শীতার্ত অতিথি পাখি ও আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 27 Oct 2014, 05:33 AM
Updated : 27 Oct 2014, 05:33 AM

ষড়ঋতুর রঙ্গশালা আমাদের বাংলাদেশ । পর্যায়ক্রমে তাদের আগমন , অভিনয় ও অন্তর্ধান আমাদের চকিত , বিষ্মিত ও হতবাক করে দেয় । শরতের শেষে হিমের জড়িমা নিয়ে আসে হেমন্ত।

তারপর কুজ্‌ঝটিকার হিমেল আবরণ টেনে উপস্থিত হয় শীত তার চরম শুষ্কতার রূপ নিয়ে । শীত এসেছে ।


আজ ১২ কার্তিকের প্রত্যুষে শীতের অনুভূতির স্পর্শ প্রজাতিকূলকে দোলা দিয়েছে । ভোরের সকাল কাটছে মানুষের পাতলা কাঁথা গাঁয়ে জড়িয়ে । ধুনকরেরা ইতিমধ্যে লেপ তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন । শুরু হয়েছে কম্বল বিক্রি । বিস্তীর্ন ফসলের মাঠে আমন ধান গাছের পাতায় শিশির বিন্দু নৈসর্গিক রূপ বদলের ছাপ পড়েছে প্রকৃতিতে। শীতের আগমনীতে আবহমান বাংলায় দরিদ্র শ্রেণীর শীতার্ত মানুষের দুর্বিষহ কষ্ট চিরকালের ।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আসা অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণও অনন্তকালের । যদিও এক দশকে মনুষ্যরূপী হায়েনার শ্যান দৃষ্টি এই পাখিদের আতংক সৃষ্টি করছে । এই অতিথি পাখি শিকার আমাদের জাতির উপর কলঙ্ক সৃষ্টি করেছে । বিগত এক দশকে বাংলাদেশের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে । অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সমৃদ্ধি এসেছে । আমরা ইচ্ছা করলেই পারি সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে শীতার্তদের দুর্বিষহ কষ্ট লাঘবের । আমরা এও পারি অতিথি পাখিদের শিকার না করে তাদের বাসযোগ্য অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি করতে। এজন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশীরা এখন শৃঙ্খল, সততা, সত্যবাদিতা, স্বদেশ প্রেম, সহিষ্ণুতা ,চরিত্রবান,শিক্ষিত বাঙ্গালী জাতি । আসুন অতিথী পাখি শিকার থেকে বিরত থেকে এবং শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের পরিচয়কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরি । মনে করি এটা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য ।