ময়মনসিংহে ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি সুনোই ঘাটপাড় রঘুরামপুর খড়িয়া নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। উপরে রয়েছে এই বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর দু'পারে থাকা কয়েকটি গ্রাম। বাসিন্দাদের এই সাঁকো দিয়েই বারো মাস চলাফেরা করতে হয়।
সরকার আসে, সরকার যায়। নেতা – সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা এসে দেখে যান। কিন্তু হাল বদলায় না এই জীর্ণ সাঁকোর। স্বাধীনতার পর থেকে এই বাঁশের সাঁকোই ভরসা কয়েক হাজার মানুষের।
খড়িয়া নদীর এপারে রয়েছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত নিলগঞ্জ বদ্ধভুমি। দু'পাশে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, হাট-বাজার । প্রতিদিন বাঁশের এই সাঁকো পেরিয়ে, ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। প্রায় প্রতি বছর বর্ষার সময় এই বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনায় আর এখন খবর হয় না।
স্থানীয় নাগরিকদের ক্ষোভ, এই বাঁশের সাঁকোটি পাকা নয়, শুধু মেরামতের জন্য এখানকার মানুষ সাংসদ, জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, 'বর্ষায় কচিকাঁচাদের রীতিমতো বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এপার-ওপার আসা-যাওয়া করতে হয়। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তাদের অভিযোগ, সংসদ, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি নির্বাচনের সময় এই সেতুটি এখানকার ভোটে ইস্যু হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। ফলে এলাকার অসংখ্য মানুষকে নিত্যদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখানে পাকা সেতু নির্মানের দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচলের এই পথে একটি সেতু নির্মান জরুরি হলেও এ নিয়ে সরকার কিংবা প্রশাসন কারও মাথাব্যাথা নেই। ফলে স্বাধীনতার এত বছর পরেও ছবিটি পাল্টায়নি। ভূক্তভোগীদের ভাড়ি মালামাল নিয়ে ৩ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ৯ কিলোমিটার ঘুরে।