বিএনপির ক্রান্তিকালে খালেদার চ্যালেঞ্জ

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 25 July 2011, 06:54 AM
Updated : 15 June 2015, 10:26 AM

আন্দোলন গড়ে তোলার দু দুটি মরিয়া প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর দেশের অন্যতম শাসক দল বিএনপি সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা কী বলছেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, বিএনপি নিজে তার বিষয়ে কী বলছে। এমন তো নয় যে, বিএনপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা বা দলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলছেন না।

একটি জাতীয় দৈনিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম নেতা, সাবেক এক সেনাপ্রধান খোলাখুলিভাবে বলেছেন, 'যুদ্ধে' তারা হেরে গেছেন। ক্ষমতাসীনরাও বলতেন, দেশে একটি যুদ্ধ চলছে। এটাও তারা জোর দিয়ে বলতেন যে, এতে পক্ষ-বিপক্ষ ছাড়া মাঝামাঝি অবস্থান গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। যাহোক, কথিত এ যুদ্ধে ক্ষমতাসীনরা জিতেছেন একাধিকবার। বিএনপি নেতারাও এটা স্বীকার করেন বা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং নবগঠিত সরকারের বছরপূর্তির মুহূর্তে আন্দোলন গড়ে তোলার বেপরোয়া প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপির রণে ভঙ্গ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল দেখবার মতো। প্রথমবার নির্বাচনের পরপরই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এর নেত্রী খালেদা জিয়া। পরে অবশ্য বলা হয়, সেটি ভুল হয়েছিল। পরে নতুন করে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে তারা যোগ দেন সরকার আয়োজিত সিটি নির্বাচনে। সরকারের কর্মকাণ্ডে ওটা থেকে দ্রুত সরে দাঁড়িয়ে বিএনপি কিন্তু ন্যূনতম কর্মসূচিও দেয়নি। জানি না, এটাকেও পরে 'ভুল' বলে বর্ণনা করা হবে কিনা।

যেনতেন উপায়ে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও বড় রকম ভুল ছিল কিনা, সেটা অবশ্য দলটির নেতৃস্থানীয় কেউ এখনও বলেননি। উভয় আন্দোলনেই পেট্রোল বোমার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া এবং নাশকতায় নিরীহ মানুষ ও অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি নিশ্চয়ই কোনো দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ড ছিল না। আন্দোলন অদৃষ্টপূর্বভাবে এমন একটা দিকে চলে যাওয়ার পরও বেগম জিয়া সেটা থেকে সরে আসার পদক্ষেপ নেননি। তিনি সম্ভবত মনে করছিলেন যে, সাফল্য অর্জিত হয়ে গেলে লোকে এসব মনে রাখবে না। দু দুটি একই ধরনের প্রচেষ্টায় 'সাফল্য' অর্জন করতেও তিনি পারেননি।

ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে, নাশকতাময় আন্দোলনে প্রবাসে অবস্থানরত তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির দ্বিতীয় নেতার উৎসাহ ছিল বেশি। তা সত্য হলেও বেগম জিয়া এর দায় এড়াতে পারেন না। তৃণমূল পর্যন্ত তাঁর দলের নেতাকর্মীরা এখন যে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন, সেটি ওই ধরনের আন্দোলনে ব্যর্থতার পরিণতি বলতে হবে। এ মুহূর্তে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তারাও এর সুযোগ নিতেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা তো এ দুশ্চিন্তায়ও রয়েছেন যে, সরকার পুরো মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারলে তাদের না আরও কত চাপ সহ্য করতে হয়!

বিএনপির ভেতর থেকে এ কথাটা অবশ্য উঠেছে যে, জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে চলা এবং বিশেষত আন্দোলনে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া দলটির জন্য সুফলদায়ক হয়নি। ২০০১এ ক্ষমতায় ফিরে এসে বেগম জিয়া কার্যত বিএনপি-জামায়াত মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। ওই শাসনামলে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ঘটনা ঘটে, যেটির দমনে তাঁর সরকারকেই শেষে কঠোর মনোভাব নিয়ে নামতে হয়। দেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় বিদ্রোহীদের কাছে দশ ট্রাক যুদ্ধাস্ত্র পাচারের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনাও তখন ধরা পড়ে।

বৃহত্তম প্রতিবেশি ভারতের প্রশাসন এতে চিন্তিত হয়ে পড়ে খুব। আন্তর্জাতিকভাবেও বিশেষত বিএনপির ভাবমূর্তি মলিন হয়ে পড়ে। দেশের ভেতর ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় তাঁর সাজিয়ে রাখা প্রশাসনের পতন এবং পরে নির্বাচনেও বিএনপির পরাজয় ঘটে করুণভাবে। দলটির কেন্দ্রে অবস্থানকারী জিয়া পরিবার এর ভেতর দিয়ে আক্রান্ত হয় গভীরভাবে। জানি না, নিকট অতীতের এসব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বিএনপিতে আলোচিত হচ্ছে কিনা। বাইরে কোনো সাড়াশব্দ কিন্তু পাচ্ছি না।

