ময়মনসিংহে কালাজ্বর চিকিৎসা

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 1 Sept 2014, 05:17 PM
Updated : 1 Sept 2014, 05:17 PM

কালা-জ্বর একটি মারাত্মক রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে তা মারাত্মক আকার ধারন করে, এমনকি চিকিৎসা নেওয়ার পরও শতকরা ৫জন রোগী মৃত্যুর ঝুকিতে থাকে। কালা-জ্বর লিইসম্যানিয়াসিস রোগের একটি ধরন যা লিইস ম্যানিয়া ডনোভ্যানি দ্বারা হয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং যাহা সাধারনত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠির মাধ্যমে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে এপর্যন্ত ৪৫ টি জেলায় কালা-জ্বর সনাক্ত হয়েছে এবং ২০১৩ সালে ১৪২৪ জন শনাক্ত হয়েছিল। যাদের মধ্যে ৭৮০ জন ময়মনসিংহ জেলায় সনাক্ত হয়। এবং চিকিৎসা নেয় ৬২০ জন। ২০১২ সালে ময়মনসিংহ জেলায় মোট ১৫২৯ জন এ রোগে সনাক্ত করা হয়। চিকিৎসা নেয় ১২৪৭ জন। এতে দেখা যায় ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে। আরও সচেতন হলে একেবারেই নির্মূল করা যাবে বলে গবেষকদের বিশ্বাস।

কালা জ্বরের লক্ষণ সমূহ- দীর্ঘদিন যাবৎ জ্বর(১৪ দিনের বেশী), প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, রক্ত স্বল্পতা, ওজন কমে যাওয়া। যদি উল্লেখিত লক্ষণ সমূহ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বা জেলা সদর হাসপাতালে অথবা ময়মনসিংহ সূর্যকান্ত কালা-জ্বর গবেষণা কেন্দ্রে (এস.কে হাসপাতালে) গিয়ে রোগ নিরুপনের পরামর্শ দিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।

কালা-জ্বর নির্ণয়ের পদ্ধতি সমূহ হল – কালচার পরীক্ষা, দ্রুত কালা-জ্বর পরীক্ষা (আরকে-৩৯ পরীক্ষা), সেরো ডায়গোনোসিস, অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা, পি.সি.আর পরীক্ষা সূর্যকান্ত কালা-জ্বর গবেষণা কেন্দ্র (এস.কে হাসপাতাল) ময়মনসিংহে উপরের সকল পরীক্ষা সহ নিম্নরূপ সেবাসমূহ দেওয়া হয়ে থাকে।

সপ্তাহে ৬ দিন বহিঃবিভাগ থেকে কালা-জ্বর রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। সপ্তাহে ৭ দিন আন্তঃবিভাগ সেবা দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপের চিকিৎসা ও রুটিন সেবা দেওয়া হয়। কালা-জ্বরের বিশেষ পরীক্ষা নীরিক্ষা (সপ্তাহে ৬ দিন) কালা-জ্বরের জন্য আর.কে ৩৯, ম্যালেরিয়ার জন্য আই.সি.টি, প্লীহা/ অস্তিমজ্জা ও চামড়ার থেকে রস নিয়ে কালা-জ্বরের জীবানু পরীক্ষা, পি.সি.আর, কালচার করা এইসব সহ সকল ধরনের কালা-জ্বরের ঔষধ সহ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।