ছবির হাট তেতে উঠেছিল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে!

আইরিন সুলতানাআইরিন সুলতানা
Published : 21 April 2012, 03:19 PM
Updated : 21 April 2012, 03:19 PM

ভূমিকাটা নানাভাবে দেয়া যায়। শুরুটা এভাবেই হোক; যেমন… আমার আজকাল বিস্ময় জাগে অহরহ – এই যে একগুচ্ছ নতুন ব্লগারের সাথে হরদম কারণে-অকারণে যোগাযোগ হয়ে ওঠা! পুরনো ব্লগার হিসেবে আবু সুফিয়ান এর নাম অনেক আগেই শুনেছি, কিন্তু কোনভাবেই পরিচয়, কিংবা ন্যূনতম ব্লগিয় যোগাযোগ ছিল না। বলতে গেলে গত বছরই, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম অফিসের মিটিং রুমে সামনা-সামনি দেখা। ওটাই প্রথম বোধকরি … আসলে ওটাই প্রথম নি:সন্দেহে। কিন্তু কথা তেমন একটা হয়নি। সৌজন্যতা বিনিময় ছাড়া। অথবা ব্লগার জাহেদ-উর-রহমান, যিনি ২৬ মার্চে ব্লগারদের এক আড্ডায় প্রসঙ্গটা তুলেই বসলেন, ব্লগে তারই পোস্টে আমার আর তার মধ্যেকার সেই ঝড়ো তর্কের কথা। আশার কথা আমরা এখন পর্যন্ত পুনরায় পরস্পরের বিরুদ্ধে নতুন কোন তুলোধুনো তর্কে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে উঠতে পারিনি! সোহেল মাহমুদ, মাহবুবুর রহমান এদের সাথেও সামনা-সামনি প্রথম পরিচয় গত ২৬ মার্চের ব্লগ আড্ডায়। আরিফ হোসেন সাঈদের প্রসঙ্গটাও এই ফাঁকে তোলা জরুরী। বিপিএল নিয়ে আমার এক পোস্টে ছেলেটা আচমকা একগাদা জ্ঞান কপচে দিয়ে গেল আমাকে!

বিস্ময়ের বেশির ভাগই ছিল ভার্চুয়্যাল, কিন্তু আমার বিস্ময়ও বিস্মিত হয়েছিল যখন এইসব অল্পসল্প পরিচিত, তর্কে-বিতর্কের যোগাযোগে থাকা ব্লগাররা, নিজেদের নিয়ে মেতে থাকার বদলে, ৮ এপ্রিলের তেজোদ্দীপ্ত সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে রাষ্ট্রের নিরুত্তাপ আচরণ আর জড়িত অপরাধীর বিচারের দাবিতে এক সাথে, একই উৎকণ্ঠায়, একই দাবিতে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান দিয়েছিল, পদযাত্রায় একই তালে পায়ে পা মিলিয়ে চলেছিল! সেটা ছিল ভীষণ রকম জ্যান্ত একটা বাস্তব। যেন ভার্চুয়্যাল জগতটাকে টেনেহিঁচড়ে তুলে আনা বাস্তবতার মঞ্চে!

আমার মাঝে মাঝে হাঁশফাঁস লাগে। আশংকা হয়, আমাদের সবকিছুই বুঝি ভার্চুয়্যাল নির্ভর হয়ে যাচ্ছে- সম্পর্ক, যোগাযোগ, চিন্তার সীমানা, প্রতিবাদের ভাষা, দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি যূথবদ্ধতা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সমাজে আমরা সোশ্যাল হওয়ার পদ্ধতিগত ইঁদুর-দৌড়ে লিপ্ত হয়ে উঠতে গিয়ে বাস্তবে 'আন-সোশ্যাল' হয়ে যাচ্ছি; বলা ভাল হয়ে গেছি। অবশ্য আমার বিচরণ ক্ষেত্র আড়ে-বহরে অধিক বিস্তৃত নয়। তাই আমি শতভাগ নির্ভুল বিশ্লেষণের দাবি তুলি না। তবে ভাবনাটা অ-বাস্তব নয়, এ নির্দ্বিধায় বলতে পারি। কিন্তু আমি ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছি, বলা চলে হয়েছি। এখনো অসংখ্য মানুষ আছে, যারা আসলে, 'ম্যান অফ এ্যাকশন'। নতুন-পুরনো ব্লগারদের নতুনভাবে চেনা-জানার চক্রে আমার বারেবারেই তাদের 'ম্যান অফ এ্যাকশন' মনে হচ্ছিল। কোন বাগাড়ম্বর নেই। গাঁইগুই নেই। যা কথা, তা কাজ!

