ময়মনসিংহে তরল বর্জ্য

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 11 Oct 2014, 07:15 PM
Updated : 11 Oct 2014, 07:15 PM

ময়মনসিংহে তরল বর্জ্য।ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদরে , মুক্তাগাছায় , ফুলবাড়ীয়ায় , ফুলপুরে, হালুয়াঘাটে , ভালুকায়, ত্রিশালে, গফরগাঁওয়ে , ঈশ্বরগঞ্জে, গৌরীপুরে , নান্দাইলে , ধোবাউড়ায় এবং তারাকান্দায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর রুপ ধারণ করছে । অপরিকল্পিত নগরায়ন প্রক্রিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠছে শিল্প-কলকারখানা ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর। এসব অবকাঠামোর জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পয়ঃনিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এতে মানুষের বাসগৃহ ,ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র,শিল্প-কারখানা,কৃষিক্ষেত্র,শোধনাগার,কসাইখানা এবং উন্মুক্ত স্থান থেকে নির্গত তরল বর্জ্য পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থাকে জটিল করে তুলেছে।

রান্নাঘরের পরিত্যক্ত তরল পদার্থ ,কারখানার তেল ও বর্জ্য,কসাইখানার রক্ত ,ছাপাখানার রং ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ অপসারন না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা। সম্প্রতি ভালুকায় একটি ডাইং কোম্পনিকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু তার পরও থেমে নেই এসব কার্যক্রম। অভিজ্ঞ মহলের মতে, পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। অপরদিকে সরকারের উচিত নদী খাল বিল উদ্ধার করে পুনঃখনন করা এবং উন্মুক্ত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা । সুন্দর পরিবেশ সুস্থ জীবনের জন্য জনগনকে সচেতন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই বলে জানান,ভুক্তভোগীরা। ছবি : নতুন বাজার উন্মুক্ত ড্রেন, জজ কোর্ট অভ্যন্তরে নাজুক পয়:নিষ্কাষন ব্যবস্থা।