কালের ভিরে মানুষ আস্তে আস্তে তার খুব প্রিয় মানুষের প্রিয় স্মৃতি গুলোকে হারিয়ে ফেলে। এটাই মানুষের এক চরম ব্যর্থতা। আমরা সবাই স্বীকার করি আর নাই করি আমরা মানুষেরা ঠিক এই কাজটিই করি। আর এমনটি যদি নাইবা হবে তবে বৃদ্ধ বয়সেও অনেক পিতামাতাকে কেন বরণ করে নিতে হয় দু:সহ যন্ত্রনাকে? তবে আমার কথার মানে এই নয় যে সব মানুষই এমন করে থাকে। আসলে চারদিকের এত কষ্ট দেখতে দেখতে এখন সবাইকেই একই রকমের মনে হয়। তবে সেই সব মানুষেরা যারা এমন করে তারা কি কখনোই তাদের ভব্যিষৎ জীবনের কথা একবারও চিন্তা করেনা? তারাও তো এমনি ভাবেই কোন একদিন বৃদ্ধ হবেন! তাই নয় কি?
যাই হোক আসল কথায় আসি। আমাদের সবারই উচিৎ আমাদের অগ্রজদের যথাসাধ্য সম্মান দেখানো তা না হলে আমরাও যে আমাদের নবীনদের কাছথেকে সেই অধিকার আসা করতে পারবো না। আজ আমার ছোটবেলার একটি ঘটনা খুব বেশি মনে পরছে। ঘটনাটি হচ্ছে আমার বয়স তখন ১০ কি ১১ হবে, একদিন বাবার সাথে বাজারে যাচ্ছি। কিন্তু বাসা থেকেই বের হয়ে আবিস্কার করলাম যে ওই দিনের রোদ খুব ভয়ংকর আকার ধারন করেছে। দুর্ভাগ্যবশত ছাতা আর সংগে করে আনা হয়নি। তাই বলার প্রয়োজন নেই মনে হয় যে সূর্য যখন ক্ষেপে তখন তা কতটা ভয়ানক হয়। যাইহোক ছোট মানুষ তাই হাটছি রাস্তার এদিক সেদিক দিয়ে। কিন্তু কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম যে আমি যেই দিকে যাচ্ছি সেই দিকে আমাকে তারা করে ফিরছে একটি ছায়া। হ্যাঁ আমার বাবাই আমার সাথে এমন ভাবে হাঁটছিলেন যেন তার ছায়াটাই আমার উপর পরে যেন আমি রোদে কষ্ট না পাই। কিন্তু আজ জীবনের এই পর্যয়ে এসে বুঝতে পারছি সেটা আমার বাবার ছায়া ছিলনা! সেটা ছিল ভালবাসা, সেটা ছিল পিতৃস্নেহ, সেটা ছিল ভরসা। তাই আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে বাবা তোমাকে ভালবাসি। খুব বেশি ভালবাসি।