প্রতারকের মোবাইল নাম্বার ০১৯১০-০৪২২৪২

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 24 April 2015, 11:59 AM
Updated : 24 April 2015, 11:59 AM

প্রতারকের কবলে মুক্তাগাছার ওসি পৌরসভার মেয়র।

সারাদেশে প্রতারকচক্র সক্রিয় রয়েছে- উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সংঘটিত প্রতারণার একটি ঘটনা উল্লেখ করে জানানো হয়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র আব্দুল হাই আকন্দ বুধবার সকালে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বিকাশের মাধ্যমে ২৪ হাজার ৫৭৫ টাকা প্রদান করেছেন।

পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রতারকচক্র মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনকে ০১৯১০-০৪২২৪২ নম্বর থেকে ফোন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়ে জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর বাসার কাজের মেয়েটির বাড়ি মুক্তাগাছায়। মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল। মঙ্গলবার সে মারা গেছে। তার লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের অ্যাম্বুলেন্সে করে মুক্তাগাছায় পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা ও লাশ পাঠানোতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ওসি যেন মেয়র সাহেবকে একটু বলে দেন।

পরে ওসি মেয়র আব্দুল হাই আকন্দকে কথিত যুগ্মসচিবের ফোন নম্বরটি দিয়ে কথা বলতে বলেন। মেয়র ওই নম্বরে ফোন করলে প্রতারকচক্র তাকেও একই কথা। একই সঙ্গে তাকে জানায়, শিক্ষামন্ত্রী নগদ দশ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও আরো ২৪ হাজার ৫৭৫ টাকা বকেয়া পড়েছে। এ টাকা না দিলে লাশ হস্তান্তর হচ্ছে না। উক্ত টাকা মেয়র সাহেব দিলে শিক্ষামন্ত্রী বুধবার বিকেল ৩টায় তাকে এক লাখ টাকার চেক দেবেন। সেখান থেকে ২৪ হাজার ৫৭৫ টাকা রেখে বাকি টাকা উক্ত মেয়েটির পরিবারকে দেবেন। পরে মেয়র সরল বিশ্বাসে বিকাশের (০১৭০৩-০৪৬১৪৮) মাধ্যমে উক্ত পরিমাণ টাকা প্রদান করেন।'

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, 'মেয়র প্রতারকের কথা মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসে উক্ত ফোন নম্বরটি কার জানতে চান এবং চেকের খোঁজে শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে আসেন।'

মেয়র আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, 'ওসি আমাকে নম্বর দিয়েছেন, আমি কি করে অবিশ্বাস করেছি। প্রতারণার বিষয়টি আমার মাথায়ই আসেনি।' ওসি কামাল হোসেন বলেন, 'যুগ্মসচিব পরিচয় নিয়ে মেয়রের নম্বর চেয়েছেন, তাই আমি দিয়েছি। আমি কোন টাকা পয়সা দেওয়ার কথা মেয়র সাহেবকে বলিনি।'

এর আগেও এরকম উদ্ভট কাহিনী সাজিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র-একথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রতারকচক্র সারাদেশে সক্রিয় রয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকা এবং প্রতারকচক্রকে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।'