আমরা মানব জাতি। আমাদের যেমন জাতিগত কিছু বৈশিষ্ট আছে ঠিক তেমনি কাঁকড়ার ও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তবে এই বৈশিষ্টগুলোর মধ্যে কাঁকড়া ও মানব জাতির মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে।
বর্তমান আমরা মানব জাতি কাঁকড়ার মত লড়াই করতেছি সন্দেহের অবকাশ নেই। কাঁকড়াকে যেমন কোন একটি পাত্রে রেখে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে একটি কাঁকড়া উপড়ে উঠতে প্রাণপণ চেষ্ঠা করছে । অন্যদিকে অপর একটি কাঁকড়া নিচ থেকে তার পা ধরে টেনে হিঁচড়ে নামাচ্ছে। আবার একটি কাঁকড়া উপড়ে উঠতে চাইছে অন্য একটি কাঁকড়া তাকেও টেনে হিঁচড়ে নামাচ্ছে। এভাবে টেনে নামাতে নামাতে শেষ পর্যন্ত কেউ উপড়ে উঠতে পাড়ছে না। সভাবগত ভাবে কাঁকড়া এ কাজে বেশ পারদর্শী।
এবারে আমি কি বলতে চাইছি আপনি হয়ত বুঝে গেছেন। হা আমরা মানব জাতি পৃথিবীটাকে কাঁকড়ার ঐ পাত্রে পরিণত করে একজন আর একজনকে উপর থেকে নামানোর জন্য অনবরত টানছি। আর যতক্ষণ না নামানো যায় ততক্ষণ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত থাকছি। আর তা হোক একে অপরের প্রতি মিথ্যা অপবাদ, কটূক্তি , অশালীন বাক্য ব্যাবহার, অথবা চাপাতি বন্ধুকের ব্যাবাহার। কোনটাই যেন আজ আমাদের মানব জাতির কাছে কঠিন নয়। হানাহানি মারামারি অনবরত লেগেই আছে। কথা শুনলে মনে হয় বাক্যের শালীনতা যেন ফুঁড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর কোথাও যেন শান্তি নেই। আর তা হোক বিশ্বের উন্নত কোন দেশ অথবা বাংলাদেশ। এর ফলে যা হচ্ছে তা হল আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। জাতিগত ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। বেক্তিগত ভাবেও পিছিয়ে যাচ্ছি।
অনেক মুকুল ফুল হওয়ার আগেই ঝড়ে যাচ্ছে। আমরা কাঁকড়ার চরিত্রে ভর করে অভিনয় করতে গিয়ে আমাদের কাছের লোকজনের ক্ষতি করে ফেলছি জেনে ও না জেনে। তবে কাঁকড়ার চরিত্র অনেক ক্ষেত্রে মূর্খতা, গেয়মি সভাব, প্রলোভন, ঈর্ষাকাতরতা, বেকারত্য থেকেই বেশীরভাগ সময় আমাদের মাঝে ভর করে। হা, আমাদের দেশে বেকারত্য যেমন আছে ঠিক তেমনি বেকারত্য দূর করার পন্থাও আছে। আর মূর্খতা, ঈর্ষাকাতরতা দূর করার জন্য আমাদের নিজেদেরকে মনের দিক থেকে আরও বেশি উদার হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাহলেই কাঁকড়ার চরিত্র আমাদের মানব জাতির উপরে ভর করতে পারবে না। এখনি সময় আমাদের প্রত্যেকের কাঁকড়ার চরিত্রে অভিনয় থেকে বিরত থাকা। নয়ত অচিরেই প্রবল সঙ্কট দেখা দিবে। আসুন ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে সকল স্তরের আমরা সবাই আমাদের মানব জাতিকে বাঁচিয়ে রাখি।আমরা নিজেরা বাঁচি। আসুন ছোট ছোট আগুনের ফুল্কি থেকে এক হয়ে অগ্নিশিখা তৈরি করি। নিজেদেরকে সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলি।
মাহামুদুল এইচ, ঢাকা।