দেশব্যাপী জঙ্গিহামলার পেছনে ইন্ধনদাতা অর্থদাতারা চিহ্নিত

মাহবুবুল আলম
Published : 29 July 2016, 09:52 AM
Updated : 29 July 2016, 09:52 AM

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের কোনভাবেই রক্ষা করতে না পারার কারণে এবং সর্বশেষ পালের গোদাদের একজন  মীর কাশেম আলীর ফাঁসির দন্ডকার্যকর করার আগে শেষ চেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশে জঙ্গীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যম সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার নীলনক্সা করে যাচ্ছে। আর এ নীলনক্সা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলাম, সাকা চৌধুরী, নিজামী ও জামায়াতের মানি মেশিন মীর কাশেম আলীর পরিবার । এই কারণে মরিয়া যুদ্ধপরাধীদের দল জামায়াত এখন জঙ্গীদের মাঠে নামিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী মীর কাশেম আলীকে বাঁচাতে এখন মরিয়া জামায়াত ও তাদের সহযোগী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এই নীল নক্সার ছক কষেই গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা চালানোর পর রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানা গেড়ে ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতায় প্রস্তুতির খবর পেয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৬ জুলাই ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে 'অপারেশন স্ট্রম টুয়েন্টি সিক্স, পরিচালা করে। এই অপারেশনে ৯ জঙ্গি নিহত ও একজন আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গ্রেফতার অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। আর এজ জঙ্গি পালিয়ে গেছে।  নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে এ পর্যন্ত আট জঙ্গির পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে পরে আলাদা একটি নিবন্ধ লেখার অভিপ্রায় পোষণ করে প্রসংগে ফিরে যাচ্ছি।

এমতাবস্থায় ২৫ জুলাই ২০১৬ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বদরবাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলী দন্ডের চূড়ান্ত রায় পুনঃবিবেচনার যে আবেদন করেছিলেন, তার শুনানি এক মাস পিছিয়ে গেছে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। অতিসম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মানবতা বিরোধী অপরাধে আপীল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের ফাঁসির দন্ডের রায় প্রকাশ করা হয়। মীর কাশেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা এরইমধ্যে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও পাঠানো হয়েছে এর কপি। মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে আপীলের পূর্ণাঙ্গ রায় ৬ জুন প্রকাশের পর তা পুনঃবিবেচনা চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাশেম। রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ধারাবাহিকতায় ২১ জুন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি ২৫ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান এবং মামলাটি সোমবারের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় ৬৩ নম্বর ক্রমিকে আসে। নানা অজুহাত দেখিয়ে মীর কাশেম আলীর আইনজীবীরা ইতমধ্যে দুইবারে দুই মাস শুনানী পিছিয়েছে। আর এ শুনানী পেছানো নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যর করতে যত বিলম্ব হবে, দেশে ততই এমন অনাকাঙ্খিত হামলার ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কেননা, তারা এখনও আশায় আছে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিতে পারলে তাদের নিজেদের বা পৃষ্ঠপোষকদের সরকার ক্ষামতায় আসলে মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যাকরের বিষয়টি থামিয়ে দিতে পারবে।

যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে এক মাস পিছিয়ে দেয়ায় মন্ত্রিসভায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মামলাটি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার একটি কারণ। তিনি বলেন, শুনানির জন্য সময় দেয়া এই এক মাসে দেশকে আরও অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা চালাবে। সকলে সতর্ক থাকুন। বৈঠকে উপস্থিতি একাধিক মন্ত্রী অনির্ধারিত আলোচনায় মীর কাশেম আলীর মামলা নিয়ে আলোচনার করে। এ মামলার শুনানি এক মাস পিছিয়ে দেয়ায় মন্ত্রিসভায় উপস্থিত সকল সদস্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিষয়টি উত্থাপিত হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অন্য কোন যুদ্ধাপরাধীর মামলা রিভিউয়ে এত বেশি সময় দেয়া হয়নি। এমনকি দলের প্রধান নিজামীর ক্ষেত্রেও এত সময় দেয়া হয়নি। যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে রিভিউয়ের আবেদনের শুনানি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এ মামলাটির শুরুতেই এক মাসের বেশি সময় দেয়া হয়েছে। এখন আবারও এক মাস পিছিয়ে দেয়া হলো। এটি মোটেও সুখকর নয়। অন্য এক সিনিয়র মন্ত্রী বলেন, মীর কাশেম আলীর মামলা ঝুলে থাকায় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এটি শেষ হলে দেশের জঙ্গীবাদ আর থাকবে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মামলাটি দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার একটি বড় কারণ। তিনি বলেন, সময় বাড়ানোতে এই এক মাস সকলে সাবধান থাকবেন। একে তো আগস্ট মাস। দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে ব্যাপক চেষ্টা চালাতে পারে। এমন খবর আমাদের কাছে আছে। তাই সকলে সতর্ক থাকবেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এমন ক্ষোভ ও সাবধানতা অবলম্বনের একদিন পরই রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুরে দেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি পর্যায়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত ও বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা স্থান-তারিখ উল্লেখ করে দেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার যে হুমকী দিয়ে আসছিল, নিহত এই নয় জঙ্গি তাদের নাটেরগুরুরাই এসব হুমকী দিয়ে আসছিল বলে পুলিশের ধারণা।