ব্লগার বললেই একটা বিপ্লবি গন্ধ নাকে লাগে, একটা সচেতন অবয়ব ভেসে ওঠে চোখে। তবে যারা ব্লগার নন, তারা? আসলে 'ম্যান অফ এ্যাকশন' চরিত্রের মানুষগুলো নি:সন্দেহে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে – ক্যাম্পাসে, ছবির হাটে, রাজু ভাস্কর্যের চত্বরে, সমাজের বিভিন্ন স্তরে, অলিতেগলিতে। এরা ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন কর্মে-পেশায় – ৯-৫টা অফিসজীবীর ভেতরে কিংবা পরীক্ষার চাপে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া শিক্ষার্থীর ভেতরে। এদের কেউ কেউ হয়ত ব্লগার। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই মুখ্যত সচেতন নাগরিক। এ কারণেই এরা ক্রমাগত মিশে যাচ্ছে একে অপরের সাথে। কাঁধে কাঁধ মেলাচ্ছে একে অন্যের। যে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়েছিল ব্লগাররা, তাতে একে একে সাধারণের সাড়া বাড়তে থাকায়, সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকায় আমি বিস্ময়াবিভূত হয়ে যাচ্ছি! আমার হারানো বিশ্বাস পুনর্জন্ম নিচ্ছে, আমাদের কণ্ঠ পৌঁছে যাবে বধির প্রশাসনের কান পর্যন্ত। আমরা বলিষ্ঠ পায়ে হেঁটে যেতে পারব, প্রশাসনের দরজা পর্যন্ত।

গত ৮ এপ্রিল ব্লগারদের কর্মসূচী ভিন্নভাবে হওয়ার কথা ছিল – সাংবাদিকদের সাথে। কিন্তু তারা দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এক মাসের জন্য প্রতিবাদ স্থগিত করে দেয়ায়, ব্লগাররাই নেমে পড়েছিল প্রতিবাদে। সেদিনের সমাবেশ শেষে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে, ১৫ এপ্রিল প্রথম বারের মত পালিত হয়েছিল ব্লগ বিরতি বা ব্লগ ব্ল্যাক আউট। ব্লগারদের প্রস্তাব মত, ১৬ এপ্রিল থেকে ব্লগে একটি ভাসমান প্রতিবাদ ব্যানার দেখানো হচ্ছে, যা দেখা যাবে ৫ মে ২০১২ পর্যন্ত।

তৃতীয় কর্মসূচী ছিল, ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করা। ফটো সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকে সাগর-রুনির পারিবারিক মুহূর্তের ছবি পাওয়া গিয়েছিল সময়মত। ৮ এপ্রিল হওয়া ব্লগারদের প্রতিবাদ সমাবেশের ছবিও যুক্ত হল এর সাথে। ব্লগারদের তৈরীকৃত প্রতিবাদ ব্যানারগুলো সারিবদ্ধভাবে ছবির হাটে জায়গা করে নিল। যত সহজে বলছি বিষয়টা তত সহজে মোটেও হয়নি। স্বীকার করতেই হবে, আমি নিজে ব্যক্তিগত কাজের ব্যস্ততায় প্রচণ্ড সময় স্বল্পতায় ভুগছিলাম বলে অনেক খোঁজখবর ঠিক মত নিতেই পারছিলাম না। ফোনেও সময়মত সাড়া দিতেও অপারগ হচ্ছিলাম। তবে এর চেয়েও সত্যি হল, কোথাও একটা গাঢ় নির্ভরতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, স্বল্প পরিচিত ব্লগারমুখগুলোকে ঘিরে। ফলে ওদিকটা নিয়ে নিশ্চিত থেকে আমার ফাইনাল পরীক্ষার চাপে প্রাণপাত করছিলাম। জানতাম, ওরা পারবে। পেরেছেও। যদিও ১৯ তারিখ রাতে ফোনে কথা বলে বুঝতে পারছিলাম, ব্লগার সোহেল মাহমুদের উপর দিয়ে ধকল যাচ্ছে বেশ। কিন্তু এ নিয়েও তার হাসিমুখের বয়ান পড়ে আবারও বিস্ময়ে আপ্লুত হয়েছি

