মুক্তাগাছায় বাদুড়

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 10 March 2015, 07:32 PM
Updated : 10 March 2015, 07:32 PM

মুক্তাগাছায় বাদুড় । ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের নগেন্দ্র নারায়ণ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছে গাছে শ'শ'বাদুড়ের কিচির মিচর শব্দ পথিকের দৃষ্টি কাড়ে ।
বৃটিশ আমলে প্রতিস্ঠিত মুক্তাগাছার একজন জমিদারের বাড়িতে অবস্থিত স্কুলটির পেছনে বিশাল আকারের প্রায় এক ডজন প্রাচীন গাছে দিন-রাত ঐ বাদুড়দের ঝুলে থাকতে দেখা যায় ।

জানা যায়, বাদুর গোষ্ঠীর মধ্যে বাদুড় উড্ডয়নশীল স্তন্যপায়ী প্রাণী । বাংলাদেশে এর প্রায় ২৮টি প্রজাতি আছে । তন্মধ্যে (Pteropus medius) একটি বৃহৎ আকার বাদুড় । সমগ্র বিশ্বে এদের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার । বিশ্বে একটি মাত্র উড্ডয়ন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণী বাদুড়দের প্রজাতিসংখ্যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মোট প্রজাতিসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ । এদের ৭০ ভাগ প্রজাতি পতঙ্গভূক, বাকিরা ফল-মূল খায় । বাদুড় নিশাচর প্রাণী । দিনের বেলায় অন্ধকার স্থানে উলটো হয়ে ঝুলে থাকে । বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ, তাই চলার সময় শ্রবণশক্তির উপর নির্ভর করতে হয় । বাদুড়ের কান শব্দোত্তর তরঙ্গের শব্দ শুনতে সক্ষম । চলার সময় বাদুড় ক্রমাগত মুখ দিয়ে শব্দোত্তর তরঙ্গের শব্দ তৈরি করে এবং সেই শব্দ তার চারপাশ থেকে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসলে বাদুড় সেই প্রতিধ্বনি থেকেই আশেপাশের সম্ভাব্য বাধা-বিঘ্ন সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে ও তা এড়িয়ে চলতে পারে ।

এক সময় মুক্তাগাছার সর্বত্র বাদুড়দের অবাধ বিচারণ করতে দেখা যেতো । ক্রমান্বয়ে পুরনো গাছ পালা ধ্বংস করায় আবাসস্থল হ্রাস এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বাদুড়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।