খুব আজব আর অবাক করা বিষয় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়ে কেমন যেন অবরুদ্ধ করে রেখেছে সবাইকে এমন মনে হচ্ছে। কী আহামরি এমন কিছু উপকার, রক্ষা বা দমন হচ্ছে কিছুই আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না। ভাইবার, ফেইসবুক হোয়াটআপস বন্ধ করে দিয়ে সন্ত্রাস দমন বা জ্বালাও পুড়াও বন্ধের সাথে কি শক্তিশালী যোগসুত্র রয়েছে তাও কোন হিসাবে মিলাতে পারিনা।
হরতাল হরতালের মত চলবে কুচক্রিদের যোগাযোগ তাদের মতই চলবে এগুলো ছাড়াও আরো কতভাবে যোগাযোগ করার পথ আছে তা সন্ত্রাসীরা হায়েনারা আগে থেকেই জানে। ।সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করলেই তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করা যাবেনা এতে করে বরং আমার মত তোমার মত অামার মত অতি সাধারন মানুষেরাই এর ভুক্তভোগী।
কার বুদ্ধিতে কোন মহাপন্ডিতের পরামর্শে এমন কুপমর্দক পদক্ষেপগুলো নিয়ে দেশের সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে বা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে মেরে নিজেকে অযথা ক্ষতবিক্ষত করে আমার মত কলুর বলদ দ্বারা তা বুঝা বড় কঠিন। আমি সোজা সাপটা বুঝি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করা মানে দেশের নিরাপত্তা বিধান করা না। এ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে সকল স্তরের জনসাধারনের রোষানলে পরতে হচ্ছে সরকার কর্তৃপক্ষকে, নিজেদের অদক্ষতাকে চরমভাবে প্রকাশ করে নাগরিকদের যোগাযোগ এর সুযোগ সুবিধাকে হরন করে স্বৈরশাসনের মত বিষয়কে বাস্তবায়ন করছে। সারা পৃথিবী জানে যাচ্ছে সোনার বাংলাদেশের সিমাবদ্ধতাকে এতে ভাবমুর্তি ভেসে যাচ্ছে বঙ্গপসাগরে। আমরা কি তা কোনদিন চেয়েছি?
আমরা খুব বড় অসহায়, খুব পরাধীন, কারো কোন কিছু করার ক্ষমতা কারো নেই, হাত পা লোহার শিকল দিয়ে আবদ্ধ। লাল সবুজের পতাকা তাজা লাল রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনার যে মর্ম তা ধূলায় ভুলন্ঠিত হয়ে হাহাকার করার সামিল মনে হচ্ছে। আজ এ পতাকা বড় অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকে তোমার আমার দিকে। পতাকা নিজের ইচ্ছেমত বাতাসে নাচতে পারেনা খেলতে পারেনা হাসতে পারেনা আনন্দ করতে পারেনা।
তবুও এক পাহাড় প্রত্যাশা বুকে নিয়ে বলি লাল সবুজের মান মর্যাদা অবিচল থাকুক যুগে যুগে দেশ হতে দেশান্তরে।