বিএনপিতে এ মুহূর্তে তিনটি বিষয় বেশি আলোচিত হচ্ছে। তা হল, দল গোছানো বা পুনর্গঠন; জামায়াত বিষয়ে নতুন কৌশল কী হতে পারে এবং গতানুগতিক ভারতবিরোধী অবস্থান বা ইমেজ থেকে সরে আসা।

সাংগঠনিকভাবে বিএনপি কখনও শক্তিশালী ছিল না। তবে ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে তার ওপর যে চাপ যাচ্ছে, তাতে এক ধরনের ধারাবাহিকতা রয়েছে। আন্দোলনে উপর্যুপরি ব্যর্থতাজনিত চাপও এসে পড়েছে তার ওপর। এ অবস্থায় দল ধরে রাখাই যে মুশকিল, সেটা বিএনপির কোনো কোনো নেতার কথাবার্তায় কিন্তু স্পষ্ট। এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী, তাদের সরিয়ে দেওয়ার কথাটা অবশ্য উঠছে দলের বাইরে থেকে। জানি না, ভবিষ্যতে ভেতর থেকেও এমন দাবি উঠবে কিনা। ওয়ান-ইলেভেনের পর দলে সংস্কারের দাবি যারা তোলেন, তারা অবশ্য সফল হননি। দলটির ভেতরকার পরিস্থিতি এখন তার চেয়ে ভালো মনে হয় না।

দলীয় একটি জমায়েতে বিএনপি নেত্রী খুব সম্প্রতি বলেছেন, ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। চলতি বছরের মধ্যে দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর রয়েছে। কাউন্সিল ছাড়াও বেগম জিয়া দলীয় নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে কেউ তাঁকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। তিনি তো আর নিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সেটা গৃহীতও হবে না আমাদের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে। তবে পুত্র তারেক রহমানের বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং প্রমাণ দিতে পারেন যে, দলের সিনিয়র নেতাদের মর্যাদা ও কর্তৃত্বদানে তিনি প্রস্তুত।

দল ধরে রাখার আর কোনো পদ্ধতি রয়েছে কিনা, সেটাও বেগম জিয়া চিন্তা করে দেখতে পারেন। দল গুছিয়ে নতুন করে আন্দোলন রচনাপূর্বক মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায় করে নেবে বিএনপি, সেটা বোধহয় একটু দূর কল্পনা এখন। বিএনপির সর্বস্তরে এমন ধারণা বরং ছড়িয়ে পড়েছে যে, সরকার যে করে হোক মেয়াদ পূর্ণ করবে। এ অবস্থায় টিকে থাকতে পারলেই হল। বিএনপির তো জনসমর্থন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার প্রতি সহানুভূতি বাড়লেও অবাক হওয়া যাবে না। বেগম জিয়াও হয়তো এটা জানেন। তবে তাঁর মনে শঙ্কা রয়েছে যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনটাও না ৫ জানুয়ারির মতো হয়!

জনসমর্থন দিয়ে তিনি কী করবেন, যদি তাঁর দলটি ভেঙে যায় বা ভেঙে না গেলেও ভোটবাক্সে জনসমর্থনের প্রতিফলন ঘটাতে না পারেন? এটা তো সত্য যে, দুই সিটি নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা গিয়ে হাজির হওয়ার সাহসটুকুও দেখাতে পারেননি। মাসের পর মাস টানা সহিংস আন্দোলনের পরিণতিও ছিল এটা। এ ক্ষেত্রে শুধু সরকার ও প্রশাসনকে দোষারোপ করে দায় সারতে চাইলে বিএনপির লোকজনও তা মেনে নেবেন না।

এ অবস্থায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী 'জিয়ার রাজনীতিতে' ফিরে যাওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটাও বাস্তবসম্মত মনে হয় না। তিনি একই সঙ্গে জামায়াত পরিত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন এ জন্য যে, দেশে-বিদেশে এখন জঙ্গিবাদীদের পরিহারের চাপ বেড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে পৃথক নিবন্ধ রচনা করা যেতে পারে। এখানে শুধু এটুকু বলি, জিয়ার রাজনীতি জামায়াত তথা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও চরম দক্ষিণপন্থা-বিবর্জিত ছিল না। পঁচাত্তরের পর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান আমাদের ইতিহাসে ভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, এটা বি চৌধুরীর পক্ষে বলা অবশ্য কঠিন।

এও বলতে হবে, বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি একটা নতুন পরিস্থিতি তথা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও ভেতরে-বাইরে অনেকখানি বদলে গেছে এর মধ্যে। এতে ইতি ও নেতি দুটোই রয়েছে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় আমরা দেখতে পেলাম, দেশের প্রধান সব রাজনৈতিক দল তাঁকে স্বাগত জানাল বিপুলভাবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দিলেন সবাই। বিএনপির পরিবর্তিত ভূমিকা এ ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে সবার নজর কাড়ল।

