পেট্রোল বোমা আর না, দায় এড়ানো যাবে না

মাহামুদুল এইচ
Published : 3 Feb 2015, 06:16 PM
Updated : 3 Feb 2015, 06:16 PM

পেট্রোল বোমার ধ্বংসলীলায় সাধারণ জনগণের জীবন যাচ্ছে। সাধারণ জনগণ কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে এবং পঙ্গুত্ব বরণ করছে। পেট্রোল বোমা আর না। সাধারণ জনগণ রাজনীতি বোঝে না। রাজনীতি করে না। জনগণ স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। নিরাপত্তা চায়।

ক্ষমতায় কিংবা ক্ষমতার বাহিরে সব রাজনিতিক দলগুলোর সমঝতায় আসা উচিৎ। বিরোধী দল কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের যেমন হরতাল অবরোধ করার অধিকার আছে আবার তেমনি ক্ষমতাসীন দলের প্রতিহত করার অধিকার আছে। তবে তাদের অধিকার পালন বা প্রতিহতের বলি সাধারণ জনগণ হতে পারে না? সব দলের উচিৎ সাধারণ জনগণের ক্ষতি হয় এমন কর্মসূচী থেকে বিরত থাকা। রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিন আবার নিরাপত্তার নামে অন্যায় ভাবে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলার মত ক্ষমতার অপব্যাবহার থেকে ক্ষমতাসীন দল বিরত থাকুন। দাবি যৌক্তিক হলে জনগণ সাড়া দিবে পেট্রল বোমা বা রাবার বুলেট, পেপার স্রেফ লাগবে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মানবিক মূল্যবোধ কীভাবে জাগ্রত হবে তা জনগণের জানা নেই। হাসপাতালগুলোর বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের কান্না আর আর্তনাদের ধ্বনি শুনেও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত না হলে জনগণ রাজনীতি থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

দেশ জনগণের। ক্ষমতায়ন জনগণের। ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলগুলো বলছেন আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছি। আবার ক্ষমতায় থাকা দল বলছেন আমরা জনগণের সাথে আছি। জনগণের নিরাপত্তা দিচ্ছি। তাহলে বার্ন ইউনিতে কান্না কেন? শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনিশ্চিত কেন? ব্যাবসায়িরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন কেন?। সাধারণ কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল মূল্যহীন হয়ে পড়ায় খাদ্য নিশ্চয়তা পাচ্ছে না কেন? ক্ষমতায় থাকা দলগুলো যদি জনগণের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হয়ে থাকে তাহলে তার দায় স্বীকার করা উচিৎ। জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই সরকার। দায় এড়িয়ে গেলে চলবে না।

ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলগুলো যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী দিতে না পারে, জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে জনগণ তাদের রাজনৈতিক আদর্শতলে আশ্রয় নিবে না। মনে রাখা উচিৎ সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। কোন কর্মসূচী দিয়ে নিজে কিংবা কোন অপশক্তিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ দিলে  জনগণ তাদের রাজনীতি থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

আর যেন লাশের সংখ্যা না বাড়ে। আর যেন মানুষ না পোড়ে । আর যেন কেউ পঙ্গুত্ব বরণ না করে। সকল রাজনৈতিক দলের উচিৎ কথার বুলি না ছুড়িয়ে আর যেন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চিত না হয়। আর যেন কোন ব্যবসায়ি পথে না বসে তার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া।