ফেসবুক বাংলাদেশে বন্ধের ইতিহাস যোগ হলো

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 20 Nov 2015, 04:35 PM
Updated : 20 Nov 2015, 04:35 PM

ফেসবুক আছে, থাকবে । বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ রাখার ঘটনাও যুক্ত হল ইতিহাসের পাতায় । যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ, যার মধ্যে দিয়ে তাদের দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর পথ তৈরি হল। সম্ভবত এ করণেই ফেসবুক, ভাইবার, লাইন ও হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

বুধবার দু'টি আলাদা নির্দেশনায় এসব মাধ্যম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব মাধ্যম বন্ধ করতে গিয়ে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে সব কিছুই সাময়িক।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করার বিষয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় 'নিরাপত্তার' কারণ দেখিয়ে ভাইবার, ট্যাংগো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের পাঁচটি অ্যাপসের সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। তখন বলা হয়েছিল, নাশকতাকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এসব অ্যাপস ব্যবহার করছে।( সূত্র: ইত্তেফাক)

যে কারণেই হোকনা কেন , ফেসবুক বন্ধ রাখাও ইতিহাসের পাতায় যোগ হলো বাংলাদেশ । জানা যায়, এই মুহূর্তে দেশের ৫৪ লাখের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ফেসবুক ব্যবহার করছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান নিজস্ব ব্লগপোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, এসব ব্যবহারকারীর মধ্যে ৪২ লাখ পুরুষ এবং ১২ লাখ মহিলা। গত জুন মাসের ৫ তারিখে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ৮ লাখ। মাত্র ৬৮ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১৬ লাখ ব্যবহারকারী বেড়েছে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৮০ জন। এ হিসাব অনুযায়ী গত দুই মাসের ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৪ মাসে এই সংখ্যা ৮০ লাখে পৌঁছাবে। ব্লগে আরও বলা হয়েছে, যে কোনো দেশের মতো আমাদের দেশেও ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মূল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ফেসবুকের নাম এসেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ফেসবুকের উল্লেখ, রামুর ঘটনা, চাঁদের বুকে সাঈদী ইত্যাদি নানা কারণে অনেকে ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে দেশের মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার। ২০১২ সালের প্রথম দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখের বেশি। এ হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালে ১০ লাখ ব্যবহারকারী বেড়েছে। পরবর্তী দুই মাসে ১৬ লাখ বেড়েছে। এদিকে মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগের কারণে ব্যবহারকারীরর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন মুনীর হাসান। তিনি জানিয়েছেন, এই ৫৪ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী আছে। প্রযুক্তির বিস্তৃতির ছন্দে সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনেও এখন প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়ছে।

'ইন্টারনেটের রাজা' হিসেবে খ্যাত ফেসবুক বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে মোট ব্যবহারকারী ৫৪ লাখের বেশি'। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার বলেন, মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য অনুসারে যোগাযোগ স্থাপন করতে না চাইলেও ঘটবে। একে অপরের সঙ্গে স¤পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা থেকেই তা হয়। ফেসবুকে দেখা যায় কারও কারও ৫ হাজার বন্ধু। স্বাভাবিকভাবে এত জনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্ক স্থাপন কখনোই সম্ভব হতো না, যদি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট না থাকত। চমৎকার এ ব্যবস্থার সঙ্গে খারাপ কিছু দিকও আছে। যেমন মেয়েদের বিরক্ত করা, চরিত্র হনন করা, বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা, ভুয়া আইডির মাধ্যমে বিখ্যাত ব্যক্তিদের গালিগালাজ করা। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা যেত মন্তব্য করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ২০০৬ সালে আইসিটি অ্যাক্ট প্রণীত হয়। পরে ২০০৯ সালে আইনের সংশোধন হয়। তবে এখনও এ আইনটির কার্যকর কোনো প্রয়োগ নেই। সুনামহানিকর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা দেয়ার বিধান থাকলেও তা প্রয়োগ করতে দেখা যায় না। এছাড়া এ ধরনের বিচারকার্যের জন্য আলাদা আদালত স্থাপনের কথা ছিল। সেটাও হয়নি। এ আইনের কার্যকর প্রয়োগ থাকলে এদিকে দেশে হঠাৎ করেই সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাওয়াতে কড়া গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে সোস্যাল মিডিয়াগুলো। (সূত্র: যুগান্তর)

বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অর্ধকোটির বেশি। এই মুহূর্তে দেশের ৫৪ লাখের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ফেসবুক ব্যবহার করছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্র্রতিক সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান নিজস্ব ব্লগপোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে এসব ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ পুরুষ এবং ১২ লাখ মহিলা। গত জুন মাসের ৫ তারিখে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ৮ লাখ। মাত্র ৬৮ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১৬ লাখ ব্যবহারকারী বেড়েছে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৮০ জন। এ হিসাব অনুযায়ী গত দুই মাসের ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৪ মাসে এই সংখ্যা ৮০ লাখে পৌঁছাবে। ব্লগে আরো বলা হয়েছে, যে কোনো দেশের মতো আমাদের দেশেও ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। সাম্প্র্রতিক সময়ে মূল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ফেসবুকের নাম এসেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ফেসবুকের উল্লেখ, রামুর ঘটনা, চাঁদের বুকে সাঈদী ইত্যাদি নানান কারণে অনেকে ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে দেশের মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার। ২০১২ সালের প্রথম দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখের বেশি। এ হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালে ১০ লক্ষ ব্যবহারকারী বেড়েছে। পরবর্তী দুইমাসে ১৬ লাখ বেড়েছে। এ দিকে মোবাইলফোন থেকে ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগের কারণে ব্যবহারকারীরর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন মুনীর হাসান। তিনি জানিয়েছেন এই ৫৪ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী আছে। (সূত্র: মানবকন্ঠ)