এই জঙ্গিদের ইন্দনদাতা নাটেরগুরু কারা তা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত-শিবিরের মানি মেশিন মীর কাশেম আলী, মৃত্যু দন্ডিত মতিউর রহমান নিজামী, সাকা পরিবার, জামায়াত-শিবির ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্র রয়েছে এসব হামলার পেছনে। এবং এরাই বিভিন্ন হামলার নেপথ্যের পরিকল্পনা, অর্থদাতা, নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করেছে । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে গোয়েন্দরা বলেছেন, এর আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও দন্ডিত শীর্ষ আসামীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে দেশব্যাপী গুপ্তহত্যা চালিয়ে রায় কার্যকরের মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে। ভয় দেখিয়ে ও দেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাই মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের আগে তারা মরণকামড় দেয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবেই দেশব্যাপী আইএসের নাম ব্যবহার করে জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রিকায় গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ছাপা সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গোপন সফরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই ধরনের খবর ফাঁস হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গোপন সফরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ও যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজ্জাক। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সঙ্গে সফরসঙ্গী ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটিতে অংশ নেন মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া মতিউর রহমান নিজামীর এক ছেলে ও মীর কাশেম আলীর ছোট ভাই মীর মাসুম আলী। এর সাথে যুক্ত আছে সাকা পরিবারও। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এই বিষয়ে বাংলাদেশকে অবহিত করা হয়েছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ বিষয়ে তদন্ত করছে।

ওইসব প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়ে একাত্তরে চট্টগ্রামের আলবদরপ্রধান মীর কাশেম আলীর নিয়োগ করা লবিস্ট ফার্মের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন সফরকারী দলটি। তারা ম্যানহাটানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে মীর কাশেম আলীর পরিবার ও মার্কিন আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গত ১১ জুলাই রাতে। বেশ কয়েকদিন ধরে গোপনে এই ধরনের বৈঠকের খবরটি ফাঁস হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানের ১২৫ ইস্ট ও ৫০ স্ট্রিটের বেঞ্জামিন হোটেলে ঢুকে লাউঞ্জে বসে ব্যারিস্টার রাজ্জাক প্রকাশ্যে মীর কাশেম আলীর পরিবার ও মার্কিন আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া মতিউর রহমান নিজামীর এক ছেলে ও মীর কাশেম আলীর ছোট ভাই মীর মাসুম আলী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। মুসলিম উম্মাহ ও জামায়াতের সংগঠন 'কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশনের বেশ কয়েকজন নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই খবরটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা গোপন বৈঠকের বিষয়টি মনিটর করেন।

গোয়েন্দাদের তদন্তে আরও বেরিয়ে এসেছে যে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে মার্কিন প্রশাসনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি লবিং ফার্মকে কয়েক বছরে বিপুল পরিমান অর্থ দিয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী মীর কাশেম আলীর ভাই মীর মাসুম। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধে মীর কাশেম আলী যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে প্রভাবিত করতে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিলেন এবং ওই লবিস্ট ফার্মকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলেও জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়। মীর কাশেমের নিজস্ব অর্থায়নে মীর মাসুম নিউইয়র্কে একটি টেলিভিশন চ্যানেলও চালু করে প্রচার মাধ্যম দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে প্রভাবিত করা এবং বাংলাদেশের সরকার বিরোধী প্রচারণা চালানোর প্রধান দায়িত্ব ছিল ওই লবিস্ট ফার্ম ও টিভি চ্যানেলটির। কিন্তু লবিস্ট ফার্ম ও টিভি চ্যানেল তার কোন কাজেই আসেনি।

তাই বর্তমানে সারাদেশে জঙ্গি হামলার মূলহোতা, ইন্দদাতা ও অর্থদাতা কারা তা উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট। এর সাথে লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা বিএনপি নেত্রীর পুত্র তারেক রহমানও যুক্ত আছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর বেরিয়েছে। তাই সরকারকে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে সফলতা অর্জন করতে হেলে এদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে যাবে। শেষ করবো প্রখ্যাত সাংবাদিক জনাব আবদুল গফফার চৌধুরীর একটি নিবন্ধের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে। ২৭ জুলাই ২০১৬ দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত "এই সন্ত্রাসের প্রাণভোমরা দেশের মাটিতেই লুকিয়ে আছে" শিরোনামের নিবন্ধে বলেছেন,'…এই ঘটনা আগেও ঘটেছে। যখনই সা. কা. চৌধুরী বা মতিউর রহমান নিজামীর মতো যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদন্ডাদেশ ঘোষিত হয়েছে তখনই দেশে সন্ত্রাস চালিয়ে, নিরীহ মানুষ হত্যা করে এই দন্ডাদেশ বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার ধারণা, অবশিষ্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য আর ঝুলিয়ে না রেখে দ্রুত এই বিচার পর্বের সমাপ্তি ঘটানো উচিত। তাতেই দেশ সন্ত্রাসমুক্ত হবে না, কিন্তু আপাতত বহু নিরীহ মানুষের প্রাণরক্ষা পাবে। আমেরিকা বলছে আইএস। কিন্তু আমার ধারণা, বাংলাদেশের সন্ত্রাসের পেছনে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দন্ডদানই বড় কারণ। এই সন্ত্রাসের মূলনায়ক জামায়াত এবং তার উপদলগুলো …।"