আর কত কেলেঙ্কারির জন্ম দেবে বিএনপি

মাহবুবুল আলম
Published : 2 June 2016, 06:50 PM
Updated : 2 June 2016, 06:50 PM

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একের পর এক কেলেঙ্কারীর জন্ম দিয়েই চলেছে। এ নিয়ে দলটির বিরুদ্ধে দেশের মানুষের মধ্যে বিরূপ মনোভাব গড়ে ওঠলেও দলের প্রধান থেকে নীতিনির্ধারক কেউই এসব কেলেঙ্কারী সৃষ্টি থেকে বেরিয়ে না এসে বরং নিত্যনতুন কেলেঙ্কারীর জন্ম দিয়েই চলেছে। সম্প্রতি বিএনপির নানা কেলেঙ্কারী নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইলেও তারা সে দিকে কর্ণপাত করছে না। তাই আমি এ নিবন্ধের মাধ্যমে বিএনপি নেতানেত্রীদের নানা কেলেঙ্কারীর দু'একটি ঘটনা পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি।

প্রিয় পাঠক দেশের সব মানুষই এখন জানে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এর মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিল্টন ভূঁইয়া ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজার ওই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১১ ও ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওই দু'জনের সঙ্গে সাংবাদিক শফিক রেহমানের একাধিক বৈঠক হয়। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছেন ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা শফিক রেহমান। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন। জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের ঘটনায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সিজারের স্বীকারোক্তিতে সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ বিএনপিপন্থী কয়েকজন ব্যবসায়ী ও নেতার নাম বেরিয়ে আসে। এদের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন প্রবাসে রয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিল্টন ভূঁইয়া ও বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিশেষ করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সিজারকেই মূল দায়িত্ব দেয়া হয়। এজন্য ৪০ লাখ ডলারের অলিখিত একটি চুক্তিও হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর আমেরিকার নিউইয়র্ক, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ষড়যন্ত্রকারীরা একাধিক বৈঠক করে অর্থ সংগ্রহ করেন। ওই বছরের শেষদিকে সিজারকে চুক্তির ১০ লাখ ডলারও দেয়া হয়। দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার টার্গেট করেছিল চক্রটি। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মনোবল ভেঙে দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় করে দিতে চেয়েছিল। জয় সম্পর্কে গোপন তথ্য পেতে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাসাস নেতা মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজার তার পুরনো বন্ধু এফবিআইয়ের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট লাস্টিক ও থ্যালারের শরণাপন্ন হন। সিজার এফবিআইয়ের ওই দুই কর্মকর্তাকে এজন্য মোটা অংকের অর্থও দেন। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে একটি মামলা হয়। মামলায় এফবিআই এজেন্ট জোহান থ্যালারকে ৩০ মাস ও সিজারকে ৪২ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর পরের কেলেঙ্কারীটি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে কিভাবে উসকে দেয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের মে মাসের ৭ তারিখে একটি বেসরকারী অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে 'সেনা প্রশিক্ষণের ভিডিও হলো নির্যাতন দৃশ্য' ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণের ভিডিওটিকে নির্যাতনের ভিডিও বলে ফেসবুকে চালানোর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হয় । কে এই উস্কানিদাতা তার খোঁজ নেয় গোয়েন্দা সংস্থা। খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, এই নকল ভিডিওটি জালিয়াতি করে ফেসবুকে আপলোড করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ সর্দার সাদি।  