বেশ আড়ম্বরে আইইউটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পূনর্মিলনী ২০১১

মামুন ম. আজিজ
Published : 30 Dec 2013, 08:53 AM
Updated : 13 Feb 2011, 07:40 AM


ঢাকার অদূরে উত্তরা হতে ৮/৯ কিলোমিটার দূরে টঙ্গীর বোর্ডবাজারে হাইওয়ের ধারে লাল দেয়ালে ঘেরা সবুজ ঘাস আর সারি সারি বৃক্ষের সমারোহে লাল ইট বিছানো পথ বিতত হয়ে ছড়িয়ে আছে শান্ত সুনিবিড় পরিচ্ছন্ন এক ক্যাম্পাস। ছাত্রদের অনেকের ভাষায় যার সাংকেতিক নাম `লাল স্বর্গ (Red Heaven)'। সেই লাল ইটের রাঙা প্রান্তরে সবুজ ঘাসের মাঝে গত ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ রোজ শুক্রবার পূনর্মিলনীতে শত শত জোড়া পায়ের পদচারণায় স্মৃতিময় সজীব আলোড়ন উঠেছিল।
অত্যন্ত আধুনিক, সুন্দর, নিপুণ, নান্দনিক এবং মোটামুটি সন্তোষজনক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনলোজি (আইইউটি) এর Reunion 2011।

Organisation of the Islamic Conference (OIC) এর অঙ্গ সংস্থা আইইউটি (IUT)। ১৯৮১ সালের ২৭ মে মার্চ বংলাদেশ সরকারের দেয়া ৩০ একর জমির উপর বোর্ডবাজারে যাত্রা শুরু হয় Islamic Centre for Technical and Vocational Training and Research, ICTVTR এর । যা পরে ১৯৯৪ সালে নামকরন করা হয় Islamic Institute of Technology (IIT)। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এর নামকরন করা হয় Islamic University of Technology (IUT)। 1996 সাল থেকে আইআইটি তে শুরু হয় বিএসসি অনার্স কোর্স। তখন কেবলমাত্র যন্ত্রকৌশল(MCE) এবং তড়িৎ কৌশল(EEE) বিষয়দুটিতেই অনার্স কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে অনার্স তৃতীয় ব্যাচ থেকে MCE এবং EEE এর সাথে আরও খোলা হয় CIT।

বতর্মানে আইইউটিতে অনুষদ বা Department রয়েছে ৫টি। Mechanical and Chemical Engineering(MCE),Electrical and Electronic Engineering(EEE),Computer Science and Information Technology (CIT), Instructor Training and General Studies (ITS) এবং Civil and Environmental Engineering (CEE)।

১৯৯৬ সালে প্রথম অনার্স কোর্স চালুর পর থেকে অদ্যবধী ২০১০ সাল পর্যন্ত আইইউটি থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছে ১১টি ব্যাচ। দেশে এবং দেশের বাইরে সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আইইউটির এক্স ছাত্ররা ক্রমাগত এই ভার্সিটির নাম উজ্জ্বল করে চলেছে। ২০০৬ সালে প্রাক্তন ছাত্ররা গড়ে তোলে IUT Alumni Association বা সংক্ষেপে IUTAA।

এ বছর অর্থাৎ ২১১ সালে গত শুক্রবার বৃহৎ আকারে এবং ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে IUTAA তার REUNION পালন করেছে। প্রাক্তন ছাত্ররা কেউ একা আবার কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে হাজির হয়েছিল আইউইটির রাঙা আবহে। সারাদিন ব্যাপী ছিল এই অনুষ্ঠান। সকালে আইউটির ভিসি Prof. Dr. Imtiaz Hossain এবং ঢাকাস্ত আফগানিস্তান এ্যামবেসি হতে আগত সম্মানতি বিশেষ অতিথি এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় আইইউটা এর বাৎসরিক সাধারণ সভা।
এর পর ছিল ফটো এক্সিবেশন। দুপুরেরর পর থেকেই মূলত শুরু হয় মুল মিলনী অর্থাৎ get together। আইইউটি ক্যাম্পাসের সবুজ প্রান্তর আর লাল ইটের স্বর্গ মুখরিত হয়ে ওঠে পুরানো আর নতুন ছাত্রদের উৎফুল্ল আর প্রানবন্ত উপস্থিতিতে।
দুপুরের পর থেকেই নয়োনাভিরাম স্টেজে শুরু হয় নানান বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান । নীল সবুজ আলোক সজ্জায় আইইটির লেকে আগুন ঝরা মুগ্ধতার ছায়া হয়ে ফুটেছিলদিনের আলো নিভে যেতেই ।

সন্ধ্যার আরও পরে আতশবাজি আর লেজার শো লাল স্বর্গকে সত্যিই আরও এক আধুনিক মায়ায় ভরিয়ে তোলে। আধুনিক বিনোদিন প্রযুক্তির স্বঃতস্ফুর্ত প্রয়োগ চোখ জুড়িয়ে দিয়েছিল উপস্থিত সকলকে মুহূর্তে।

ছাত্রদের নিজস্ব ব্যান্ড এবং দেশের আলোড়ন জাগানো ব্লাক ব্যান্ড পরিবেশন করে মন মাতানো সংগীত।


ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রাত। অনুষ্ঠান শেষ হতে থাকে। শুরু হয় ঢাকা মুখী জ্যাম ঠেলে হাসি মাখা মুখে প্রাক্তন ছাত্র আর অতিথীদের ঘরে ফেলার পালা। পেছেনে প্রাক্তন ছাত্রদের জন্য আইইটিতে রয়ে যায় পুরানো চার বছর পড়াকালিন স্মুতির সাথে আরেক পশলা নব স্মৃতি।