জেনেভা ক্যাম্পে সরকারি জমি দখল চলছে অবাধে সচিত্র প্রমাণসহ

লিনা বেগম
Published : 4 Nov 2012, 06:01 PM
Updated : 4 Nov 2012, 06:01 PM

জেনেভা ক্যাম্পে সরকারি জমি দখল চলছে অবাধে!

ঢাকার মোহাম্মদপুরে কয়েক লাখ অবাঙালি বাংলাদেশীর বাস। এদের বাসস্থানকে সাধারণ ভাবে বলা হয় জেনেভা ক্যাম্প। এই নামে এবং স্টান্ড্রেড পাকিস্তানি রিফুজি ক্যাম্প নামে বেশ কয়েকটি ৪/৫ তলা বিল্ডিংএ ভারতের বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা রিফুজিরা সেই পাকিস্তান-ভারত আযাদি থেকে বাস করছে। মানবেতর জীবনযাপন। এসব ক্যাম্প বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। জানা মতে_গণপূর্ত বিভাগ ও তৎকালীন ঢাকা পৌরসভা এসব জমি ও বিল্ডিংএর মালিক। ১০০ পার্সেন্ট সরকারী সম্পত্তি। ইতিপূর্বে আমি বিহারী ক্যাম্পের মেয়ে নামে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। মানবিক আবেদন ছিল সেটি। কিন্তু খুবই কষ্টের বিষয় সবাই তার মধ্যে পাকিস্তান ভারত দালাল রাজাকার প্রসঙ্গ টেনে এনে নানা মন্তব্য করেছেন। আমার লেখা কোন অপরাধ কিনা তেমনটাও বলতে চেয়েছেন অনেকে। তাই অনেকদিন লিখিনি। ভয় পেয়েছি। কি লিখি আবার কি অর্থ হয়। যাই হোক এবার সম্পূর্ন ভিন্ন প্রসঙ্গে লিখছি।

বর্তমানে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ বিহারী অবাঙালি আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশী নাগরিক। বাংলাদেশী ভোটার। জেনেভা ক্যাম্পের জমি তাদের নয়। স্টান্ডেড রিফুজি ক্যাম্প গুলো তাদের নয়। এসব গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি। অন্য ১০ বাঙালি যা; বিহারীরাও ঠিক তাই। তাদেরকে এভাবে আর চিড়িয়াখানার মত আটকে রাখার দরকার নেই। আমাদের আর জেনেভা ক্যাম্পে থাকার কোন যোক্তিকতা নেই। এখানে সরকারের প্রায় ২০০০ কোটি টাকার জমি রয়েছে। এই জমি সরকার এখন তাদের কোন মহৎ কাজে লাগাতে পারে। বাসস্থান করতে পারে সরকারি কর্মীদের জন্য। পার্ক করতে পারে মোহাম্মদপুর বাসীর জন্য। পিলজ,আমি খোলা মনে কথা গুলো বলছি। এই জমি সরকার জাতিসঙ্ঘের কাছে থেকে অধিগ্রহন না করায় এই জমি নিয়ে নানা খেয়োখেয়ি খুন কারাবি দখল বাজি হচ্ছে। যারা দখলবাজি করছে তারা ছিচকে মিসক্রিয়েন্ট-রাস্তার সন্ত্রাসী। এদের রাজনৈতিক পরিচয় বিশেষ নেই। এরা প্রয়োজনে বিএনপি; আবার ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ। সবসময় সরকারি দলের নাম করে গুন্ডামি পান্ডামি করে দখল বাজি করে। এতে দুর্নাম হয় সরকারি দলের। বাস্তবে এরা আওয়ামী বা বিএনপি নয়। এরা সত্যি সত্যি নিম্নমানের গুন্ডাপান্ডা। আমি বুঝি না স রকারি দল এসব গুন্ডাপান্ডাকে কেন দমন করে না। একননা এইসব গুন্ডাপান্ডার জন্য মাননীয় শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় কালিমা পড়ছে।

আমি আশা করবো ইউএসএ যুবলীগ আওয়ামী লীগ এই ব্যাপারে শক্ত ব্যাবস্থা নেবে। ঢাকায় এই ব্যাপারটা জানাবে। আওয়ামী লীগের ক্ষতি আমরা চাই না। অথচ অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শুনেছি এসব দখলদার রা বিএনপি ক্ষমতায় এলে রাতারাতি বিএনপি হয়ে যাবে। সুতরাং এদের অপকর্মের দায় মহাজোট কেন নেবে। আমার হাতে দখলবাজির কিছু প্রামান্য ছবি এসেছে। আমার বন্ধুরা কষ্ট করে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন। ছবি গুলো দখলবাজির। সরকারি জমি দখলের। যে জমির দাম কোটি কোটি টাকা। আমি ছবি গুলো পেস্ট করছি। বাবর রোড জহুরি মহল্লা এলাকার ছোটবটতলা নামক এলাকার স্ট্রান্ডেড পাকিস্তানি রিফুজি ক্যাম্পের জমি দখল করার ছবি। আশা করি সরকার তার সম্পত্তি রক্ষায় শক্ত পদক্ষেপ নেবে।

আবারও বলছি এই জমি বাংলাদেশ সরকারের। এগুলো পাকিস্তানের বা বিহারীদের নয়। এগুলো জাতিসঙ্ঘেরও নয়। সরকারের নিজস্ব ২০০০কোটি টাকার সম্পত্তি। সরকার চাইলে এখনই এসব জমি নিজেদের কব্জায় নিয়ে দেশ ও জাতির সেবায় কাজে লাগাতে পারে। এগুলো আর জাতিসংঘকে ভাড়া দেয়র কোন যুক্তি নেই। সে ভাড়াও অতি নাম মাত্র। রিফুজি পাকিস্তানিরা এখন বাংলাদেশী নাগরিক ও ভোটার হয়ে গেছে। তাই এই জমি এভাবে বেওয়ারিশ ফেলে রাখার কোন কারন দেখি না।