কিছু সমালোচনা ও ভালবাসা, জেনেভা ক্যাম্পের মেয়ের কৈফিয়ত-১

লিনা বেগম
Published : 8 Nov 2012, 07:27 PM
Updated : 8 Nov 2012, 07:27 PM

নিজেকে সত্যের পুজারী হিসেবে দাবির পবিত্র শপথে বিডি নিউজ বাংলা ব্লগে অতি সম্প্রতি লিখতে শুরু করেছি আমি। আমি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নগন্য একজন ভোটাধিকার প্রাপ্ত নাগরিক। অতি ক্ষুদ্র। অতি সামান্য। বাংলাও ভাল লিখতে জানি না। তারপরও বিডি ব্লগ আমাকে লেখার সুযোগ দেয়ায় আমার কৃতজ্ঞতার সীমা নাই। প্রথমে লিখেছিলাম জেনেভা ক্যাম্পের সুখ দুখ নিয়ে। এখন ঠিক করেছি এই রাষ্ট্র এই সরকার এই সমাজ এসবের পক্ষে আমি নিরপেক্ষভাবে লিখে যাব। আমাকে যত তুচ্ছ করা হোক আমি লিখে যাব। দেশের পক্ষে লেখা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার পক্ষে লেখা কোনভাবেই অন্যায় হতে পারে না। এজন্য যা ত্যাগ করা দরকার করবো।

আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই এখন আর এখন আর বিহারী বা তথাকথিত পাকিস্তানীদের জন্য জেনেভা ক্যাম্প বা স্ট্রান্ডেড পাকিস্তানী রিফুজি ক্যাম্প রাখার কোন যুক্তি নেই। বিহারীরা আর এখন এই দেশে রিফুজি নয়; স্ট্রান্ডেড নয় ;৯৫ শতাংশের বেশী এখন আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। ভোটার। আমরা পাকিস্তান চিনি না। আমরা পাকিস্তানে বিশ্বাস করি না। আমরা কখনো পাকিস্তানে যাই নি। আমরা পাকিস্তানের দালাল নই। আমরা পরিবারে ফেমিরিতে উদুৃ বররেও তা আর চোস্ত উর্দু নয়। তাতে বাংলা শব্দ প্রচুর ব্যবহার হয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতি সম্পূর্ন আনুগত্য শীল। আমার সোনার বাংলাকে আমি তমোকে ভাল বাসি। আমি আমার লেখা প্রতিটি অক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি ভালবাসা কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

এই দেশের সম্পদের রক্ষায় নগন্যভাবে কাজ করতে চাই। আমার জন্ম বাংলাদেশে। আমি পাকিস্তানী নই।
আমার লেখা __জেনেভা ক্যাম্পে সরকারি জমি দখল চলছে অবাধে সচিত্র প্রমাণসহ__
সোমবার ৫ নভেম্বর ২০১২, রাত ০:০১ সম্পচার করা;এটির প্রতিক্রিয়ায় সদাশয় পাঠক
তুষার বলেছেন:
সকাল ৫:১৭, মঙ্গলবার ৬ নভেম্বর ২০১২

আমি মোহাম্মদপুর স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। ছাত্রাবস্থায় আমরা যতদূর শুনেছি, জেনেভে ক্যাম্প যেখানে, সেই জায়গাটা আমাদের স্কুলের নিজস্ব জমি ছিলো। অনেক পুরনো শিক্ষক বলতেন এটা স্কুলের হকি খেলার মাঠ ছিলো। এক সময় মোহাম্মদপুর স্কুল হকি খেলার জন্য অনেক বিখ্যাত ছিলো

তুষার ভাইয়ের লেখা অতি সঠিক। তার কথা সত্য। জেনেভা ক্যাম্পের জমি সরকারি জমি। এটা বিহারী বা অবাঙালিদের নয়। বিহারীদের নাম ভাঙিয়ে একদল অবাঙালি মিসক্রিয়েন্ট দুষ্ট লোক এখানে মাদক সম্রাজ্য কায়েম করেছে। এখন তাই বিহারী ক্যাম্প মানেই যেন মাদক পল্লী। এটি যেন আউট ল এরিয়া। এটি কেন আউট ল এরিয়া হযে। আমরা যে বাংলাদেশী নাগরিক। এখানে বাংলাদেশের আইন চলবে না কেন!এখানে অপরাধী মাদক সম্রাট ছিনতাইকারীদের অভয়পল্লী থাকে কেন! এটি কেন মিসক্রিয়েন্টদের আখড়া থাকবে!!কেন এটি মিসক্রিয়েন্টদের রিজার্ভ এলাকা থাকেবে। কার স্বার্থে তা থাকবে।

ছোটবেলা বেলা থেকে দেখেছি বাবা চাচা মামারা খালি বাংলা মদ খেত। আর তাদের বউকে মেয়েকে বোনকে রান্ডি বেশ্যা বাজারি আউরত বলে সারাদিন গাল দিত। আমি জানি মাদক কত ভয়ংকর। মদ গাজা হিরোইন কত ভয়ংকর। মানুষকে তা পশু বানায়। মদ খেয়ে এরা খালি বউ পেটায়। আর নোংরা গালি দেয়।

এখন আর সেই দিন নাই। এখন তারা বাংলাদেশী নাগরিখ। তাদের সংরক্ষিত এলাকায় রাখার কোন মানে নাই। এই রিজার্ভ করার কারনেই এটি মদের গাজার হেরোইনের হাট আখড়া হয়ে আছে। বিহারী ক্যাম্প গুলোকে রিজার্ভ রেখে মাদক ব্যাবসা চালানোর কোন মানে নেই। রিজাভ বলেই এটা সন্ত্রাসী খুনিদের আখড়া। তাই বলি আর রিজার্ভ নয়। সরকারী সম্পদ সরকারের কাছে যাক। বিহারীদের জন্য কোন মাদক পল্লী বা মদের ঠিকানা;সন্ত্রাসীদের অভয়পল্লী দরকার নেই। তাদের জন্য দরকার সুস্থ ভাবে বাঁচার ঠিকানা।

আজ ২০০০ কোটি টাকা দামের জেনেভা ক্যাম্প রিফিউজি ক্যাম্প ঢাকার অপরাধের সোর্স বলে পরিচিত। সরকার কেন এটি টিকিয়ে রাখছে। বিহারীরা আর মাদক ব্যবসায়ী,ছিনতাই কারী খুনি ভাড়াটে সন্ত্রাসী অপবাদ নিয়ে বাঁচতে চায় না। তারা সাধারন বাংলাদেশী হিসেবে বাঁচতে চায়। মিরপুরে বেনারসি পল্লীর কথা সবাই জানেন। তারা তো সম্মানের সঙ্গে পরিশ্রম করে বাঁচেন। জেনেভা ক্যাম্প কেন চোরা কসাই;বাটপারদের ঠিকানা হবে। এটি সরকার ফিরিয়ে নিক। আমরা এই রিজার্ভ জাহান্নাম থেকে রেহাই চাই।