লজ্জা এবং ঘৃণা

লিনা জাম্বিল
Published : 1 Oct 2012, 05:20 PM
Updated : 1 Oct 2012, 05:20 PM

হুজুগে মানুষের ক্ষতি করা ধ্বংসলীলায় জড়ানো একটি জঘন্যতম কাজ যার ঘৃণা মুখে প্রকাশ করলেই হয়না । কোন ধর্মেই কাউকে ঘৃণা করার জন্য ক্ষতি করার জন্য বলা হয়না । প্রকৃত ধর্মানুরাগী যারা তারা কখনো কোন মানুষের ক্ষতি করতে পারেনা । মানুষকে ভালবাসার মধ্য দিয়েই স্রষ্টার পরম সান্নিধ্য আবিস্কৃত হয় সেটা সবাই বিশ্বাস করি । অথচ কি দেখি আমরা এক ধর্ম আরেক ধর্মের মূল্য বা মর্যাদা দেয়া যেন বড় পাপ অপরদিকে অন্য ধর্মের অবমাননা করা যেন পুণ্যের কাজ । হায়রে মানুষ কোথায় আছি আমরা । প্রকৃত ধর্মপ্রাণ যারা তারা সে যেই হোক অন্তত মানুষ হিসাবে যে কাউকে মর্যাদা দিতে জানে।

ধর্মভীরু বলে নিজেদের দাবী করি অথচ কর্মকাণ্ড শয়তানের মত তাহলে প্রকৃত ঈশ্বরকে কিভাবে সন্ধান পাবে মানুষ । রামুতে যা ঘটনা ঘটলো যে তান্ডব চালালো তার মানে কি? প্রকৃত ধর্মভীরু যারা তারা কিভাবে এমন ধ্বংস লীলা চালাতে পারে তা প্রশ্ন বিদ্ধ সবার জন্য । শুধু মুখে আল্লা বলে আলখাল্লা জামা পরে মাথায় টুপি দিয়ে মুখে দাড়ি রেখে আল্লা আল্লা বললেই কি নিজেকে ধর্মভীরু বা প্রকৃত ধার্মিক প্রমাণ করা যায়??? একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা সবাই জানে তার মানসিকতা ইচ্ছা আকাঙ্খা চিন্তা চেতনা মননশীলতা কেমন হতে হবে ।

ভন্ড ধর্ম ভীরুর নামে যারা মানুষের ধ্বংসযজ্ঞ করে তাদের জন্য ঘৃণা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাইনা বরং নিজেই লজ্জাবোধ করি। এত ভয়ংকর হতে পারে কিভাবে মানুষ? সকল ধর্মের সকল মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তারা সহ্য করতে পারেনা এটা শয়তানের নামান্তর । শান্তির রাজ্য প্রতিষ্ঠা হোক সব মানুষের ভ্রাতৃপ্রেমের মধ্য দিয়ে তাই কামনা করি ও প্রার্থনা করি ।

***
ফিচার ছবি: সুমন বাবু/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ চট্টগ্রাম, অক্টোবর ০১, ২০১২