মিডিয়া দায় এড়াতে পারবে তো?

অতিসাধারন না কি অসাধারন
Published : 15 Dec 2012, 07:15 PM
Updated : 15 Dec 2012, 07:15 PM

ধীরে ধীরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মারাত্মক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা সাধারণ মানুষের মনের আবেগ হয় বুঝতে পারছে না, নতুবা বুঝতে চাচ্ছে না- যা মোটেই কাম্য নয়। দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ (আমার নিজের ধারণা) মিডিয়া (সকল প্রকার দেশি মিডিয়য়া) বতর্মান আওয়ামীলীগ এর অথবা আওয়ামীলীগ সমরথক। দেশে সংঘাত যে আকারে বাড়ছে তাতে কারোরই বিশেষ সুবিধা হবে বলে মনে হয় না। আর যদি সেরকম কিছু ঘটে, তাহলে কি মিডিয়া ফেরিওয়ালারা খুব আরামে থাকবেন। আমি মনে করি অবশ্যই না। মিডিয়ার দায়িত্ব কোন অংশেই কম নয়। তাদেরকে বলা হয় রাস্ট্রের ৫ম স্থম্ভ। তাদের দায়িত্ব হলো দেশের জনগনের মনের আওয়াজ গদীনশীনদের কানে পৌছে দেয়া। কিন্তু বর্তমানে মিডিয়া সে দায়িত্ব পালন না করে- গদীনশীনদের তোষামোদে ব্যস্ত। কিছু নমুনা আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি। যেমন-সরকার সমর্থকরা যখন কোন বিরোধীদলের অফিস জ্বালিয়ে দিচ্ছে, তখন বলা হচ্ছে সাধারন জনগন পুরিয়ে দিচ্ছে। পুলিশের বেদম প্যাদানী খেয়ে বিরোধীদলের কেউ পুলিশের দিকে ঢিল মারলে বলা হচ্ছে পুলিশের উপর হামলা করা হচ্ছে। ফলে মিডিয়ার সকল কর্মকান্ডই নেতিবাচক বলে মনে হচ্ছে।

এ অবস্থায়, মিডিয়ার দায়িত্ব হলো সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা, যাতে সরকার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান এর উদ্যোগ নেয়। অশুভ কোন কিছুই রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না। বর্তমান অবস্থায় সরকারের ই দায়িত্ব বেশি। একটি কথা মনে রাখা উচিত যে, আত্মীয় যদি ধনী হয়, তাহলে সেই ধনী আত্মীয়রই দায়িত্ব হলো গরীব আত্মীয়স্বজন এর খোঁজ-খবর নেয়া-গরীব আত্মীয়ের নয়। কারন গরীব তখন সংকোচ বোধ করে। দেশের রাজনীতির জন্য একই পন্থা প্রযোজ্য। সরকার এখানে ধনী আত্মীয়ের ভূমিকা পালন করবে আর বিরোধীদলের ভূমিকা হলো গরীব আত্মীয়ের মতো।

আর মিডিয়ার দায়িত্ব হলো সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে সরকার কে বাধ্য করতে যাতে সরকার ধনী আত্মীয়ের ভূমিকা পালন করে। অন্যথায় যদি বড় রকমের কোন বিপর্যয় ঘটে তাহলে মিডিয়াও এর বলী হতে পারে।