বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পশ্চিমাদের প্রেসক্রিপশন…

মাহবুবুল আলম
Published : 24 June 2012, 07:24 AM
Updated : 24 June 2012, 07:24 AM

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পশ্চিমা দাদারা যেভাবে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঘুরে বেড়ান তা দেখে যে কারোই মনে হবে আহারে! দাদারা আমাদের কত আপন। কিন্তু আমার মতো বোকার হদ্দরা কিছুদিন যেতে না যেতেই টের পান তাদের আসল মতলব। আসলে তারা গণতন্ত্রের নামাবলী গায় আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্যই গণতন্ত্র নামক অস্ত্রটিকে ব্যবহার করে সুকৌশলে। তারা গণতন্ত্রকে `মোটা তাজা' করার টনিক খাইয়ে সতেজের পরিবর্তে যে দিনে দিনে আরো রুগ্ন করে তুলে এর বহু প্রমাণ বিশ্বের দেশে দেশে বিদ্যমান। সবচে' বড় কথা পশ্চিমা যে দেশগুলো বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ফেরী করে বেড়ায় তাদের এক এক দেশেই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এক এক রকম। আর আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা তাদের মন মতো নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাদের আধিপত্য মেনে নিয়ে যারা তাদের পার্পাস সার্ভ করতে পারে সেটি অগণতান্ত্রিক শক্তি হলেও তাদের বেলায় গণতন্ত্রের সংজ্ঞা একরকম, আর যারা তাদের আধিপত্য ও প্রেসক্রিপশন মানতে নারাজ তাদের বেলায় গণতন্ত্রের সংজ্ঞা অন্যরকম। এর জ্বলজেন্ত উদাহরণ ইরাক, লিভিয়া, মিশর, তিউনিশিয়া হালে ইরানের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

আর আমাদের দেশ বাংলাদেশে যে এত রাজনৈতিক অস্থিরতা, হানাহানী এর পেছনেও কিন্তু দাদাদের প্রচ্ছন্ন মদদ রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই তাদের শকুনী দৃষ্টি আমাদের তেল-গ্যাস ও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। তাই তারা অনেকদিন থেকেই বাংলাদেশে একজন কারজাইকে খুঁজছে। একজনকে লোভনীয় পুরস্কারে ভূষিত করে রাজনীতির মাঠে নামিয়েও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই চতুর ব্যাক্তিটি বাংলাদেশের মানুষের নাড়ির স্পন্দন টের পেয়ে রণেভঙ্গ দিয়েছেন। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে প্রধান দুই দলের মধ্যে কেচকা মাইর লাগিয়ে অন্য কোনো কারজাইকে মাঠে নামানো যায় কি-না। সেই কারণেই বিভিন্ন দেশের দাদারা ইদানিং ঘনঘন বাংলাদেশে সফরে এসে গণন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনো উছিলায় কারজাই সৃষ্টি করে গণতন্ত্র রক্ষার নামে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলতে না পারে।