ময়মনসিংহে পামওয়েল

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 5 Oct 2014, 07:58 AM
Updated : 5 Oct 2014, 07:58 AM

ময়মনসিংহে পামওয়েল চাষ। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাষ হচ্ছে অর্থকরী ফসল পামওয়েল। চাষী পেয়েছেন আশানুরুপ ফলন । প্রতিটি গাছে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি তেল আহরণ হয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে । ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ১নং দুল্লা গ্রামের কৃষক রিয়াজুল করিম ব্যক্তি উদ্যোগে তার পুকুর ও ফসলী জমির ক্ষেতের আইলে ১০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০০৮ সালে ৪০টিরও অধিক পাম গাছের চারা রোপন করেন । রোপিত গাছের ১৬ টিরও অধিক গাছে এখন কাঁদিতে কাঁদিতে পরিপক্ক ফল । বাংলাদেশ পামওয়েল উন্নয়ন প্রকল্প ও পামওয়েল রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট লি: সূত্রে জানা যায় , এটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । টানা ৬০ – ৭০ বছর ফল দেয় । ঝড় জলোচ্ছাসে গাছের ক্ষতি হয় না । অন্যান্য গাছ থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন দেয় ।

১ একর পামওয়েল চাষে ঘরে বসেই মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব । প্রতি গাছে মাসে ১ হাজার টাকা আয় হয় । একটি পরিবারের সারা বছরের তেলের চাহিদা পূরণের জন্য ২টি গাছই যথেষ্ট । ২০ ফুট দূরত্বে ২ ফুট বাই ২ফুট গর্ত করে মাটির সাথে ৫/৭ কেজি গোবর , ১শ' গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম এম,ওপি মিশিয়ে চারা রোপন করতে হয় । ফল থেকে হাতে ও মেশিনে তেল সংগ্রহ করা হয় । ফল পানিতে সিদ্ধ করে চিপন দিলে তেল বের হয় । টঙ্গী মাজুখানে ইতিমধ্যে মিল স্থাপন করা হয়েছে । ভবিষ্যতে সারাদেশেই ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মিল স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে । পামচাষী রিয়াজুল করিম জানান, পাশ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার একটি নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করে ক্ষেতের আইলে রোপন করা হয় । মুক্তাগাছা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এই গাছ যত বড় হবে তেল উৎপাদন তত বাড়বে । উৎপাদিত ফল থেকে তেল সংগ্রহের জন্য উদ্যান উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের সহযোগীতা নেয়া হয়েছে ।

জানা যায়,পামওয়েল নামক গাছটি ভোজ্য তেলের একটি বিশুদ্ধ ও সমৃদ্ধ উৎস। এ মহাদেশে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম পাম গাছ লাগানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বিপের বোগার বোটানিক্যাল গার্ডেনে ১৯৪৮ সালে এই গাছ দেখা যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিইস গিনিনিসি। আদি নিবাস আফ্রিকা মহাদেশে।