ময়মনসিংহে দুর্ঘটনায় নিহতদের সন্তানরা সরকারি আশ্রয়ে

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 29 Oct 2016, 04:23 PM
Updated : 29 Oct 2016, 04:23 PM

ময়মনসিংহের ফুলপুরে গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এরা হলেন, মোকামিয়া গুচ্ছ গ্রামের গার্মেন্ট কর্মী খোকন মিয়া, শামছুন্নাহার ছাইফুন, আজিজুল, সাগর, মোবারক ও মিনারা খাতুন।


এদের শিশুদের লালন পালন, শিক্ষা দীক্ষার দায়িত্ব নিলো জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। শনিবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই এতিমদের হাতে খাদ্য বস্ত্র তুলে দেন, জেলা প্রশাসক মো: খলিলুর রহমান। নিহত খোকনের অসহায় সন্তান বিলকিস (১৩), সাগর (৮), তানিয়া (৬) ও মোফাচ্ছেল (৩) দাদী সাহারা খাতুনের আশ্রয়ে আর জান্নাতুল (১০) নানীর কাছে গোয়াডাঙায় থাকতো।


জানা যায়, অসহায় এসব শিশুদের করুণ জীবনযাপন স্থানীয় সাংবাদিক বিল্লালের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বিল্লাল বিষয়টি নিয়ে ২৪ অক্টোবর তার ফেইসবুকে পোস্ট করলে দয়াবানদের হৃদয় স্পর্শ করে। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা সমবায় অফিসার কামরুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান বুধবার দুপুরে দুখি এসব এতিমদের মুখে হাসি ফোটাতে দ্রুত গুচ্ছগ্রামে চলে যান। সেখানে গিয়ে তারা তাদের গায়ে নতুন কাপড় পরিধান করিয়ে দেন আর খাদ্য তুলে দিয়ে মুখে হাসি ফোটান।


এ সম্বন্ধে অনলাইন পত্রিকা দৈনিক ময়মনসিংহ বার্তায় স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক এম এ মান্নানের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। উপজেলা সমবায় অফিসার কামরুজ্জামান বিষয়টি পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন বাংলাদেশকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রকল্পের পরিচালক ফেইসবুকে সংবাদ অবহিত হয়ে ডিজি সমাজসেবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


ডিজি জেলা ও উপজেলা সমাজসেবাকে এসব শিশুদের খোঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম শনিবার উপজেলার মোকামিয়া গুচ্ছগ্রামে শিশুদের ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন।


এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, উপ-তত্বাবধায়ক মোছাঃ নাজনীন নাহার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান প্রমুখ ।