ময়মনসিংহে ও মুক্তাগাছায় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহে শনিবার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অয়োজন করে।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে জনতা ব্যাংক লি. মহিলা শাখার এ.ই.ও মো: সৈয়দুর রহমানের কন্যা সন্তান সিদরাতুল মুনতাহা (সারা) কে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাইয়ে উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা: এ.কে.এম মোস্তফা কামাল।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: পরীক্ষিত কুমার পাড়, জেলা ইপিআই সপারিনটেনডেন্ট মো: এমদাদুল হক, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ জাবেদ হোসেন সহ এ সময় সরকারী কর্মকর্তা ও পৌরসভার দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এতে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের নীল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় ও সদরের ১৪৬ টি ইউনিয়ন ও ময়মনসিংহ পৌরসভার ৩টি কেন্দ্রে ০৬-১১ মাস বয়সী শিশু ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল প্রদান করা হয়। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ১ লক্ষ আই,ইউ, মোট সরবরাহকৃত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ২ লক্ষ আই, ইউ প্রদান করা হয়।
ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় 'ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান' এ আহ্বানের মধ্যে দিয়ে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শনিবার মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌরসভার উদ্যোগে পৃথক ভাবে ৫৯মাস নিচের শিশুদের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
সকালে পৌরসভায় একার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মোঃ শহীদুল ইসলাম একই সময়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান, ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন একেএম মোস্তফা কামাল, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ পরিক্ষীত পাল, ইউএইচএফপিও ডাঃ হারুন অর রশিদ, আরএমও সুদিপ কুমার বণিক প্রমুখ।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ মুক্তাগাছার প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম কল্লোলের নেতৃত্বে ২৬০জন স্বেচ্ছাসেবক প্রত্যেকটি ক্যাম্পেইন কার্য ক্রমে সহযোগিতা করেন। উল্লেখ্য এবার মুক্তাগাছা পৌরসভায় প্রায় ৭হাজার শিশু ও উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪১হাজার ৬শ ৮৯জন শিশুকে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
জানা যায়, এ বছর দুই কোটি শিশুকে এই ভিটামিন খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমের আওতায় এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র থেকে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে।