ময়মনসিংহের গ্রামের মেয়ে মারজিয়া তাসলিমা

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 29 April 2015, 06:51 PM
Updated : 29 April 2015, 06:51 PM

২০১৩ সালের কথা । ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়ার পাহাড়ী এলাকা কলসিন্দুর বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ফুটবলাররা দূরন্তগতিতে এগিয়ে চলেছে।

ইতিমধ্যে তারা বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের বিভিন্ন উপজেলা ,জেলা জয় করে ঢাকা ডিবিশনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। তাছাড়া ঐ টিমের মারজিয়া আক্তার ও তাসলিমা আক্তার নামে দুইজন ক্ষুদে ফুটবরলার বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুর্ধ ১৪ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফর করে আসে।

সেখানে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান লাভ করে একটি পেয়ার প্লে ট্রপি অর্জন করে।মারজিয়া আক্তার একমাত্র খেলোয়ার হিসেবে সবগুলো খেলায় ৯০ মিনিট খেলার রেকর্ড অর্জন করে।শ্রীলঙ্কায় মারজিয়া আক্তার ২ টি গোল করে।এছাড়া তাসলিমা আক্তার ও অসাধারন পারফরমেন্স করে।
দলে রয়েছে তহুরা নামে এক ক্ষুদে ফুটবলার যাকে সবাই মেসি বলে আখ্যায়িত করে।কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব মফিজ উদ্দিন মন্জু স্যারের সাথে এই সাফল্যের রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসলে সম্পূর্ন কৃতিত্ব ওদের ওরা খুব পরিশ্রমী পাশাপাশি আমরা সবসময় ভাল মানের কোচ এনে প্রশিক্ষন দিচ্ছি।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় দলের প্রাণ ভোমরা মারজিয়া আক্তার,তাসলিমা ও ক্ষুদে মেসি তহুরার সাথে।মারজিয়া আক্তার গামারীতলা গ্রামের এক কৃষক আঃ মোতালেবের মেয়ে,তাসলিমা আক্তার রাণীপুর গ্রামের ব্যাবসায়ী সবুজ মিয়ার মেয়ে।কথা হয় তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পড়ালেখা নিয়ে।

তারা জানায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জতীয় দলের একজন ভাল ফুটবলার হওয়ার সপ্নের কথা। অতিরিক্ত ফুটবল খেলার কারনে পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মারজিয়া বলে একটু তো হচ্ছেই তবে মেনেজ করে নেব।ভবিষ্যতে ধোবাউড়ার ভবিষ্যৎ উজ্জল করবে এই প্রত্যাশা এখন ধোবাউড়াবাসীর মনে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল দল। গতকাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারায় ইরানের অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল দলকে।

আজ ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল দল। অপর সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে নেপাল ফাইনালে উঠেছে।
শক্তিশালী ইরানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

দুই অর্ধে দুটি গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে শুরুতেই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচে ২৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের হয়ে গোলের সূচনা করেন কৃষ্ণা রানী সরকার (১-০)।

ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর ইরানের মেয়েরা গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে শুরু করে। এই অর্ধে বাংলাদেশ কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবলের কৌশল বেছে নেয়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে এসে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণ থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মারজিয়া (২-০)।

ম্যাচের বাকিটা সময় গোলের চেষ্টা করেও কোনো গোল করতে পারেনি ইরান। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।

এর আগে বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ১৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে মারিয়া ও সানজিদা ৪টি করে গোল করে।
photo captation :গতকাল সকালে এ এফ সি আই অনুর্ধ ১৪ মহিলা বাংলাদেশে ফুটবল দল নেপালে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণ করায় ময়মনসিংহের ১০ জন মেয়েকে অভিনন্দন জানান ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তবৃন্দ ।