জাহিদ সর্দার সাদি নামক এক বিএনপি নেতা সরকার শুধু বিএনপি ও সাধারণ জনগণকেই অত্যাচার নির্যাতন করছে না, সেনাবাহিনীর রিুদ্ধমতের দস্যদেরও কেমন নির্যাতন করছে তা প্রমাণের জন্য একটি ভূয়া ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ওই ভিডিও চিত্রের ক্যাপশনে লিখেছেন, 'দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নির্যাতনের চিত্র দেখুন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীকে। তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হবে একটু ভাবুন।' সাদি তার নকল ভিডিও চিত্রে দেখায় যে, সামরিক পোশাকে একদল সেনা সদস্যের হাত ও পা পিছমোড়া করে বেঁধে একটি মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে, তাদের মুখে কিছু গুজে দেয়া হয়েছে, আর্তনাদ করতে শোনা যাচ্ছে, কয়েকজন সেনাসদস্যকে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায়। এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রটি। জাহিদ এফ সরদারের ভিডিওটি শেয়ার করানো হয় এবং লাইক করানো হয় ২০ হাজার ৫১৮টি। এই ভিডিওটি পোস্ট করার পর জানা যায়, এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডো ট্রেনিংয়ের একটি দৃশ্য। এই ড্রিল ভিডিওটাকেই সেনাবাহিনীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও বলে চালানো হয় । এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এই বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মিথ্যার ফাঁদে পা না দিতে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া হয়।  এবং এভাবেই জাহিদ এফ সর্দার সাদির এই প্রতারণামূলক ভিডিওটি ফাঁস হয়। বিএনপি নেতা এই জাহিদ এফ সর্দার সাদির রাজনৈতিক প্রতারণা, শঠতা ও জালিয়াতির ঘটনার শেষ নেই। তার সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরও বিএনপি নেতা। এর মধ্যে বিএনপি নেতা ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার অন্যতম।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জ্যেষ্ঠ সহকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে তার বরাত দিয়ে ঢাকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করানো হয়েছিল গত বছর। এখন সেই এফ সাদী জয়কে নিয়ে মেন্দির সঙ্গে ভুয়া ভিডিও আপলোড করেছে সেই ছয় কংগ্রেসম্যানের ভুয়া বিবৃতি প্রচারের সঙ্গে জড়িত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীও। যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস সদস্য যখন তারা স্বাক্ষর ও বিবৃতি দেয়নি বলে জানিয়ে দিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষর জালিয়াতির নিন্দা জানান তখন বিএনপির স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি আরও খারাপ হয়ে যায়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ'র সঙ্গে ভুয়া ফোনালাপ কেলেঙ্কারি নায়কও এরা। ভারতের বিগত নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির সঙ্গে সখ্য স্থাপনে তৎপর হওয়ার পর ব্যর্থ হয় বিএনপি। ভারতের সাহায্য সহানুভূতি না পেয়ে অনেকটা নিরুপায় হয়ে ভারতের বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ'র সঙ্গে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ হয়েছে এবং বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন অমিত শাহ- বলে প্রচার চালান। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে, অমিত শাহ ফোনালাপ করে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন। অমিত শাহ যখন নিজেই ঢাকার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেছেন, বেগম জিয়ার সঙ্গে তার কোন ফোনালাপ হয়নি, এটা খবর ও গুজব ছাড়া আরকিছুই নয়।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপির নেতার আরেকটি জালিয়াতির ও কেলেঙ্কারীর ঘটনা হচ্ছে, জাহিদ এফ সর্দার সাদির সঙ্গে আরেক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান মজুমদার মিলে একটি ভুয়া বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার ছেলে তারেক রহমাননের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছিল বলে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো হয়। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে কংগ্রেস সদস্যদের একটি বিবৃতি। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ছাপানো ও প্রচারের ব্যবস্থা করেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের নামে ভুয়া বিবৃতিটি ছাপানো ও প্রচার করা হলে বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুই কংগ্রেস সদস্য। প্রবাসী বিএনপি নেতাদের প্রতারণা ও কেলেঙ্কারীর এখানেই শেষ নয়।

