সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী পরিকল্পিত টার্গেটেড কিলিং-এর জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। একইসাথে শেখ হাসিনার সরকারও এই পরিকল্পিত দেশজুড়ে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনায় বিব্রত। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি বিধানের কথা বললেও এ পরিকল্পিত হত্যাকান্ডগুলোর কোন কুলকিনারা করতে পারছে না। তদুপরি প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথায় এসব টার্গেটেড কিলিং বা পরিকল্পিত হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা জানি যে, টার্গেট কিলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এখন তা আর সেই ব্লগার হত্যার জায়গাটিতে সীমাবদ্ধ নেই। হত্যার শিকার হচ্ছে মুক্তমনা লেখক, খ্রীস্টান ধর্মের যাজক, হিন্দু ধর্মের পুরোহিত, বিদেশী নাগরিক এবং সর্বশেষ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। সন্ত্রাসী দুর্বিত্তরা যেমন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ও বিদেশী নাগরিক ও হত্যা করে দেশে বিদেশে প্রমাণের চেষ্টা করছে যে সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছেনা , অন্যদিকে পুলিশ বাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে বা হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের হীন প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করছেন জামায়াতের মেরুদন্ড ও অর্থের যোগানদাতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় উচ্চাদালতে বহাল থাকার অব্যহিত আগে ও পরে এ ধরনের টার্গেট কিলিং শুরু হয়েছে। এর আগে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগে ও পরে এ ধরনের হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। বিশেষ করে সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির চরম ভরাডুবির পর দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সেবায়েত, পুরোহিত, ভিক্ষু এমনকি উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীও এ জাতীয় হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব হত্যাকাণ্ডের কোনই কূলকিনারা করতে পারছে না।
অতিসম্প্রতি চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকান্ডের আগে চট্টগ্রামে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অঞ্জলি দেবীকে ভোরে চকবাজার এলাকায় অজ্ঞাতানামা সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। এর পর এক ল্যাংটা ফকির ও তার শিষ্যকে মাজার প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। এ হত্যা ঘটনার এরপর ঘটল এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকান্ড। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম, নাইক্ষ্যংছড়িতে ভিক্ষু মং শৈ উ-কে, কুষ্টিয়ায় বাউলভক্ত মীর সানোয়ার হোসেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরের পুরোহিত, সেবায়েত, খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মুদি দোকানি, টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল চন্দ্র এবং সর্বশেষ পাবনায় আশ্রম সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে সন্ত্রাসী নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়া আরও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।
এইসব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বা টার্গেটেড কিলিং প্রসংগে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারী দল ও বিভিন্ন দলের নেতারা মনে করছেন যে, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকার হটাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা ২০১৩ সালে দেশজুড়ে চালিয়েছিল নারকীয় তান্ডব। তখন প্রধান টার্গেট ছিল পুলিশ। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর একের পর এক চলেছে চোরাগোপ্তা হামলা। আন্দোলনের নামেও সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে পুলিশের ওপর। এদেশে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার ঘটনা অনেক থাকলেও আন্দোলনকারীদের হাতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি। কিন্তু প্রাণ দিতে হয়েছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদেরও। আর এক্ষেত্রে তখনও মারাত্নক মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল জামায়াত-শিবিরের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডাররা।
সেই সব নেতীবাচক রাজনীতির দগদগে ঘাঁ শুকাতে না শুকাতেই আবারও কেন দেশবিরোধী অশুভ শক্তি দেশে এমন পরিকল্পিত হত্যাকান্ড শুরু করলো তার উত্তর খোঁজতে গিয়ে গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা উত্তর পেয়েছেন তা হলো-জামায়াত-শিবির যতই কোণঠাসা হচ্ছে ততই বাড়ছে জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা। দেশে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে কিন্তু এসব নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনে কারা এবং করাইবা এদেশর পৃষ্ঠপোষক? সবার অভিমতই হলো আসলে এরা সবাই জামায়াত-শিবির, নতুন বোতলে পুরনো মদ। এর মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের গুটিয়ে যাওয়া এবং উগ্রবাদী নতুন নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের মধ্যমে কতটুকু সফল হবে তারই ড্রেস রিহেরচাল চলছে কিনা তাও ভেবে দেখার সময় এসেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার ও আলোচনায় একই কথা ঘুরেফিরে আসছে যে, তারা মূলত জামায়াত-শিবিরই। এবং এই একই মতাদর্শের উগ্রবাদীরা ভাগাভাগি হয়ে আছে বিভিন্ন সংগঠনে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গী সংগঠন ও জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রমের মধ্যে কোন তফাত নেই। তারা শুধু সাধারণ মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের চোখে ধূলা দেয়ার জন্যই বিভিন্ন নাম ধারন করেছে। এ কথার পেছনে মোক্ষম যুক্তি হলো, অতীত যখনই কোন জঙ্গী সংগঠনগুলোর সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে তখনই এর সাথে কোন না কোনভাবে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্তকা পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের পুস্তিকা, প্রচারপত্র ও জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেটও পাওয়া গেছে। এবং অনেক জঙ্গী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, তারা জামায়াত-শিবিরে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এতে প্রমাণ হয় জঙ্গী সংগঠনগুলো আলাদা আলাদা নামের সংগঠন হলেও এরা মূলত দুজনে দুজনার। জামায়াত-শিবির দেশের মানুষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিতভাবে এই পকেটগ্রুপগুলো সৃষ্টি করেছে । কারণ নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলো থাকায় সুবিধা হচ্ছে জামায়াত-শিবিরেরই। কারণ কোন ঘটনা ঘটলেই সন্দেহের তীর সেদিকে যায়। আর এই গোষ্ঠীটি থেকে যায় চিন্তার বাইরে।
জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরের রাজনীতি এদেশে বৈধ হলেও এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তাবিষয়ক থিঙ্কট্যাঙ্ক 'আইএইচএস জেনস' প্রকাশিত গ্লোবাল টেররিজম এ্যান্ড ইনসারজেন্সি এ্যাটাক ইনডেক্স-২০১৩-এ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশের ছাত্র শিবিরকে রাখা হয়েছে তিন নম্বরে। এর মধ্যে এক নম্বরে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনাল ও দুই নম্বরে রয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান। ২০১৩ সালে সারাবিশ্বে সংঘটিত জঙ্গী ও সন্ত্রাসী ঘটনা এবং সহিংসতার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয় এই তালিকা। এতে উঠে আসে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দন্ডকার্যকরকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা এবং অসংখ্য হতাহতের ঘটনা। পুলিশের গাড়িতে আগুন, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেয়া ও নিরীহ যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান ও বিশেষজ্ঞ মহল অভিন্ন সুরে বলছে দেশে যে জঙ্গীপনার উত্থান ঘটেছে এর নেপথ্যে মূল নায়ক জামায়াত। জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডার কিলিং ও সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্যদের বড় একটি অংশ এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেশে যেসব সংগঠন জঙ্গীপনায় জড়িত এদের অধিকাংশে জড়িয়ে আছে জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার বাহিনীর সদস্য। সরকারীভাবে বলা হয়ে থাকে দেশের ৬টি জঙ্গী সংগঠনের মধ্যে বর্তমানে জেএমবি ও আনসারুল ইসলাম সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তৎপর। কিন্তু আরও বহু নামে জঙ্গী কর্মকান্ডের বিস্তৃতি ঘটেছে। এদের সকলের আসল শেকড় জামায়াত থেকেই বিস্তৃতি। আর জামায়াত ভর করে আছে বিএনপির ওপর। জামায়াত ছাড়া বিএনপি যেমন মেরুদন্ডহীন, তেমনি বিএনপি ছাড়া জামায়াতের অস্তিত্ব ভাবাই যায়না। ভবিষ্যতে জামায়াতকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তারপরও ভিন্ন নামে জামায়াত-বিএনপিকে বাহুবন্ধনে রাখতে সচেষ্ট থাকবে। বিএনপির সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এদেশে সরকারে যাওয়ার যে দুর্লভ সৌভাগ্য লাভ করে বিপরীতে তা বাঙালী জাতির জন্য হয়েছে বড় ধরনের দুর্ভাগ্য মুষ্ঠিঘাত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে আর তার পত্নী খালেদা জিয়া এদের প্রতিষ্ঠিত করে যে কলঙ্ক তিলক কোন দিন মুছা যাবে না। বর্তমানে পর পর দুই দফায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে। একের প্রতি অপরের সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বিএনপি এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ও দোসর এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিগুলো একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে। জ্বালাও-পোড়াও পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে কোন সুফল না আসায় এখন তারা গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, দিনে দিনে এত জঙ্গী সংগঠন কিভাবে গড়ে উঠছে দেশের মাটিতে। এদের পৃষ্ঠপোষক কারা? পুলিশ বলছে, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনে থাকলেও এরা প্রায় সকলেই এক সময় সম্পৃক্ত ছিল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে। তাদের রাজনীতির পাঠশালা একই। জামা'আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি, হরকত উল জিহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলাম, হিযবুত তাহরী'র ও শহীদ হামজা ব্রিগেড এবং এ ধরনের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলো এখন দেশে বেশ পরিচিত ও আলোচিত। এর বাইরে প্রতিনিয়তই এ ধরনের নতুন নতুন সংগঠনের জন্ম হচ্ছে। আর এদের অর্থ, প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সাপোট দিচ্ছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা "আইএসআই" এবং সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদ" যা ইতমধ্যে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে, কাদের প্ররোচনায় মোসাদ এদেশে ঢুকতে পেরেছে।
শেষ করতে চাই এই বলেই, বাংলাদেশে বর্তমানে যেভাবে পরিকল্পিত বা টার্গেটেড কিলিং চলছে, তা একটি স্বাধীন সার্বভৌম শান্তিপ্রিয় প্রগতিশীল দেশের নাগরিক হিসেবে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা সাধারণ নাগরিক হিসেবে এসব অপকর্মের যথপোযুক্ত শাস্তিমূলক বিচার চাই। সৌদি আরব থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আঙ্গুলও জঙ্গীদের দিকে। তবে তিনি জঙ্গীকান্ড ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যোগসূত্রতা থাকার বিষয়টিও বলেছেন পরিষ্কারভাবে। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া বিএনপি মহল থেকে। এতেই বোঝা যায় যে "ডালমে কুচ কালা হায়"। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি ইঙ্গিত করেছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের দিকে। এ ধরনের বক্তব্য অতীতেও দেয়া হলেও তার এবারের বক্তব্যটি গতানুগতিক নয়। কারণ তিনি বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে। এর আগে এতটা জোরালো উচ্চারণ শোনা যায়নি। এ প্রসংগে আমাদের প্রশ্ন হলো যদি সরকার প্রধানের নিকট অকাঠ্য প্রমান থেকেই থাকে তা হলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়। দেশের মানুষ এখন শুধু রাজনীতিবিদদের কৌশলী বক্তব্য শুনতে চায় না, তারা চায় কাজ দেখতে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে, আগের মতো এবারও তিনি এ সম্মিলিত অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে সফলকাম হবেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।