আমরা কি দেশের মঙ্গল চাই? সত্যি চাই?

মাহফুজ আহেমদ
Published : 17 Nov 2012, 03:49 PM
Updated : 17 Nov 2012, 03:49 PM

আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।লক্ষ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তে ভেজা মাটির উপর আমরা চলাচল করি। মনে প্রানে আমরা সবাই চায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সম্মানিত একটি রাষ্ট্রে পরিনত হোক, অনেকে চেষ্টাও করি অতি দ্রুত দেশকে উন্নতির সর্বোচ্চ সীমায় উপনীত করার জন্য । আর অধিকাংশ মানুষ নিজের কোন হাত নেই মনে করে হাত গুটিয়ে বসে থাকি। সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করার সাহস পায় না। এ দুটি গ্রুপের মাঝের গ্রুপের বর্ণনা ও সংশোধনী দেওয়ায় আমার আজকের উদ্দেশ্য। আমরা চায় দেশের উন্নতি হোক কিন্তু আবার আমি একজন বড় রাজনৈতিক নেতা হতে চায়। দামি গাড়িতে আমি চড়তে চায় আমার সন্তানকে আমি বড় প্রতিষ্ঠানে পড়াতে চায়। আমি চায় আমার কর্তৃত্ব,আমার নাম-ডাক সম্মান, যশখ্যাতি, চায় আমার মতামতের মূল্যায়ন। দেশকে গড়ার ক্ষেত্রে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অন্তরায়।

রাজনৈতিক নেতা হওয়ার জন্য লালন করছি সন্ত্রাস, দামি গাড়ি,বাড়ি করতে যেয়ে করি দুর্নীতি, আমার কর্তৃত্ব,আমার নাম-ডাক সম্মান, যশখ্যাতি, আমার মতামতের মুল্যায়ন করাতে যেয়ে বিভক্ত করছি একটি জাতিকে, অথচ এই কর্মকাণ্ডের জন্য আমার প্রিয় দেশটি যে কত গভীরে নিমজ্জিত হচ্ছে সেটা কি আমরা একবার ভাবছি?

আমরা রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ন্যায় অন্যায় দুভাবেই বিরোধী শক্তিকে ধ্বংশ করার চেষ্টা করছি, অথচ একবার কি ভাবতে পারছিনা এরা আমার প্রিয় দেশের নাগরিক, এরা আমার ভাই, আমার সন্তান, এদেরকে এইভাবে রাজপথে/গোপনে শেষ করলে জাতি একটি প্রান হারাচ্ছে, দেশ তার একটি অঙ্গ হারাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি প্রিয় ছাত্র হারাচ্ছে।

আমরা কি পারিনা আমাদের ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে আমার প্রিয় দেশের জন্য, দেশের নাগরিকের জন্য, একটু কিছু করতে?

রাজনৈতিক পক্ষের শক্তি হয়ে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে চাচ্ছি আমরা অথচ এর কারনে যে দেশে বিভাজনের সৃষ্টি হচ্ছে সেটা কি আমরা উপলব্ধি করতে পারছিনা?

জানি আমার এই লেখার উদ্দেশ্য যারা তাদের কাছে আমার আহব্বান পৌছাবে না, তার পরও মানসিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লিখেছি মনে করছি হয়ত জাতির প্রিয় সন্তানেরা যারা তাদের জীবন দিয়ে সোনার বাংলা আমাদের উপহার দিয়েছেন তারা আমাকে ক্ষমা করবে।