আর কত জুবায়েরকে আমাদের হারাতে হবে?

মাহবুব
Published : 13 Jan 2012, 03:25 AM
Updated : 13 Jan 2012, 03:25 AM

জুবায়ের এখন খবরের শিরোনাম হয়েছে। জীবিত জুবায়ের কখনো শিরোনাম হতে পারত কিনা জানিনা কিন্তু এখন জুবায়েরের কথা জানেনা এমন একজনও হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাবি এখন উত্তাল সাধারন ছাত্রদের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ক্ষোভ আর আন্দোলনে। জুবায়েরের মতো হাজারো তাজা প্রাণ হারিয়ে যাচ্ছে অকালে। আমরা শোকাহত হওয়া ছাড়া আর কিছুই কি করতে পারছি? এভাবে আর কত মায়ের বুক খালি করা সন্তানকে হতে হবে সংবাদের শিরোনাম? কতকাল আর শিক্ষার্থীদের নিজের সহপাঠির ঘাতকদের শাস্তি চাইতে হবে? আজকে যদি ভিসি পদত্যাগ করে, প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা পদত্যাগ করে আর সব খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, তাহলেই কি জুবায়েরকে ফিরে পাবে তার পরিবার? তার বন্ধু-সহপাঠিরা? জীবনের কি কোন বিনিময় হয়? কেউ কি পারবে জুবায়েরকে তার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিতে? পত্রিকাতে বড় বড় শিরোনাম হলে বা তাজা কোন খবর হলে পত্রিকার কাটতি ভাল হতে পারে কিন্তু এতে জুবায়েরের বাবার কাঁধের বোঝা কমানো কি সম্ভব? একটা তাজা প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পর আমরা যে যতই আন্দোলন করি আর একে ওকে দোষারোপ করি জুবায়েরদের কি আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব?

আমরা বিশ্ববিদ্যালয় যাই উচ্চ শিক্ষার জন্য, লাশ হতে নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এমনও অসংখ্য জুবায়ের বলি হচ্ছে নিষ্ঠুর রাজনীতির অথবা তুচ্ছ প্রতিহিংসার। প্রতিটা ঘটনার পরেই নেয়া হয়েছে নানাবিধ পদক্ষেপ, হয়েছে তদন্ত কমিটি, হয়তোবা অল্প কিছু ক্ষেত্রে দোষীরা সাজাও পেয়েছে, কিন্তু একটা খুনি খুন করে সাজা পেলেই কি জুবায়েরের মা ফিরে পাবে তার কোল হারানো সন্তানকে। এই সাজা কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে ভবিষ্যতে আর কোন জুবায়েরের বাবাকে ছেলের সার্টিফিকেটের বদলে তুলে নিতে হবেনা ছেলের ডেথ সার্টিফিকেট? এই সমস্যার মূলে আমরা যতদিন না হাত দিতে পাড়ব ততদিন আমাদেরকে এমনি করে চোখের জলে ভাসিয়ে জুবায়েররা হারিয়ে যেতেই থাকবে। যতদিন না আমরা ছাত্র রাজনীতি নামক বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করতে পাড়ব ততদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং হানাহানি বন্ধ করা সম্ভব না।

হয়তো বা আমার এই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবীকে অনেকেই অযৌক্তিক এবং ছাত্রদের অধিকার হরণের অপচেষ্টা বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু আমি মনেকরি বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষা এবং গবেষণার স্থান। এখানে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা হতে পারে কিন্তু রাজনীতির চর্চা নয়। আমরা যদি পৃথিবীর নামকরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব সেখানে ছাত্র সংসদ আছে যারা শুধুমাত্র সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই পরিচালনা করে থাকে। সেখানে ছাত্র রাজনীতি নামের কোন অপসংস্কৃতির চর্চা হয়না। আর তাই সেখানে ছাত্ররা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে যা এইসব বিশ্ববিদ্যালয়কে পৌঁছে দিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। অন্যদিকে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যেখানে দেশ সেরা ছাত্ররা ভর্তি হচ্ছে সেখানে পৃথিবীর সেরা ৫০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরও আমাদের সেরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খুঁজে পাওয়া কঠিন।

জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝি তা হল, হলে সিট পাওয়ার রাজনীতি, ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার (পরে যা ফাও হিসাবেই গণ্য হয়) রাজনীতি, হয়তো বা কখনো-সখনো ক্ষমতার অপব্যাবহার করে প্রেম করার চেষ্টা করা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেতন বাড়লে, ডাইনিংয়ের খাবার চার্জ বাড়লে অথবা বাসের ভাড়া বাড়লে আন্দোলনের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু আমি মনে করিনা যে এইসব কোন সমস্যাই সাধারন ছাত্ররা নিজেরা সমাধান করতে পারবে না। এইসব সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনীতি করার প্রয়োজন পরেনা। উপরন্তু এইসব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আন্দোলন করে আমরা ক্যাম্পাস অচল করে দিয়ে বরং আমাদের নিজেদেরি ক্ষতি করছি। তাই কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষেই নিজের বয়স ২৫/২৬ হওয়ার আগে পাশ করে বের হওয়া সম্ভব হয়না। কিন্তু আমরা যদি এইসব তুচ্ছ বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে লাইব্রেরিতে বই সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন করতাম, যদি আমাদের ক্লাসরুম গুলোকে সুন্দর করতে, গবেষণার বরাদ্ধ বাড়াতে এবং গবেষণাগার গুলোকে আধুনিকায়নের আন্দোলন করতাম তাহলে আমাদের হাজার হাজার মেধাবীরা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসত, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়তো থাকতে পাড়ত পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র পড়ানো ছাড়া অন্য কোন কাজ না থাকায় অনেকেই দেশে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহী থাকেনা। ফলে তাদের মেধা দেশের কোন কল্যাণেই আসেনা। হয়তোবা তারা কোন কৃতিত্ব দেখাতে পারলে দেশের সুনাম হয়, আমরা হয়তো কিছুটা গর্বিত হই কিন্তু দেশ কি আদৌ উপকৃত হচ্ছে? উপরন্তু দেশ প্রতি বছর হারাচ্ছে হাজারো মেধাবীকে। অনেকেই এদেরকে স্বার্থপর বলে গালি দেন কিন্তু তারা দেশে ফিরে এলেই কি দেশের উন্নতি হয়ে যাবে? অনেকেই লেকচার নোট বেইসড শিক্ষা দিতে আগ্রহী না। কিন্তু ছাত্রদেরকে নিজেদের ধ্যান ধারণার ভিত্তিতে পড়াতে গেলে আশে যত বিপত্তি। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা এখনো সেই পুড়নো চার ঘণ্টা প্রশ্ন উত্তর দেয়ার ভেতরেই সীমাবদ্ধ। তাই এখনো মুখস্থ বিদ্যাই ভাল ফলাফলের একমাত্র উপায়। আর তাই এই বিদ্যা নিয়ে যারা শিক্ষক হচ্ছেন তারা ছাত্রদেরকে, তাদের মেধার বিকাশে সহায়তা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

সাধারণত যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন তারা বেশির ভাগই সমাজের আঁতেল শ্রেণী ভুক্ত। ছেলেবেলা থেকেই তারা নিজ নিজ পাড়া মহল্লাতে পরিচিত হন বিশিষ্ট ভদ্রলোক হিসাবে। কিন্তু এই বিশিষ্ট ভদ্রলোকেরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে একটা লম্বা সময় পার করে ফেলেন, তখন হয়তো এই ভদ্রলোকের খোলসটাকে একটা বোঝা মনে হতে থাকেন। যেন সব সময় শুধু শিক্ষা গবেষণা নিয়ে থাকাটাতে একটু একঘেয়েমি এসে যায়। আসলে একই লেকচার নোট দিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষা দিতে থাকলে একটা সময় এসে তাদের কাছে আর পড়ার কোন বিষয় থাকেনা। তারা অনেকেই হয়তো জানেনও না বহিঃর বিশ্ব তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে কতদূর অগ্রসর হয়েছে। আর তাই তাদের জ্ঞানের পরিধিও খুব বেশি থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে তাই ছাত্ররা আর ক্লাসরুমে আসার বেপারে আগ্রহী না হয়ে বরং লেকচার নোট্‌স জোগাড় করাতেই বেশি আগ্রহী থাকে। তাই ছাত্রদের যথেষ্ট অবসর সময় থাকে যা তারা ব্যাবহার করে রাজনীতি অথবা অন্য কোন অপকর্মে। অধিকন্তু আমাদের শিক্ষকদেরও যথেষ্ট অলস সময় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের জন্য সময় কাটানোর আর কোন ব্যাবস্থা না থাকায় অনেকেই হয়তো অনেকটা শখের বশে অথবা সময় কাটানোর তাগিদেই ঝুকে পরেন রাজনীতি নামক এক মরণ খেলার দিকে।

আমি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২৬ তম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। আমার মনে পড়ে ২০০৫ এর কথা, যখন আমি সুইডেনের Chalmers University তে ন্যানো টেকনোলজিতে ভর্তি হয়েছিলাম। সুইডেন যাওয়ার আগে গিয়েছিলাম আমাদের শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে। আমাদের এক সিনিয়র শিক্ষক আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সুইডেনে কোন বিশ্ববিদ্যালয় আছে কিনা আর ন্যানো টেকনোলজিতে পড়ার কি আছে! অথচ আমারও ১০ বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ থেকে ছাত্ররা ন্যানো টেকনোলজিতে পড়তে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। আর মাইক্রো টেকনোলজির পরের টেকনোলজি হল ন্যানো টেকনোলজি। একজন পদার্থের অধ্যাপকের কাছে এই বিষয় গুলো অজানা থাকার কথা নয়। এ থেকে বুঝা যায় হয় উনার মত শিক্ষকেরা ঘুমিয়ে আছেন অথবা তাদের জ্ঞান সেই ৪০ বছর আগের জায়গাতেই আছে। নিজের অজান্তেই তারা আমাদেরকে ঠেলে দিচ্ছেন ৪০ বছর পেছনের দিকে। তাই বাংলাদেশ শুধু একটা বাজার হিসাবেই পরিচিত থাকছে। এখানে সৃষ্টির কোন চেষ্টা নেই। নেই কোন ব্যাবস্থা।