২০ এপ্রিল ছবির হাটে আমি কিছুটা দেরিতেই পৌঁছেছিলাম। দুপুরে। রোদের নীচে তখনও দাঁড়ানো সোহেল মাহমুদ, জাহেদ-উর-রহমান। অদূরেই কৌশিক আহমেদ, জাগো বাগে জাগো, মাহবুবুর রহমান। একটা টেবিলে উপর রাখা প্ল্যাকার্ডের উল্টো পিঠে কিছু হাতের লেখা নজরে এল। পড়ে দেখলাম, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে, বিচার প্রসঙ্গে। ব্লগারদের এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবাদের দাবিকে জনসম্পৃক্ত করা। চলতে-ফিরতে দর্শনার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়াচ্ছিলেন ছবিগুলোর সামনে, ব্যানারের স্লোগান পড়ে দেখছিলেন, কথা বলছিলেন ব্লগারদের সাথে। তাদের বক্তব্য শুনতে গিয়ে সেগুলোকে লিখিত আকারে সংকলিত করার কথা ভাবে উপস্থিত ব্লগাররা। এরপর একে একে ৩-৪টা বড় বড় প্ল্যাকার্ড ভরে উঠছিল হতাশা-প্রত্যাশা-ক্ষোভ-দাবি মিশ্রিত নাগরিক প্রতিক্রিয়ায়।

হয়ত ব্যক্তিগত কাজেই এদিকটায় এসেছিলেন কবি ও ব্লগার মুক্তি মণ্ডল। কবি মুক্তি মণ্ডলের সাথে তারই কোন এক কবিতা পোস্টে কিভাবে যেন কথায় কথায় কথার ফাঁদে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেল, যার জন্য আমি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। উনি বিনয়ী মানুষ, তবুও কিভাবে যেন একটা তর্ক লুপে ফেঁসে গিয়েছিলাম আমরা। বিষয়টা আমকে এপাশে ব্যথিত করছিল, কিন্তু আমি ততক্ষণে অমোঘ লুপেরে ফাঁদে তর্ক চালিয়ে যাচ্ছি। তবে শেষ অব্দি সাদা পতাকা তুলে যে যার মত মৌন থেকেছি। ঘটনাটা বেশ আগের। দেখা এর আগেও এক-দু'বার হয়েছিল বটে, তবে সেই অস্বস্তিকর ঘটনার পর ছবির হাটে তার সাথে দেখাটাই প্রথম। মুক্তি মণ্ডল ছবির হাট প্রাঙ্গনে ব্লগারদের সাথে জুড়ে নিলেন তিনি নিজেকে আন্তরিক দায়িত্বশীলতায়। সাথে ছিলেন একেবারে বিকেল পর্যন্ত। কখনো বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অনাস্থা দেখিয়েছেন। কখনও, সাধারণের প্রতিবাদ দেখে সম্ভাবনার আলোয় উজ্জীবিত হচ্ছেন। উনি তার অজান্তেই আমাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন। মনে মনে ভাবছিলাম, এই দেখা হওয়াটা আক্ষরিক অর্থেই জরুরী ছিল বুঝি আমার জন্য।

আবু সুফিয়ানকে পেলাম দুপুরের পর পর। তারপর আরো বেশ কিছু ফটো সাংবাদিকরাও এলেন। আর দর্শনার্থীদের আনাগোনা তো চলছিলই। ভেতরের মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষ করে একটা দল হাতে ব্যাট-উইকেট নিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়ে ছবি দেখল, স্লোগান পড়ল। এভাবে আনোগোনা চলছিল, বাড়ছিল …।

খাওয়া দাওয়া পর্বটা ছবির হাটেই হয়ে গেল ব্লগারদের। পড়ন্ত দুপুরে ছবির হাটে ক্ষুধার্ত কাক আর মানুষের সারি। ছবির হাট উঠোনের কোণায় থাকা ভাতের রেস্টুরেন্ট রমরমা চলে। ওখান থেকেই ভাত-মুরগী-গরুর মাংসের প্লেট নিয়ে ক্ষুধার্তদের কাতারে আমরাও বসে গেলাম একে একে।

ব্লগার মাহফুজুর রহমান মানিকের আসার কথা ছিল দুপুরের পর পর। তিনি এসেছিলেনও তাই। এদিকে ছোট একটা সমস্যা ছিল, প্রিন্ট আউট করা মন্তব্যগুলো কিভাবে চটের ব্যাকগ্রাউন্ডে সাঁটানো যায়? ওই সময়ে দোকান খোলা ছিল কিনা সেটাও বুঝতে পারছিলাম না আমরা। ফোনে সামান্য অস্বস্তি নিয়েই মাহফুজুর রহমান মানিককে অনুরোধ করলাম, আলপিন, স্কচ টেপ, স্টাপলার নিয়ে আসা যাবে কিনা। মানিক ঠিক ঠিক সব নিয়ে এসে ছিল। ব্যাস, করিৎকর্মা ব্লগাররা দেরি না করে সাথে সাথে মন্তব্যের কাগজগুলো একটার সাথে একটা জুড়ে সেঁটে দিল চটের ব্যাকগ্রাউন্ডে। কয়েক মিনিটেই কাজ শেষ!

ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ২০ এপ্রিলেই আলোচনা করার প্রস্তুতি ছিল না আমাদের। কিন্তু একজন যখন জানতে চাইল, আপনাদের এরপরের পদক্ষেপ কী, তখন উত্তরের প্রস্তুতি নেয়াটা জরুরী বোধ করলাম আমার। প্রশ্নকারী ততক্ষণে অবশ্য নিজের পরিচয় দিয়েছেন। পরিচিত হতে হতে আমাদের সকলের চেহারায় স্বাগত অভিব্যক্তি ছিল স্পষ্ট। সোহেল মাহমুদ এর পোস্টে গত ২০ এপ্রিল, রাত ১:৫৮ -তে প্রকাশিত জুয়েল এ রবের ছোট্ট মন্তব্যটা অনেকেই পড়েছিলেন। চারুকলার শিক্ষার্থী জুয়েল ছবির হাটে আসার কথা জানিয়েছিলেন সে মন্তব্যে। আমরা প্রত্যেকেই মনে মনে ভাবছিলাম, সেই মন্তব্যকারী কি আদৌ আসবেন? অথবা এলেও কি পরিচিত হবেন? সেই জুয়েলের সাথে আমরা এমনভাবে আলাপে নিমজ্জিত হলাম, যেন তিনি সেই কবে থেকেই আমাদের সাথে রয়েছেন! আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হতে সময় লাগলো না আর। উপরন্তু, এবার আমাদের সাথে যোগ দিতে যাচ্ছে চারুকলার কিছু শিক্ষার্থীরাও!

ছবি ক্যাপশন: দৈনিক প্রথম আলো, ২১ এপ্রিল ২০১২

বৈশাখের গনগনে সূর্য, গরম বাতাস, সরগরম ছবির হাট প্রাঙ্গন, এখান-ওখান থেকে উঁকি দেয়া ফুটন্ত টকটকে কৃষ্ণচূড়া – সবকিছুতেই যেন প্রতিবাদের সুর-রঙ মাখামাখি ছিল। ঠিক হল, সেই রঙে রাজপথ রাঙানো হবে এবার। রক্তের রঙ, ক্ষোভের রঙ, প্রতিবাদের রঙ মিলেমিশে রাজপথ সাক্ষী হয়ে ‍উঠবে প্রশাসনের ব্যর্থতার। জনগনের নিরাপত্তাহীনতার। ব্লগারদের পরবর্তী কর্মসূচী –

*******************
রোড পেইন্টিং – সাগর-রুনির রক্তে রাঙাব রাজপথ
শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১২
বিকাল ৪:০০টা
চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে শাহবাগ জাদুঘরের সম্মুখের রাস্তা পর্যন্ত।

*******************

২৭ তারিখ আমরা যারা আঁকতে পারিনা তারাও থাকব রাজপথে, তুলি হাতে অন্তত দাবির কথা লিখতে তো পারব। আমরা রাজু ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু করেছিলাম। তারপর ছবির হাটে জমায়েত হয়েছি। এরপর আসছি চারুকলা থেকে জাতীয় জাদুঘরের সম্মুখের রাজপথে। আমাদের আশেপাশে এখন আর কেবল আমরাই নই, হাতের উপর হাত বাড়ছে, কাঁধের পাশে কাঁধ শক্তিশালী হচ্ছে, মুখের পাশে মুখ জড়ো হচ্ছে। আমরা অনেকেই অনেককে প্রথমবারের মত চিনছি। জানছি। কিন্তু একটা জায়গায় আমাদের যোগাযোগ বহু পুরনো। আমরা সাধারণ নাগরিক। আমরা সচেতন নাগরিক। আমরা আমাদের নিরাপত্তা বুঝে নিতে একত্রিত হচ্ছি পুনরায়। আমরা প্রশাসনের ঘুম ভাঙাতে বদ্ধ পরিকর। আমরা থামবো না। আমরা এগুবোই …

The Spirit Never Dies!