পাইপলাইন, স্যাটেলাইট, ব্যান্ডউইথ ও কিছু প্রশ্ন

এম এস বাশার
Published : 29 April 2015, 06:57 PM
Updated : 29 April 2015, 06:57 PM

গত কিছুদিন ধরে মাথার মধ্যে সবসময় কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। যত চেষ্টা করছি সরাতে কিন্তু সরছে না।যেমন চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত ২৫০ কিঃমিঃ দীর্ঘ পাইপলাইন বসানো হচ্ছে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য। আর এতে খরচ হবে ১২০০ কোটি টাকা।সাশ্রয় হবে ১৫০০ কোটি টাকা।প্রশ্ন হচ্ছে এমন একটি প্রকল্প এতদিন কেন করা হয়নি? তাহলে কি ধরে নিবো যারা করেনি তারা এতোদিন ক্ষুধার্থ ছিলেন,এখন আর নেই । তাই না? তাহলে এর মাঝখানে যে পাবলিকের এতো টাকা অপচয় হয়ে গেল এর দায়ভার কে নেবেন? কোন সরকার কি এই দায়ভার এড়াতে পারবেন? যেখানে নাম বদলানোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে্ন সেখানে এমন লাভজনক প্রকল্প আগে কোন সরকার কেন গ্রহণ করেন নাই?

তবে বর্তমান সরকার দেরিতে হলেও কিছু প্রকল্প হাতে নিয়ে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে এর মধ্যে এটি একটি অসাধারন প্রলল্প যা আরও আগেই করা দরকার ছিল।এতে বিপিসির ব্যয় যেমন কম হতো তেমনি জনগনের টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত।এতোদিন পরে মনে হচ্ছে সেখের বেটির কায যাকে বলে।এমন প্রকল্প আর ১০ টা গ্রহন করলে ২১ না ৪১ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকবেন নিশ্চিত।যদি প্রকল্প গুলি আলোর মুখ দেখে তবে্‌ আশা করা যায়।আমাদের দেশে প্রকল্প যেমন দ্রুত শুরু হয় তেমনি শেষ কবে হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকে।মধ্যে যদি চেয়ার বদলায় তাহলেত কথাই নাই,সব বাদ বা নতুন করে আরম্ভ হবে।
স্যাটেলাইট ভাড়া বছরে ১২০ কোটি ডলার দিয়ে যাচ্ছি,আর ১০০ কোটি ডলার ধার নিতে কতো কি করতে হয়েছে ও হচ্ছে।তা এই স্যাটেলাইট বসাতে খরচ হয় ৩২০০ কোটি টাকা।যে দেশে হল মার্ক ৪০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরে মন্ত্রীসাহেব এটাকে "কিছু না" বলতে পারেন।তাহলে এ টাকায় আগে উনি কেন স্যা্টেলাইট বসান নাই তাই চিন্তা করে পাই না।যাই হোক বসান হচ্ছে সেটাই বড় কথা।কিন্তু এখানে সরকার ৩ ভাগের ১ ভাগ টাকা দিচ্ছে আর ২ ভাগ দিচ্ছেন ঠিকাদার।কেন দিচ্ছে? কী উদ্দেশ্য? যদি সরকার এ যায়গাটাতে আরেকটু পরিস্কার করেন আশা করি আমার মতো অন্যের আর মাথা ব্যাথা হবে না। তারপরেও বিশ্বের ৪৫ টি (যাদের নিজশ্ব স্যাটেলাইট আছে)দেশের সাথে নিজ দেশের নাম যোগ হবে ভাবতেই দেহের ছাতি ১ ইঞ্চি বড় হয়ে যায়। টাকার চিন্তা বাদ দিলাম,কিন্তু এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো ২০০৮ সালে।চুক্তি হয়েছে ২০১৫ সালে।এখন উড়বে কি উড়াবো তা সময়ই বলে দিবে।এমন প্রকল্প আরও আগে নেয়া সম্ভব ছিলো।তাহলে এখন নিজ দেশের উপড় ৫ টি অন্যের স্যাটেলাইট থাকত না।তারপরেও শেখের বেটিকে ধন্যবাদ।
উপরোক্ত দুটিতে ধন্যবাদ দিয়েছি কিন্তু এটাতে দিবো না, দিতে হবে বল্লেও দিবো না। কারন এটা যে ব্যান্ডউইথ এর ব্যাপার। ২৩০ জিবির মধ্যে খরচ করি ৪০ জিবি তাই বলে বাকিটা রপ্তানি করতে হবে এমন কোন কথা নেই।সরকার দাম কমিয়ে ও স্পিড বাড়িয়ে দিতে পারে।এক্ষেত্রে জনগনের ব্যান্ডঊইথ জনগনের কাজে আসবে আরও বেশি। এই যে ৬৪ জেলায় ও সব উপজেলায় ডিজিটাল করার লক্ষ্যে ক্যাবল বসানো হচ্ছে এবং তা শেষ হলে চাহিদা পূরনের জন্য আমাদের আমদানী করতে হয় কিনা তাই দেখা উচিৎ।এখন পারছি না বলে পরে পারবো না এমন কি কোথাও লেখা আছে? একমাত্র ফেসবুক ছাড়া প্রতিটি ইউজার মন উজার করে ব্রাউজিং করেছেন কিনা সন্দেহ আছে। সেখানে কেন আমরা রপ্তানি করতে যাচ্ছি? তারমানে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। আশাকরি সরকার জনগন ও দেশের কথা চিন্তা করে ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়ে আরও সহজলভ্য করবেন ও রপ্তানির পথ থেকে সরে আসবেন।