বর্তমান ইন্টারনেট টেকনোলজির যুগে মানুষ যেখানে প্রতি মিনিটে কি ঘটছে জানতে পাড়ছে সেখানে কি ৪০ বছরের পুরানা ধ্যান ধারণা দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষা দেয়া সম্ভব? আমাদেরকে শুধু এই জানলেই হবেনা কিভাবে চার ঘণ্টা পরীক্ষার হলে কাটিয়ে সব প্রশ্নের দিতে হয়, আমাদেরকে জানতে হবে বিজ্ঞান কতটা এগিয়েছে, আমাদেরকে জানতে হবে কিভাবে গবেষণা করতে হয়, আমাদেরকে জানতে হবে কিভাবে নিজেদের চিন্তাধারাকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়, কিভাবে নিজের চিন্তা গুলোকে সাজিয়ে লিখা যায়। আমাদের শিক্ষকদের দায়িত্ব ছিল আমাদেরকে এই সব বিষয়ে শিক্ষা দেয়া। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওয়ার একমাত্র মাপকাঠি যেখানে শুধু মাত্র ভাল ফলাফল সেখানে শিক্ষার অগ্রগতি সম্ভব না। ইউরোপে যেখানে শিক্ষক হাওয়ার প্রথম যোগ্যতা হল তার গবেষণার যোগ্যতা, ফান্ড যোগাড় করার যোগ্যতা আর সেখানে আমাদের দেশে একজন ব্যাচেলর শেষ করেই শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে। আর এইসব শিক্ষকেরা ছাত্রদেরকে শিক্ষা দেয়ার বদলে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নেই বেশি ব্যস্ত থাকছেন। এমন অনেক শিক্ষক আছে যিনি কিনা অফিসে বসে থাকেন ঠিকই কিন্তু ক্লাস নিতে চান না। উনারা নাকি ছাত্রদের দয়া করে জাবিতে পরে আছেন। কিন্তু আমার কথা হল জাবি আপনাকে যে প্লাটফর্ম দিয়েছে আজ আপনি সেটাকে ভেঙ্গেই সুনাম কামিয়েছেন। সুতরাং নিজেকে নিয়ে বড়াই করার আগে একবার অন্তত জাবির প্রতি কৃতজ্ঞতা রেখে কথা বললেই ভাল হবে বলে মনে করি। আজকেও দেখলাম শিক্ষক সমিতির সভায় শিক্ষকদের হাতাহাতির খাবর! এটা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়েরই নমুনা মাত্র। আসলে শিক্ষক হিসাবে উনাদের কর্তব্য কি হওয়া উচিত উনারা হয়তো সেটাই জানেন না! আর আমাদের তরুনেরা যদি উনাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এর চেয়ে একটু বেশি কিছু করেই ফেলেন তাহলে দোষের কি কিছু থাকার কথা?

এখন ফিরে আসছি মূল প্রসঙ্গে। আজকে ছাত্র রাজনীতির বলি হল আরেকটা তাজা প্রাণ। আমরা অনেকেই তার জন্য শোকে বিমূর্ত হচ্ছি, তার পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা। কিন্তু কবির ভাষায় বলতে হয়, " সাপের দংশনের জ্বালা সাপে না কাটলে বুঝা সম্ভব না"।যে মা তার সন্তানকে হারিয়েছে সেই শুধু জানে সে কি হারিয়েছে। কোন আন্দোলন, কোন দাবী আদায়, কোন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারে না, নিশ্চয়তা দিতে পারে না আর দশটা জীবনের, নিশ্চয়তা দিতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সুস্থ পরিবেশের। আমার মনে হয়না এমন একটা উদাহরণ দেয়া সম্ভব হবে যাতে প্রমান করে যে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে, গবেষণার উন্নয়নে কোন প্রকার ভূমিকা রাখতে পেড়েছে। বরং এটা শিক্ষকদেরকে রাখছে শ্রেণীকক্ষের বাইরে, ছাত্রদেরকে নামিয়ে আনছে রাজপথে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের মুখে। তাই আমরা এখন শুধু সার্টিফিকেটের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহি, শিক্ষার জন্য নয়। তবে আমাদের সবার দাবী হাওয়া উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বেবস্থা করা, সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে দূরে রাখা। তাহলেই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে মানুষ গড়ার কারখানা। শিক্ষকেরা হবেন সেই কারখানার কারিগর। আর সেই কারখানার সৃষ্টি আমাদের ছাত্ররা হবেন আদর্শ মানুষ। তাহলেই আমাদের দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। তাহলে আর আমাদেরকে মেধা শূন্য হয়ে পড়ে থাকতে হবে না।

(বি:দ্র: এখানে আমি একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত দিলাম। দয়া করে ভাল না লাগলে আমাকে গালি দিবেন না। … আর অনেকদিন পর বাংলা লিখছি বলে বানানে অসংখ্য ভুল নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।)

মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান
২৬ তম ব্যাচ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