অতিসম্প্রতি সবচেয়ে মারাত্মক কেলেঙ্কারীটি ঘটিয়েছে বিএনপি। চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে  বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানো ও শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি-আসলাম চৌধুরী ও সাফাদির গোপন বৈঠক ষড়যন্ত্রের ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এ নিয়ে তাদের দুজনের সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়। এখানে উল্লেখ্য যে মেন্দি এন সাফাদি নিজের নামে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস প্রতিষ্ঠানটি চালান তিনি। ইসরাইলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে আসলাম চৌধুরীকে।

ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল যে রাষ্টের সাথে বাংলাদেশের কোন কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই, মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনীদের প্রতি অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন এবং অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার কারণে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই ইসরাইলের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সেই ইহুদি রাষ্টের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে দিল্লীতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর গোপন বৈঠক ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য মাঠে নামে বিএনপি। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বৈঠক ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা ধামাচাপা দিতে টার্গেট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে। আর এজন্য বেছে নেয়া হয়েছে আবারও তাদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকের সঙ্গী সেই মেন্দি এন সাফাদিকেই।

বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে দিল্লীতে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর গোপন বৈঠকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর গ্রেফতার করে প্রথম দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে। দ্বিতীয় দফায় যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদনের পূর্বনির্ধারিত শুনানির দিন, তার আগেই মিথ্যাচারের ফন্দি আঁটে বিএনপি। বিএনপির ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ও সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র কানেকশন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন তারা টার্গেট করে বেছে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে। বিএনপির প্রবাসী নেতা জ্যাকব মিল্টনকে দিয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট ও ক্ষমতাসীন পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির একটি ইন্টারভিউ নিয়ে তার মুখ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা জানানো হয়। তার পর এ বৈঠকের কথা বিদেশী সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বিএনপির ইসরাইল কানেকশনটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়, যা চরম মিথ্যাচারে ভরা। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিডিও জালিয়াতি করতে গিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতিতে ফাঁটা বাঁশের চিপায় পড়ে গেছে বিএনপি।

এ প্রসংগে দেশের খ্যাতিমান ও বরেণ্য আইটি বিশেষজ্ঞরা ভিডিওটি যাচাই করে বলেছেন, প্রতিবেদন থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, জয়ের সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির যে ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল করা হয়েছে, সেটি ক্রোমা স্টুডিওতে ধারণ করা এবং গ্রাফিক্যাল এডিট করে পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এডিট করে সংযুক্ত করা হয়েছে ভিডিওটিতে। মূল স্টুডিওর পেছনে সবুজ পর্দা দেখলেই অনুমান করা সম্ভব ভিডিও ধারণ করার সময় মেন্দি এন সাফাদির সামনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোন ছবিই ছিল না, যা পরে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সাক্ষাতকারে মেনদি এন সাফাদির কথাও একাধিকবার অসংলগ্ন মনে হয়েছে। টাইম টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাফাদি একবার বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি চিনতেন না। আবার ভিডিওর একটি অংশ মেন্দি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে বলেছেন, তার সরকারকে সহায়তা দিতে মেন্দির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন জয় ! একই ব্যক্তির দুই ধরনের বক্তব্য এবং ভিডিও সম্পাদনার দুর্বলতার কারণে মেন্দি সাফাদির ভিডিওটি যে মিথ্যা, ভুয়া নকল ও জালিয়াতি করা হয়েছে তা সহজেই বুঝা যায়। শুধু তাই নয়, সাফাদিকে যেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে সেখানে কোন ছবিই আদতে ছিল না। ছবি না দেখেই সাফাদি যে এক্টিং করেছে তাতে পরিষ্কার যে বিষয়টা সাজানো এবং পরস্পর যোগসাজশে তৈরি হয়েছে। তারা আরও বলেন, জাহিদ এফ সরদার সাদীর পেজে গেলে কিছু ছবি পাবেন যেখানে খেয়াল করবেন যে ২৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে সে সাফাদির সাথে শ্যাম্পেন পানরত অবস্থায় ছবি দিয়ে বলছে ভিডিওসহ ব্রেকিং নিউজ আসছে। এরপর সে আরও কিছু ছবি দেয়, যেখানে জালিয়াত জ্যাকব মিল্টন এবং ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালকারী বিএনপি নেতা সরদার এফ সাদী একটি হাল্কা সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডিওতে সাফাদির সাথে বসে আছেন। মেন্দি এন সাফাদি ও জাহিদ এফ সর্দার সাদীর পোশাক খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একই পোশাক পরে যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনে তাদের আরও ছবি আছে। স্টুডিওর চেয়ারগুলো খেয়াল করলেও বুঝা যায় সেটাও একই। এছাড়া ভিডিও ভালভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, সব কিছুতেই বিশেষ করে সাইনি অবজেক্টগুলোতে সবুজের একটা ছায়া আছে যা পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডেরই রিফ্লেকশন। সাফাদি মিথ্যা বলছে, কারণ যখন তাকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে বলা হচ্ছে তখন আসলে ব্যাকগ্রাউন্ডে সবুজ দেয়াল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এতে প্রমাণ হয় জয়ের সঙ্গে মেন্দির বৈঠকের ঘটনাটা পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় 'ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে কোন সময়ই তার সাক্ষাত হয়নি, দাবি করে বলেছেন, আমার সঙ্গে সাফাদির কোন সময়ই সাক্ষাত হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্য কোন জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে। আর বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে।  জয় বলেন, আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাত পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? প্রথম বোকামিপূর্ণ ভুল করেছে তার কারণ, আমি গত ৩-৪ বছরে ওয়াশিংটনে কোন অনুষ্ঠান বা কারও অফিসে যাইনি। যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে কোথায় তার সঙ্গে আমার সাক্ষাত হতে পারে?  তিনি বলেন, এটাও খুবই লজ্জাজনক যে বিবিসি বাংলা আসলেই সেই ভুয়া ইন্টারভিউটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রচার করেছে। এ ঘটনা সংবাদের উৎস হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে' সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন,' তাদেরই এখন প্রমাণ করতে হবে, কোথায় কখন আমার সাথে কথিত এ ধরনের মিটিং হয়েছে"।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, জয়ের মামা শেখ কামাল ছিলেন ব্যাংক ডাকাত। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এমন আরো ভুয়া ভিডিও প্রচার করেছে। সেসব ভিডিওতে বলা হয়েছে,  শেখ হাসিনা ও জয় মিলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেয়া হচ্ছে। ফেসবুকে পোস্ট যা চরম মিথ্যাচার, ভুয়া, জালিয়াতি, প্রতারণার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনা আবার বিএনপির নেতাদের মুখ দিয়েও বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রকাশ করে মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হয়, যা ঘটনার পর পরই আওয়ামী লীগ ও জয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোসহ চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ ও জয়ের বিবৃতির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে আসেননি।

যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন বা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই হাজার কোটি টাকা আছে কোন তথ্যউপাত্ত ছাড়াই এ অভিযোগটি করেছেন স্বয়ং বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। পহেলা মে'র শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের এ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এফবিআইএর একজন এজেন্টকে ঘুষ দিয়ে এক প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের ব্যাপারে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিল। সেই মামলার নথিতেই আছে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি এ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? বেগম খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বেগম খালেদা জিয়াকে একটি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, 'ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।'

ইসরাইলের মেন্দি এন সাফাদির ঘটনার আগে ঘটে জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ চেষ্টা মামলায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও জয় অপহরণ চেষ্টার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই থেকে তথ্য চুরি করে তার বাসায় রাখার পর তা উদ্ধারের ঘটনা। এরপর এই মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হয় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। জয় অপহরণ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর বিএনপির এক নেতার পুত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সাজা দেয়া হয়। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে জয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় এই বলে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে তার ৩০০ মিলিয়ন ডলার আছে।

জয়কে বার বার রাজনীতির টার্গেট করা হচ্ছে কি কারণে? এ প্রসংগে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অভিমত হচ্ছে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপির ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল কানেকশন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়ে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়ও যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে ফেসবুকে ভূয়া ভিডিও আপলোড করে বিবিসি-সহ বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচার করানো হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে তখনকার প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাওয়া ভবন তৈরি করে বদনাম কুড়িয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অবতীর্ণ হয়েই দুর্নীতির বরপুত্র অভিহিত হওয়া ছাড়াও তখন সমান্তরাল সরকার গঠন করে দেশব্যাপী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অত্যাচার নির্যাতনের এক রেকর্ড তৈরি করা হয়। এ জন্য সারাদেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তারেক জিয়া একজন লুটেরা কারো কারো মতে চোর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাই তারেক রহমানের লুটেরা ও চোর বদনাম ঘুচাতে টার্গেট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে, যাতে জয়েরও বদনাম হয়ে গেলে তার পক্ষে রাজনীতিতে অভিষেক সম্ভব না হয়। এটাই বিএনপির দুরভিসন্ধি বলে মনে করেন সবাই।

এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের এখন মুখ দেখানোর উপায় নেই অবস্থা। তবু বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিএনপির ছোট-বড় নেতাদের মিথ্যাচার বন্ধ হয়নি। তাই রিমান্ডে বিএনপির আসলাম চৌধুরী সব গোমর ফাঁক করার ভয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যেই 'ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এ কাল্পনিক ও ভূয়া ভিডিও প্রকাশ করে যা ইতমধ্যে মিথ্যা ও জালিয়াতিপূর্ণ বলে প্রমানিতও হয়েছে।

শেষ করবো এই বলেই যে, এত কেলেঙ্কারী ও ভূয়া ভিডিও বানিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে চেয়েও বোকা বানাতে পারেনি বিএনপি। বরং তারাই তাদের পাতা ফাঁদে বার বার পতিত হচ্ছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র বোমেরাং হয়ে তাদের দিকেই ফিরে আসছে। তবু বিএনপি নেতাদের হুস হচ্ছেনা, একই জালিয়াতির কাজ করেই চলেছে। বিএনপির ক্রমাগত নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই দলটির জনপ্রিয়তা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা কিছুতেই বুঝতে চাইছে না, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এ উৎকর্ষতার যুগে ভূয়া ভিডিও বানিয়ে বা ফেসবুকে মনগড়া স্টেটাস দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা সমভব নয়। তারপরও তারা কেন যে নেতিবাচক রাজনীতির একই বৃত্তের ঘুরপাক খাচ্ছে তা বোধগম্য হচ্ছে না।

————