ময়মনসিংহে হরহামেশাই দেখা মিলতো সবুজ ধানী, কালো ফোটা, গেছো, কটকটি, বামন, সবুজ, কোলা, সোনাসহ বিভিন্ন নামের ব্যাঙ।
ক্রমশ: কৃত্রিম উপায়ে মাছ চাষ, আবাসস্থল ধ্বংস, কিটনাশক প্রয়োগ, নির্র্বিচারে অত্যাচারের কারণে দিন দিন ময়মনসিংহে সংখ্যায় কমে যাচ্ছে পরিবেশ বান্ধব উভচর প্রাণী এই ব্যাঙ। একসময় এই এরা আমাদের প্রতিবেশী হিসাবে বসবাস করতো।
লাখ লাখ মশার লার্ভা খেয়ে মানুষের রোগ মুক্তি করতো। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের দাবী, প্রাণীজগতের ভারসাম্য বজায় রাখার ত্র ব্যাঙের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্যশৃঙ্খলে সক্রিয় অবস্থান ছাড়াও বৃষ্টিপাত থেকে শুরু করে ভূমিকম্প, প্রকৃতির নানা ওঠা-পড়ার পূর্বাভাস দিতে পারে এই প্রাণীটি।
এ জন্যই একে 'এনভায়রনমেন্টাল ব্যারোমিটার' বলা হয়। অথচ ব্যাঙ সংরণে সে ভাবে কোনও চেষ্টা নজরে পড়ে না। যথেচ্ছ পরিমাণে কীটনাশকের ব্যবহার, ঝোপ-ঝাড় বিনষ্ট করে মানুষের আবাসস্থল নির্মাণ, ঘন বসতি গড়ে ওঠার কারণেও এই প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে।
অবশিষ্ট টিকে থাকা এই এদের খাদ্য শৃঙ্খল নষ্ট হওয়া থেকে বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এতে জীবজগতেও ভয়ঙ্কর প্রভাবের আশংকা গবেষকদের।
ব্যাঙ ধ্বংসের আরেক বড় কারণ, শিকারীদের টার্গেটে এরা যখন তাদের খাবারে পরিণত হয়।