ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমান আদালত প্রশংসনীয়

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 29 June 2016, 04:18 PM
Updated : 29 June 2016, 04:18 PM


ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে খাদ্যে ভেজাল রোধ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, পরিবেশ রক্ষা, অবৈধ দখল,খাদ্যে ভেজাল,যানজটসহ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রেেণ কার্যকর ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে । ইতিমধ্যে ময়মনসিংহে এটি একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


জানা যায়, ভ্রাম্যমান আদালত হলো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারক কর্তৃক বিচারকার্য পরিচালনা এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিচারাদেশ প্রদান। ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট তার বিচারিক এখতিয়ার অনুযায়ী অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে, উপস্থিত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদেশ দিয়ে থাকেন। এটি একটি সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি। তবে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক প্রদত্ব বিচারাদেশের বিরূদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল রজু করা যায়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সাথে সম্পাদন করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান করার লক্ষ্যে প্রণীত আইন । জনস্বার্থে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সহিত সম্পাদন করার জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে কতিপয় অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমলে গ্রহণ করে দন্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা অর্পণ করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার লক্ষ্যে বিধান । এই আইন মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত ।

ময়মনসিংহে এবার ঈদের বাজারে আলোচিত বিষয় পোশাকে অন্যায্য দাম নেয়া ঠেকাতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। যাতে বেরিয়ে এসেছে, অস্বাভাবিক দাম নেয়ার অনেক ঘটনা। তাতে এগিয়ে নামী মার্কেটগুলো। ফলে আস্থার সংকটে পড়েছে তারা। তাই নড়েচড়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতে চালাচ্ছেন নানা চেষ্টা।


কাপড়ের অন্যায্য দাম নেয়া ঠেকাতে ভ্রাম্যমান আদালত-গেল সপ্তাহ থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন মার্কেটে এমনই ব্যতিক্রমী এক অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। দেশে যা এই প্রথম। অভিযানে মিলেছে অনেক অসঙ্গতি। এই যেমন, যে কাপড়ের দাম পড়ার কথা এক হাজার টাকা, বিক্রেতারা তা বিক্রি করছেন ১০ হাজার টাকায়। পোশাক বিকিকিনিকে ঘিরে এমন অস্বাভাবিক মুনাফার চেষ্টা দ্বন্দে ফেলেছে ক্রেতাদেরও। ফলে তৈরি হয়েছে এক ধরনের আস্থার সংকটও। পোশাক বেচাকেনায় সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক চিত্র মিলেছে নগরীর নামী মার্কেটগুলোতে। এরইমধ্যে যাদের সতর্ক করা হয়েছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছেন দোকান মালিকরা। চেষ্টা চলছে ক্রেতাদের আস্থা ফেরানোর। অভিযানের সুফলও মিলছে। বেচাকেনায় এখন রয়েসয়ে দাম হাকছেন অনেক দোকানী। আর এমন অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলছে প্রশাসন। পোশাক কেনাবেচার সব রসিদ যাতে সংরক্ষণ করা হয় দোকানীদের সেই নির্দেশনাও দিয়েছে প্রশাসন।


ময়মনসিংহ জেলার জনগনকে মাদকের ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মেয়াদ উর্ত্তীন খাদ্যদ্রব্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছেন।


মাদক, মেয়াদ উর্ত্তীন ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ বিক্রির দায়ে জরিমানা ও দন্ড দেয়া হচ্ছে । অভিযান অব্যাহত আছে , সচেতন ময়মনসিংহবাসী বলছেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের ফলে জনগন এর সুফল পেতে শুরু করেছে এবং সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।


ময়মনসিংহবাসী ভ্রাম্যমাণ আদাতালের সফলতার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জি.এম. সালেহ উদ্দিন, ডি আই জি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ,এডিএম আরিফ আহমেদ , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটট এরশাদ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট , পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।


জনস্বার্থে তথা ময়মনসিংহবাসীর কল্যাণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ।