ময়মনসিংহ শহরে কমছে ঘুঘুর ডাক

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 29 Sept 2016, 11:37 AM
Updated : 29 Sept 2016, 11:37 AM

ময়মনসিংহে শহরে লোক সমাগম আর যানবাহনের বিকট শব্দে কমে যাচ্ছে শান্তিপ্রিয় ঘুঘু পাখির ডাক। সুলভ এই পাখিটি এখন আর আগের মত সুর তুলে না।


৯০এর দশকেও শহরবাসীর ঘুম ভাঙতো ঘুঘুর ডাকে। ক্রমশ: সুর হারানো এই এদের বসবাসের উপযোগী দেশীয় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক আর টেলিফোনের নিচু তার হয়েছিলো আবাসস্থল। এটিও হাতের নাগালে হওয়ায় মানুষের রোষানলে পড়তে হয় তাদের।

অগত্যা এই এরা এখন সুর বাঁধার চেষ্টা করে সুচ্চ তারে। বদলে ফেলছে জুটিদের আলাপচারিতার সময়ও। দিন-দুপুরের সুরেলা ডাক বদলে বেছে নিয়েছে রাতের নিরালাকে। এদের আলাপচারিতা এখন অনেক উচ্চগ্রামে বাঁধা।


হাজারের দশক থেকে ময়মনসিংহ শহরে যানবাহনের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। পাল্লা দিয়ে উঠতে শুরু করেছে বহুতল ভবন। এই কর্মযজ্ঞে বিপুল শব্দের আধিক্যে ক্রমেই হারিয়ে গেছে ঘুঘুর ডাকের মত অনেক পাখির শিস।

সঙ্গীদের খুঁজে নিতে যা ছিল তাদের এক মাত্র ভরসা। শহরের প্রবীণরা জানান, এক সময় এই শহরে পাখিদের রাতের কোলাহল শুনা যেতো। রাত তিনটেতেও শুনেছি বিভিন্ন পাখির নিরবচ্ছিন্ন আলাপচারিতা। দেখেছি, রাত জেগে পরস্পরের বার্তা বিনিময়। অথচ এই এরা কেউ রাতচরা নয়।


বিশেষজ্ঞদের দাবী, দিনের শব্দময় শহরে অধরাই থেকে যাচ্ছে পাখিদের পরস্পরের বার্তা। সঙ্গীর কাছে বার্তা পৌছে দিতেই গলার স্বর অনেক উঁচুতে বেঁধে রাখছে ঘুঘুসহ অন্যান্য পাখিরা। কেবল শব্দ দূষণই নয়, শিকারীরাও ঘুঘু পাখির সংখ্যা কমাতে কম দায়ী নয়।