[শেফালী বেগম একজন দরিদ্র পরিবারের গৃহীনি, চরবিনপাড়া, খাকদহর ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ।]
স্বামী: মোঃ বাবুল মিয়া, পেশায় ছিলেন একজন গরীব কৃষক। কোন রকমে ছোট পরিবার নিয়ে জীবন যাপন করতেন, বসবাসের জন্য যে ঘর ছিল তা ভাঙ্গা ছিল। একবেলা খেতে পারলে আরেকবেলা খেতে পারতোনা। শেফালী বেগম অভাবের সংসারের মেয়ে বলে লেখাপড়া কী তা সে জানেনা! ঠিক এ সময় ময়মনসিংহ এডিপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে একটি লাল গরু পেয়েছেন।নিজের হাতে নিজের রক্তের সন্তানের মত গরুগুলোর যত্ন করেন তিনি, স্বামীও তাকে সাহায্য করে।
একটি গরু থেকে ৯টি বাছুর পেয়েছেন, ২টি গরু বিক্রি করে মোট ৩৭,০০০/= টাকা, ২টি মারা গেছে এবং বর্তমানে ৬টি গরু আছে, চারটি গরু ও দুটি বাছুর। বিক্রিত টাকা দিয়ে ধান চাষ করেছেন, বসত বাড়ি সংস্কার করেছেন, ৪টি ঘোড়াসহ ২টি ঘোড়ার গাড়ি কিনে মালামাল বহনের জন্য ভাড়া দিলেন। এছাড়াও বর্তমানে দুধ বিক্রি করে প্রতি মাসে দুইটি গরু থেকে ৪৫০০/= টাকা করে আয় করে, বিক্রিত টাকা দিয়ে সংসারের খরচ, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চলে এবং ঘরের বিদ্যুতের লাইন সংযোগ করেছেন। আগে শ্বশুর বাড়ির মানুষজন মানুষ মনে করতো না এখন নিজেরাই তাকে অনেক সাহায্য করে খোঁজ খবর নেয়। এলাকাতে তাকে এখন সবাই খুব সম্মান করে।
[তিন ছেলে এক মেয়ে, দুই জন স্কুলে পড়াশুনা করে, দুইজন ছোট স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়নি।]
লাল গরু নিয়ে সে খুব খুশি। শেফালী বেগম এখন অনেক সুখি তার স্বপ্ন সন্তানগুলো মানুষ হয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে এবং মানুষের সেবা করবে।নিজে লেখাপড়া না করলেও সন্তানদেরকে লেখাপড়া করাবে তাদের মনের মত করে।