কান ধরে কারাগারে

এম এম হোসেন
Published : 2 June 2017, 09:09 PM
Updated : 2 June 2017, 09:09 PM

একজন শিক্ষক/শিক্ষিকার এমপিওভুক্ত হবার যোগ্যতা কি ঘুষ প্রদান করা নাকি শিক্ষকের গুণাবলী অর্জন করা? যে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিজের ব্যক্তিগত সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ঘুষ প্রদানের কথা স্বীকার করে তার শিক্ষকতার মতো পবিত্র দায়িত্ব পালনের নৈতিক ভিত্তি থাকে কি করে! বরং তাকেও আইনের আওতায় আনা উচিত। কয়েক মাস আগে লাইক শেয়ারের আশায় যাদের ফেইসবুক প্রোফাইল কান ধরা ছবিতে উজ্বল ছিলো জনাব শ্যামল কান্তির প্রতি সহমর্মিতা জানাতে, তাদের প্রোফাইলে এখন চৌদ্দ শিকের ভেতরে তোলা সেলফি দেখা দূরের কথা শিক্ষক শ্যামল কান্তির প্রতি সামান্য সহমর্মিতা নেই। যে ব্যক্তি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর নিজ হতে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলেন, জানিনা কি কারণে তিনি জামিন অযোগ্য বলে বিবেচিত হলেন। উনার বিরুদ্ধে যে ঘুষের অভিযোগ (সঠিক কোন সত্যি-মিথ্যা প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা জানিনা) আনা হয়েছে তা জামিন অযোগ্য কি? নাকি এমন কোন ভয় ছিলো জামিন পেয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। অথচ অনেক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী জামিন নিয়ে কিংবা পুলিশের ভাষায় পলাতক সেজে বীর বিক্রমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কান্তি স্যার ভাগ্যবান যে, উনার ঘুষ নেটওয়ার্কে আরো কে কে জড়িত তা জানার জন্য উনাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। আর এটা যদি মিথ্যে মামলা হয়ে থাকে, তবে এটা ভেবে নিজেকে আরো বেশি ভাগ্যবান ভাবতে পারেন যে মামলাটি কয়েক মাস আগে হয়েছে, বর্তমান মহোৎসবের মধ্যে হলে নির্গাত উনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হতো, যেটা উনার জন্য আরো অসম্মানের হতো। অন্য কাউকে দিয়ে কাজ সারিয়ে ওনার নামে চালিয়ে দেওয়াও সহজ হতো।