আমি অধম বুঝি, কিন্তু তারা উত্তম কেন বোঝে না!?

আল মামুন বাংলার ৪০
Published : 9 Jan 2012, 06:59 AM
Updated : 9 Jan 2012, 06:59 AM

আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ , ১৬ কোটি মানুষের দেশে আমি একজন অতি নগন্য , অধম এক মানুষ । কিন্তু আমার মনে হয় সারাদেশে আমার মত অধম মানুষের সংখা একেবারে কম না । আমার মত একজন মানুষ যে সাধারণ কথা বুঝি, তা আমাদের দেশের উত্তম ( স্বঘোষিত ) রাজনীতিবিদরা কেন বুঝেনা? নাকি তারা সবই জানে ও বুঝে কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থের কারনে না জানার আর না বুঝার ভান করে যাচ্ছে। তারা কী দেশ ও জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেনা? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তারা তো পরোক্ষভাবে নিজেদের সাথেই প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে চলেছে । তাই নয় কী? আমরা বুঝি কিসে দেশ ও জনগণের মঙ্গল । যে দেশের মানুষ সামান্য ভালবাসাতে, সামান্য প্রাপ্তিতে অনেক দুক্ষ কষ্টকে ভুলে যায় , তারা কোন পর্যায়ে গেলে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তা সহজেই অনুমেয় । আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের উপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক । কিন্তু তার বিপরীতে জনগণের প্রাপ্তি কতটুকু তা কী আমাদের উত্তম গন কখনো ভেবে দেখেছেন?

বর্তমানে তাদের রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করলে তেমন কোনও তফাত খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা শুধু স্বার্থের কারনে দুটি আলাদা নামের গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। তারা সব সময় একে অপরের উপর দোষ ছাপানো নিয়ে বেস্ট , কিন্তু তাদের এই চাপাচাপির মধ্যে পড়ে যে জনগণের প্রাণ যায় যায় অবস্থা তা তাদের ভাবার সময় নেই। বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল আওমিলিগ , তাদের যে আশা নিয়ে জনগণ ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে , তারা তার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে তা বিবেচনার বিষয়। তাদের সাফল্যের বা ব্যর্থতার পরিমাণ ও বিচার করার যথেষ্ট জ্ঞান এই অধম মানুষগুলোর আছে। তাদের জবাব দেওয়ার ক্ষমতাও আছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আপনাদের যেসব ক্ষেত্রে সাফল্য আছে তা রক্ষা করে চলুন , আর ব্যর্থতাগুলোকে সাফল্যে পরিণত করার চেষ্টা করুন। অযথা কথা বলে নিজেদের শুধু উপহাসের পাত্রে পরিণত করবেন না । আমরা বিশ্বাস করিনা যে হঠাত্‍ করে কোনও সরকার আমাদের দেশকে তিলোত্তমা করে ফেলবে । সেজন্য সময় ও সত্য ইচ্ছার প্রয়োজন। তা নাহলে জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না। তবে আমাদের দেশের বিরোধীদল ও কোন ও অংশে পিছিয়ে নেই । তারা ও প্রতিদিন প্রতারণার ও মিতথ্যার ক্ষেত্রে সরকারের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে । তারা জনগণের কথা বলার চেয়ে নিজেদের স্বার্থ ও দলীয় পদ ও পদোন্নতির জন্য যেন ফুলঝরি নিয়ে বসেছেন মিতথা কথার । ঠিক যেন সরকারী দলের প্রতিচ্ছবি।