ভারতের বিষয়ে বিএনপির মনোভাব এখন এতটাই 'ইতিবাচক' যে, দেশের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়ে দুটো কথা বলতেও তারা যেন ইচ্ছুক নন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে খুবই তৎপর ছিল বিএনপি এবং এতে সফল হয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেগম জিয়া। ভারতীয় প্রশাসনকে তারা বোঝাতে সচেষ্ট যে, অতীতে 'ভুল' হয়েছিল বা ভুল বোঝাবুঝি। বিএনপি ভারত বা হিন্দুবিদ্বেষী নয় বলেও প্রচার করা হচ্ছে।

বিএনপি কী বা বিএনপির রাজনীতি এতদিন কোন ধারায় প্রবাহিত হয়েছে, সেটা তার বিরোধীদের মতো দলটির সমর্থকরাও জানেন। তারা কেবল বুঝতে চাইছেন, কেন বিএনপিতে এ পরিবর্তন। এ ধারায় দলটি কতটা অগ্রসর হতে চাইবে বা পারবে, সেটাও তারা চিন্তা করে দেখছেন। দেশে ভারতবিরোধী রাজনীতি বা এ-সংক্রান্ত মনোভাব কিন্তু রয়ে গেছে। এখন বিএনপি এটা নাড়াচাড়া করতে না চাইলে অন্য কোনো দল বা গোষ্ঠী সেখানে এগিয়ে আসতে পারে। তাতে বিএনপি বিপাকে পড়বে কিনা, এটিও ভেবে দেখার বিষয়।

ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে বিএনপি সরকার, বিশেষত তার অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ভূমিকা ছিল না, তা কিন্তু বলা যাবে না। সে ধারায় পরে আরও অগ্রগতি হয়। ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট, এমনকি করিডোর প্রদানের মতো বিষয়েও এখন বিতর্ক করতে উৎসাহী নয় বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউএর মতো ভারতকে বরং তারা বোঝাতে চাইছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই এবং এ ক্ষেত্রে দেশটি যেন কাঙ্ক্ষিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

বিএনপির জন্য সমস্যা হল, বিজেপি তথা মোদি সরকারও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার দ্রুত বিস্তারে উৎসাহী। মোদি সাহেব বহুল আলোচিত সফরটির মাধ্যমে হাসিনা সরকারের প্রতি কার্যত সমর্থনই প্রকাশ করে গেছেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে একত্রে কাজ করার বিষয়ে মোদির বক্তব্যও গভীর ইঙ্গিতবহ। এটা আবারও প্রকাশ পেয়েছে এবং বিএনপিও বুঝতে পারছে যে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে ভারতের।

ভারতের আস্থা অর্জন করতে হলে বিএনপিকে সম্ভবত আরও অনেক কিছু করতে হবে। দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা বিএনপির আস্থা একেবারে তলানিতে নামিয়ে দেয় ভারতীয় প্রশাসনের কাছে। ২০০১এর নির্বাচনের আগে-পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর বড় রকম নির্যাতনের ঘটনাও তৈরি করে দলটির নেতিবাচক ইমেজ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশের ব্যবস্থা করে আর মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে উদগ্রীব হয়ে দ্রুত সে অতীত মোছা যাবে না।

বিএনপির জন্য সেটা বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। তার নাছোড় সমর্থকরা এতে বিরক্ত হতে পারেন দলটির ওপর, যারা তার নীতি ও কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টই ছিলেন। জামায়াতের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের বিষয়েও তাদের কিন্তু আপত্তি করতে দেখা যায় না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে আনুপাতিকভাবে এদের সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে? বিএনপি পারে এ বিষয়ে একটা জরিপ চালিয়ে দেখতে।

দলটি কাদের ধরে রাখতে আর কাদের জয় করতে চায়, সেটা চিন্তা করে দেখতে পারে। এ মুহূর্তে তার মধ্যে যেটি প্রকাশ পাচ্ছে, তা হল প্রবল হতাশা। হতাশার কারণেই অস্থিরভাবে কিছু চিন্তা ও তৎপরতায় যুক্ত হচ্ছে দলটির নেতৃত্ব, যা তার জন্য লাভজনক হচ্ছে না। বিএনপির ভেতর সরকারের লোকজন ঢুকে পড়েও হতাশা বাড়িয়ে তুলছে বলে অনেকের পর্যবেক্ষণ। এর দায়ও বিএনপি নেতৃত্বকেই নিতে হবে। যেসব কর্মী 'দৌড়ের ওপর' রয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই এর দায় নেবেন না।

দল হিসেবে বিএনপি যে একটা ক্রান্তিকালে ঢুকে পড়েছে এবং এর অবিসংবাদিত নেত্রী যে একটি অচেনা চ্যালেঞ্জের মুখে, এটাই বোধহয় স্পষ্ট করে বলা যায় এ মুহূর্তে।