ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের বেড়ী বাঁধের পাশে সরকারী বেসরকারি অংশিদারীর (পিপিপি) ভিত্তিতে রোপিত নারিকেল গাছে মড়ক লেগেছে।
দৃষ্টি নন্দন প্রকল্পের আওয়াতায় প্রায় এক যুগ আগে গাছগুলি রোপন করা হয় । বিশালাকার এই গাছগুলি মড়কের জন্য প্রশাসন গাছগুলির উপর দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুতের তারকে দায়ী করেছেন।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের দাবী, পরিবেশদূষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনটি ঘটতে পারে। আবার নারিকেল গাছের আগামরা রোগও হতে পারে।
ডাবের ওপর ধূসর রং ধারণ করলে ধরে নেওয়া যায় ফাঙ্গাস রোগ হয়েছে। ফাঙ্গাস ইনফেকশন হলে কচিপাতা মারা যায়। আবার মাজরা পোকার মতো বড় বড় পোকা নারিকেল গাছের কচি পাতা গাছের মাথার ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। এতে ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়। ২/৩ সপ্তাহের ব্যবধানে গাছের মাথায় ও পাতায় কমপক্ষে তিনবার ছত্রাক ও কীটনাশক স্প্রে করে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া, কয়েক মাস অন্তর নারিকেল গাছের গোড়া থেকে দুই ফুট ওপর পর্যন্ত চারদিকে চুনের প্রলেপ দিতে হবে। এতে নারিকেল গাছ মারা যাওয়া থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে।
তবে কৃষি বিভাগের অনেকই বলেছেন, গাছের পরিচর্চা এবং ছত্রাক ও কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করে গাছ মারা যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) আ ন ম ফয়জুল হক জানান, সরেজমিনে গাছগুলি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে।
তিনি বললেন, দেখি কি করা যায় । ইউএনও বলেন, গাছগুলো কাটার অনুমতি দিতে কষ্ট হচ্ছে।