বাজেনা মাহতাবের তবলার ঝংকার

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 24 March 2015, 08:58 PM
Updated : 24 March 2015, 08:58 PM

২জন তবলা বাদককে দেখিছে যাদের তবলার সুর ঝংকারে পাগল হয়ে উঠতো মন । একজন প্রয়াত পূণ্য ওস্তাদ । জীবদ্দশায় পূণ্য ওস্তাদকে দেখেছি মানুষের কাছে ২/১ টি টাকার জন্য হাত পাততে । কি করুণভাবে তাকে চলতে হয়েছে । আজ তিনি নেই, আছেন মাহতাব হোসেন । মুক্তাগাছা শহরের পুরতান বাসস্ট্যান্ডের বাসিন্দা মাহতাব উদ্দিন পিতা নূর হোসেন আনসারীরর হাতে তোলা ঝংকারে শৈশবে হাতেখড়ি । এ পাড়া ওপাড়া মানুষকে তবলা বাজিয়ে ভালোবাসা কুড়ানো। এরপর যখন স্টেইজে(মঞ্চে)তখন মাহতাবের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুক্তাগাছা তথা ময়মনসিংহ অঞ্চলে। মুক্তাগাছা শিল্পকলা একাডেমীতে মাহতাব গড়ে তুলে অনুসারী অনেক তবলা শিল্পী । শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে, নিজেই দোয়েল ললিত কলা একডেমী প্রতিষ্ঠা করেন । দোয়েল ললিত কলা একাডেমী বেশীদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি মাহতাব ।.শৈশব,কৈশর,যৌবনের সকল শ্রম ত্যাগে উপার্জিত তবলা বাদক মাহতাব অথনৈতিক দৈন্যতার কারণে দোয়েল ললিত কলা একডেমীর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বর্তমানে গাজিপুর জেলায় অবস্থান নিয়েছেন। আমরা মুক্তাগাছাবাসী এতটাই নির্লজ্ব যে, এমন একজন গুণী শিল্পীর কদর দিতে পারলাম না। মাহতাবের মুক্তাগাছা ত্যাগের পর আজ তেমন একটা বাজে না ,ধা- ধিন- ধিন- না,তা-তিন-তিন-না । ধা-তির-কিট-ধা,তা-তির-কিট-তা