরে বাব্বা! একেবারে শীতের সবজির মতো তাজা তাজা অনুভূতি ঢেলেতো উঠোন ভরিয়ে ফেললেন। চমৎকার লেখনী আপনার। বিশ্বাস করুন দাড়ি-কমাসহ পড়েছি।
হায় হাসিনা! হায় খালেদা!!
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
ধন্যবাদ ডাক পিয়ন। আপনিও বিশ্বাস রাখুন যে আপনার কথা আমি বিশ্বাস করেছি।
ওলে ওলে লুলা… ওলে ওলে ডিলমা।
টুটুল বলেছেনঃ
ওলে ওলে লুলা… ওলে ওলে ডিলমা।
🙂
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
হায় খালেদা ! হায় হাসিনা!
হামিদা আখতার বলেছেনঃ
আইরিন আইসা পড়লাম। চেহার সুরত দেখি ভালা লাগছে। আলাপ-সালাপ দেখি ভালো জমছে এখানে। ভালো থেকো
তোমাকে ধন্যবাদ
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
বাহ! বাহ ! এবার জমবে মজা! ব্লগে স্বাগতম তোমাকে চিটি’পু।
মামুন ম. আজিজ বলেছেনঃ
সবাই কিন্তু এক বাক্যে হায় হাসিনা বলছে না
আবার সবাই এক বাক্যে হায় খালেদা বলছে না।
সেটা বলতে পারলে আমরা জাতি হিসেবে অনেক উপরে উঠে যেতাম তড়াক করে।
ভাগ বেসিক্যালি তিনটে
১. একদল কেবল অন্ধের মত ওহ! হাসিনা , আর হায়! খালেদা
২. এক দল কেবল অন্ধের মত ওহ! খালেদা, আর হায়! হাসিনা
৩. আরেকদল …দুটোর মিক্সড আপ
এ যে বারো ভেজালের জাতি
surid বলেছেনঃ
শুধু হায় খালেদা! হায় হাসিনা! নয়। আরো রয়েছে অনেক পা-চাটা ধান্ধাবাজ—-তাদেরও বলুন????