আনু স্যারকে হত্যার হুমকি: কোথায় সরকারের বায়োমেট্রিক?

আসিফ মাহবুব
Published : 14 Oct 2016, 01:02 PM
Updated : 14 Oct 2016, 01:02 PM


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়। এ বরেণ্য ব্যক্তির একটি ফেসবুক স্টাটাস থেকে জানা যায়, ০১৬২৯৯৬৭৫৫১ এ নাম্বার থেকে একটি মেসেজ দেয়া হয়। মেসেজে লেখা ছিল 'Death keeps no calendar, and Ansatullah knows no time.

এ ঘটনা তিনি বৃস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করতে গেলে তাকে আবারও বার্তা পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়।

যদিও এর আগে জিডি করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তার যে অবস্থা এতে থানায় জিডি করে লাভ কি? তারপরও দেখি সন্ধায় জিডি করবো'। তারপর মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তিনি জিডি করেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, সরকারতো কয়েকদিন আগে সবার সিম বায়োমেট্রিক করলো। অপরাধীরা হুমকি দিলে কিংবা কোন ধরনের অপরাধ করলে তাদেরকে সহজে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে। এমন আশাইতো বার বার দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালীম। কিন্তু আনু স্যারকে দুইবার হুমকি দেয়ার পরও বায়োমেট্রিক এখন কোথায় আছে? কেন অপরাধীদেরকে ধরা হচ্ছে না। তাহলে কি ০১৬২৯৯৬৭৫৫১ এ এয়ারটেল সীমের মালিক নেই। এ প্রশ্নগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বারবার উঠছে। উত্তর দিবে কে?


এ বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, 'সমাজে যারা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে, এ কাজ তারাই করতে পারে বলে আমার ধারণা।' তিনি আরো বলেন, 'এখন সমাজে যেকোনো প্রশ্ন উত্থাপনের ক্ষেত্রেই বাধা আছে। সমাজের বিভিন্ন কার্মকান্ডের বিষয়ে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করুক, তা একটি অংশ চায় না। তাদের কাজের বিরোধিতা করুক, সমালোচনা করুক, তা যারা চায় না তারাই সমাজে নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রাখতে চায়। এ ঘটনায় তাদের একটি যোগসাজশ থাকতে পারে।

জাতীয় কমিটির এই নেতা আরো বলেন, মূলত হুমকি কারা দিয়েছে, তা তো সরকারই ভালো বলতে পারবে। তাদেরই ভালো বলতে পারার কথা।
আসলেইতো স্যার দীর্ঘদিন যাবৎ সবকাজের বিরোধীতা করে আসছেন। বিশেষ করে রামপাল। বারবার বলেও থামানো যাচ্ছেনা। বিভিন্ন অপবাদ দিয়েও পারা যাচ্ছেনা। এখন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন। দেখা যাক এ যাত্রায় থামানো যায় কিনা।

এছাড়াও জাবির সাবেক শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ তার ফেসবুকে লিখেছেন, 'যে ফোন নম্বর থেকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি দিয়ে মেসেজ পাঠানো হলো তাকে খুঁজে বের করতে সরকারের কতক্ষণ লাগার কথা? সরকার তো সব ফোনের বায়োমেট্রিক নিয়েছে। তাহলে অবিলম্বে এই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হবে না কেন?'

শরীফুল ইসলাম সোহেল নামের আরেকজন লিখেছেন : 'সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন থামাতে আনসারুল্লার নামে রামপারুল্লরা হুমকিদাতা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, স্যারের কিছু ক্ষতি হলে সেটা আনসারুল্লার ঘাড়েই যাবে। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে।