ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলায় থোর ধরা আমন ধানের ক্ষেতে এবার ব্যাপকভাবে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন।
বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলা ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। কলাগাছ, লাঠি কিংবা বাঁশের কঞ্চিতে পলিথিন বেঁধে দিলে ও রাতে ফসলের ক্ষেতে টায়ার পোড়ালে ইঁদুর ভয়ে খেত ছেড়ে চলে যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যারা এ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন তারা সুফল পেয়েছেন। কৃষকেরা এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমনের খেত থেকে ইঁদুর তাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কালিবাড়ি গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ধান গাছে শীষ ধরেছে। ইঁদুর ধানের শীষ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলো। সে জন্যে ধান ক্ষেতের মাঝে পলিথিন বেঁধে দেয়া হয়েছে। কলা গাছও গেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাতাস লাগলে পলিথিন আর কলার শুকনো পাতা ফতফত শব্দ করে। তখন ভয়ে ইঁদুর পালিয়ে যায়। এটিতে খরচ খুব একটা নেই বললেই চলে। উপকারও পাওয়া যাচ্ছে।
লাঙ্গুলিয়া গ্রামের কৃষক লাল মাহমুদ বলেন, আমার ৫ কাটা আমন ধান ক্ষেতের সকল ফলস ইঁদুর খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে। এই ক্ষেতে শত শত ইঁদুরের গর্ত।
অবশেষে অন্য ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে বাঁশের কইঞ্চা আর কলার গাছ গেড়ে দিয়েছি। এখন সুফল পাচ্ছি। এটি দেখে শুধু ইঁদুরই পালায় না, বিভিন্ন পাখি এসেও ফসলের ক্ষতিকারক পোকা- মাকড় খেয়ে ফেলে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা ও ইঁদুর মারতে বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। খরচও বেঁচে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলেন, ফসল ভালো হলে খেতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যায়। ফলে ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।