ময়মনসিংহে বাড়ছে হলুদ চাষ

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 13 June 2015, 04:24 PM
Updated : 13 June 2015, 04:24 PM


ছবি ক্যাপশন : ময়মনসিংহ : ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে উৎপাদিত হলুদ

কৃষি ব্যাংকের ঋণ সুবিধা , চাষাবাদে কৃষকের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি , প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধা সৃষ্টি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাজারে হলুদের চাহিদা বাড়ায় ময়মনসিংহসহ তৎসংলগ্ন গড় অঞ্চলে প্রতি বছর বাড়ছে হলুদ চাষ । কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে জানা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা , জামালপুরের একাংশ এবং টাঙ্গাইলের মধুপুর , ঘাটাইল ও সখিপুর উপজেলার গড় অঞ্চলের চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয় । উৎপাদন হয়েছে সহ¯্রাধিক টন । স্থানীয় বাজারে গুড়ো হলুদ প্রকারভেদে প্রতিকেজি ১শ'৬০ টাকা থেকে ১শ' ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । হলুদ চাষীদের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির ফলে চাষাবাদে বেড়েছে কৃষকের আগ্রহ । প্রতিবছর চাষাবাদ করায় কৃষকের হলুদ চাষে হয়েছে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা ।হলুদ চাষের অঞ্চলগুলির নিকটবর্তীস্থানে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য গুড়ো মসলার মিল । মিলগুলিতে হলুদ গুড়ো করে প্যাকেটজাতের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করা হচ্ছে । এক সময় গড় অঞ্চলের উঁচু নিচু রাস্তা বর্ষাকালে চলাচলের অনুপযোগী ছিলো । বর্তমানে এসমস্ত রাস্তা পাকা হয়েছে । পাকা রাস্তার বদৌলতে ছোট- বড়, মাঝারি এবং ভাড়ি মানের যানবাহন অনায়াসে চলাচল করছে । বিশেষজ্ঞ মহল সূত্রে জানা যায় ,অধিকাংশ মসলা সুগন্ধের জন্য খাদ্যের সাথে যোগ করা হয় , কিন্তু হলুদের ব্যবহার প্রধানত: এর বর্ণের কারণে। কারকিউমিন নামক একটি রঞ্জকের উপস্থিতির দরুণ হলুদের বর্ণ হলুদ হয় । বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ হলুদ থেকে হলুদ তৈরীর প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছে। প্রসাধনী দ্রব্য ও কাপড় রং করার রঞ্জক তৈরীতেও হলুদের ব্যবহার রয়েছে। অত্রাঞ্চলে বহু জাতের হলুদের চাষ হয় । দেশের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো মাইষা,আরশী,হরিণ পালি ইত্যাদি নামে পরিচিত। বৃহত্তর ময়মনসিংহের গড় এলাকা দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি হলুদ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বলে কৃষি বিশেষজ্ঞ সূত্র জানিয়েছে।