ময়মনসিংহে হাঁস

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 10 Feb 2016, 08:18 PM
Updated : 10 Feb 2016, 08:18 PM

ছবি ক্যাপশন : মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) : উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁসের পাল

ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় হাঁস পালন দিন দিন বাড়ছে । বিল অঞ্চল , উন্মুক্ত জলাশয় এবং মাছের খামারে হাঁস লালন পালন করে সংসারের বাড়তি আয় করছেন অনেকেই । উপজেলার ঘোগা , কাশিমপুর , দুল্লা , বড়গ্রাম, তারাটি , বাঁশাটি, খেরুয়াজানী, কুমারগাতা , বড়গ্রাম, মানকোন প্রভৃতি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় , বেকার যুবক যুবতী , বৌ ঝি এমনকি ছেলে ছেলে বুড়োরাও এই হাঁস লালন পালনের সাথে জড়িত । চাহিদা পূরণ হচ্ছে ডিম ও মাংসের । হাঁস লালন পালনকারীরা জানান, প্রথমে ৫/৬টি হাঁস লালন পালনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেন । লাভজনক হওয়ায় পরে তা বাড়তে বাড়তে শ'শ হয়েছে । হাঁস পালনে খরচ কম । ডিম দেয়া পর্যন্ত একটি হাঁস পালনে খরচ হয় ৮০ থেকে ১শ' টাকা । ৪/৫ মাস বয়স হলে একটি হাঁস আড়াইশ' থেতে দুইশ'আশিটি ডিম দেয় । দুল্লা গ্রামের কৃষক রিয়াজুল জানান, তিনি তার মাছের খামারে হাঁস লালন পালন করে প্রচুর টাকা আয় করছেন । উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রানা মিয়া জানান, হাঁস লালন পালন রোগ ব্যাধীর প্রতিকার বিষয়ক সরকারীভাবে ট্রেনিং দেয়া হয় ।
জানা যায়,হাঁস অ্যানাটিডি (Anatidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত পাখিদের বেশ কিছু প্রজাতির সাধারণ নাম। অ্যানাটিডি পরিবারের অন্য দুই সদস্য মরাল আর রাজহাঁস থেকে এরা আকারে ভিন্ন। হাঁসেরা এ শ্রেণীর বেশ কয়েকটি উপশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। শারীরিক দিক থেকে হাঁস চ্যাপ্টা ঠোঁট ও খাটো গলাবিশিষ্ট মাঝারি থেকে ছোট আকারের পাখি। স্ত্রী ও পুরুষ হাঁসের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। এদের ডাকও বেশিরভাগক্ষেত্রে ভিন্ন। পুরুষ হাঁস বছরে দুইবার পালক বদলায়। স্ত্রী হাঁস একসাথে অনেকগুলো ডিম পাড়ে এবং ডিমের খোলস রাজহাঁস বা মরালের মত খসখসে নয়, মসৃণ। বেশিরভাগ হাঁসই জলচর; স্বাদুপানি আর লোনাপানি দুই ধরনের পরিবেশেই এরা বিচরণ করতে পারে।