বাংলাসাহিত্যের কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ আর আমাদের মাঝে নেই । তিনি এখন অনন্তলোকের যাত্রী । কাল রাত সাড়ে ১১ টায় বিছানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে যেয়ে যখন টিভি পর্দায় শেষবারের মতো চোখ রাখলাম তখনই ঠিক বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো টিভির স্ক্রলের ব্রেকিং নিউজে বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ-এর মৃত্যুর খবরটি দেখতে পেয়ে বুকের ভেতর কেমন চিনচিন ব্যথা শুরু হলো । বুকের ভেতরটা ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যেতে থাকলো । নিজের অজান্তেই অশ্রু গড়াতে লাগলো চোখের কোণে । সারা রাত ঘুম হলোনা । এভাবেই ঘুম আর তন্দ্রার ভেতর জেগে থেকে থেকে কেটে গেল রাত । সকাল থেকে কিছুতেই আমার এ চঞ্চলতার ঘোর কাটাতে পারছিনা । বড়ই চঞ্চল ও বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে শুধু ঘুরাঘুরি করছি ।
সে আমার কে ? কেন তাঁর জন্য আমার এ চঞ্চলতা ও অস্থিরতার শেষ নেই ? সে যে আমার কতটা আপন তা প্রবলভাবে উপলদ্বি করছি তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানার পর থেকে । এখন আমার কেবলই মনে হয়, জীবন না অমরত্ব কোনটা বেশী প্রিয় ছিল তাঁর কাছে ? জীবনকে য কতটা ভালবাসতেন তিনি তা শেষ সাক্ষাতে বলেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ । কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে তাঁকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে । তাঁর এ চলে যাওয়া একেবারে চলে যাওয়া নয়, তিনি অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের অন্তরের মনিকোঠায় । বইয়ের পাতায় পাতায়, শব্দের কালো অক্ষরে অক্ষরে । আল্লাহ তাঁর আত্মাকে শান্তিতে রাখুক ।