সচরাচর যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের কারণ হিসেবে দেখানো হয় ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা পেছানো অথবা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সেশনজট নামধারী ব্যাধির সঠিক কারণ কেউ নিরুপন করতে পারেনি। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশের সাথে সেশনজট কথাটা খুব একটা যায় না। কারণ রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতা বা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা পেছানোর সেই স্বভাব থেকে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই সরে এসেছে। তারপরও প্রতিবছর এই শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে হচ্ছে। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেভেল-১, সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থীরা অকারনে ২ মাসের জটে পড়ে। ওই সেমিস্টারে সরকারী ও বেসরকারী ছুটিই ছিল প্রায় ১০০ দিনের মত। অথচ সমমনা বাকী তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকই যথা সময়ে কোর্স শেষ করে। কিন্তু সেই জট থেকে কাটিয়ে উঠতে লেভেল-২, সেমিস্টার-১ এ যেন আর জটে না পড়তে হয় সেজন্য শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাস শেষ করে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলেও শিক্ষকেরা অকারণে ক্লাস নিচ্ছেন না। ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে ফিরে আসতে হচ্ছে। এমন কি ব্যাবহারিক ক্লাসও দিনের পর দিন পিছিয়ে চলেছেন শিক্ষকেরা। অল্প কিছু সিলেবাস বাকী থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের অবহেলার কারনে সেশনজটের কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তাহলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, সেশনজটের জন্য আসলে কারা দায়ী?
মাহমুদুল হাসান লিখন
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়