ময়মনসিংহে গড় অঞ্চলে আনারস চাষীদের চাষ পদ্ধতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হওয়ায়, অনারসের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত বিছরগুলিতে নতুন নতুন বাগান স্থাপন করা হয়েছে। রোগ ও পোকার উপদ্রব কম থাকায় প্রতি বছরই কৃষকরা আনারস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার একরে আনারস আবাদ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৭০/৮০ থেকে ১শ"টন পর্যন্ত আনারসের ফলন পেয়েছেন কৃষক। ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধুপুর, মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর এলাকার বিভিন্ন আনারস বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাজারে এবং বাগানে পরিপুষ্ট ফল।
চাষীরা জানান,আড়াআড়ি ভাবে সারি করে কোদাল দিয়ে জমি হালকা ভাবে তৈরী করে, বর্গাকার, আয়তাকার ও কুইন্সাল পদ্ধতিতে আনারস চারা লাগানো হয়। চুন,ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় সার প্রয়োগ করা হয়। গোবর, টিএসপি জমি তৈরি কালে এবং ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ সার ফুল আাসার আগে প্রয়োগ করা হয়।
আনারস গাছ করা রোদ সহ্য করতে লেবু, নারিকেল, সুপারী,কাজু বাদাম ও পেপে ইত্যাদি ফল বাগানে হালকা ছায়ায় আনারস ফলানো হয়। ফুল নিয়ন্ত্রন ও ফলের আকার বড় করতে হরমোন ব্যবহার করা হয়। মিলিবাগ পোকার উপদ্রবে সুমিথিয়ন,প্যরাথিয়ন ঔষুধ দিয়ে স্প্রে করা হয়। জানা যায়, কলার মত আনারস গাছে ফল দেয়ার পর প্রধান গাছটি মরে যায় (ঔষধী উদ্ভিদ) এবং সে গাছের কান্ড থেকে আবার নতুন চারা গজায়।
মুক্তাগাছা ও মধুপুর কৃষি অফিস সূত্র জনায়, গড় অঞ্চলের মাটি আনারস চাষের জন্য উপযোগী। বাজারজাত ও বিপণনে সমস্যা না থাকায় চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বড় আকারের আনারস শতকরা ৪ হাজার টাকা এবং মাঝারি শতকরা ১৮শ' থেকে ২৫শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যশোর ও কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা সীমিত আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের আনারস ভারতেও রফতানি করছেন।