ময়মনসিংহে অবস্থিত অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে খবর মাধ্যমগুলোতে বেশ স্থান পেয়েছে। এটি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল মূলত ময়মনসিংহের মত সদ্যঘোষিত বিভাগীয় শহরে যদি বলা হয়– ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল যদি বুঝাতে হয় তাহলে এই অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কথায় বলতে হয়। ক্যান্টনমেন্ট এ ইংরেজি ভার্সন স্কুল রয়েছে এর বাইরে আর কি ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠিত স্কুল আছে তা আমার জানা নেই। তবে বেগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কথা শুনেছিলাম কিন্তু এর অস্তিত্ব আছে কিনা আমার জানা নেই এ মুহূর্তে।
অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ সুস্পষ্ট এবং প্রমাণীত। মুক্তিযোদ্ধাদের জোর দাবি খুব অচিরেই স্কুলটি যেন বন্ধ করা হয়। কারণ, এ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইতিহাস বিকৃত করে শিক্ষাদান করা হয়। খুবই যুক্তিযুক্ত দাবিখানা এবং যেখানে ইতিহাস বিকৃতির মত চরম মিথ্যাচার করে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের এমন কুশিক্ষা দেয়া হয় সেখানে এমন স্কুল পরিচালনা করার কোন অধিকার এ লাল সবুজের বুকে থাকা উচিত না।
এখন অক্টোবর মাস বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে এখন। এ স্কুলে কয়েকশত ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। এখানে সাধারনত মধ্যবিত্ত এবং ধনী পরিবাবের ছেলেমেয়েরাই পড়াশুনা করে তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে বলেই বাংলা মাধ্যম এ না পড়িয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করানো হয়েছে । কিন্তু এ কয়েকদিনে প্রতিটি ছেলেমেয়েদের অবিভাবকরাই চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। এ মুহূর্তে যদি স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ করে কোথায় কী করবে তাদের ছেলেমেয়েরা এ মুহূর্তে?
অভিভাবক হিসাবে আমার কিছু প্রস্তাবনা আছে। নিরীহ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কয়েকশত ছেলেমেয়েদের কথা বিবেচনা করে এ মুহূর্তে স্কুল বন্ধ না করে অন্তত বছরটি শেষ করার সুযোগ দান করা তার জন্য প্রয়োজনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তন করা যেতে পারে এবং করা উচিত তবুও এ কয়মাস যেন স্কুল চলে।
পুরো স্কুলের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি নেয়া হোক যেন স্কুলে নিবিড় মনিটরিং সিস্টেম থাকে এবং ইতিহাস বিকৃতির কোন সুযোগ যেন না থাকে। প্রয়োজনে স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কোন মুক্তিযোদ্ধার নামে স্কুলটি নামকরণ করা হোক।
আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মন্তব্য করছি ভুলও হতে পারে। কারণ ময়মনসিংহে ভাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আর নেই এ স্কুলের মত। যা আছে তা এর ধারেকাছেও দেখিনা। ছেলেমেয়েরাও বেশ হতাশ কারণ অনিশ্চয়তার মধ্যে তাদের দিন পাড় করতে হচ্ছে স্কুল কি থাকবে না থাকবেনা। সুতরাং ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে এ মুহূর্তে স্কুল বন্ধ করে না দিয়ে অন্তত এ বছরের ফাইনাল পরিক্ষা দেয়ার সুযোগ দান করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করছি।