তিনি বলেন, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় জেলাগুলোর আদালতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ডিজিটালাইজেশন চালু করা হবে । ২০০৫ সালের আগে পুরাতন জিআর, ননজিআর, প্রিয়াংশন প্রসেডিং মামলাগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, এ জন্য আমি বিচারকদের নির্দেশ দিয়ে যাবো। পাশাপাশি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আইনজীবীদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, "আমি কোর্টে ডিজিটালাইজেশন চালু করে দিয়েছি। আমার জেলা সিলেটে ইতোমধ্যে ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঈদের পর পরই সেখানে ডিজিটালাইজেশন হবে।"
তিনি বলেন, আদালতে যে স্বাক্ষী দেবে সেটি আর বিচারকদের রেকর্ড করতে হবে না। জেরা করবেন, মনিটরে ভেসে উঠবে। ঢাকা ও সিলেটে ত্রুটিহীনভাবে ডিজিটালাইজেশন চালু হয়ে গেলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় জেলাগুলোতে চালু করা হবে।
প্রধান বিচারপতি প্রত্যেক বিচারককে নিজ হাতে কম্পিউটার দিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, রায় হবার সঙ্গে সঙ্গে যেন ডুপ্লিকেট সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যায়, সেজন্য আমি জুডিশিয়াল কনফারেন্সে নির্দেশনা দিয়ে যাবো। ময়মনসিংহের বিচারালয়ে যেসব সমস্যা আছে তা দেশের অন্যান্য বিচারালয়ের তুলনায় কম এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি নিজে বেশ কিছু আদালতে গিয়ে কিছু পুরাতন মামলা দেখেছি। এ মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিস্পত্তি হয়ে যায়, তার নির্দেশনা দিয়ে যাবো, যাতে করে জনগণের কষ্ট না হয়।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বেল পিটিশন, ইনজাংশন পিটিশনগুলো আগে সকালে শুনানি করা হতো। বিকেলে আর এ বেল পিটিশনগুলোর শুনানি করতেন না। আমি নিজে কোর্ট থেকে নামার পর বিভিন্ন স্টেশনে সেশনস জজদের আড়াইটার সময় ফোন করেছি। কেউ বাসায় চলে গেছেন, কেউ কোর্টে ওঠেন না। তাদেরকে বাধ্য করার জন্য বিকেলে বেল পিটিশন করতে বলেছি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ.এফ.এম.নজমুল হুদা, সাবেক সংসদ সদস্য এম. জুবেদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান, কবির উদ্দিন ভূইয়া, জিপি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এদিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পত্নি শ্রীমতি সুষমা সিনহা ময়মনসিংহের শ্রী শ্রী জয়কালী মাতা মন্দির (বড় কালীবাড়ী) পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিচারপতির পত্নিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতি এডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কোষাধক্ষ শ্রী যাদব সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তপন সাহা সহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।