ময়মনসিংহে হাসপাতাল রোগীরা আতংকে

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 20 Nov 2016, 07:06 PM
Updated : 20 Nov 2016, 07:06 PM

আগেও বহুবার রোগীরা এসেছেন প্রাচীন শহর ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু এমন কম্পিত আতঙ্কিত রোগীদেরকে অস্বাভাবিক আগে দেখেননি কেউ। ছিলো স্বাভাবিক। ১৯৬০ সালে গড়া এই হাসপাতালে পাঁচ দশক অনেক রোগীর আনাগোনা হয়েছে। এর মধ্যে খুচরো আতংক অনেক হলেও এত বড় আতংকের ভীতি এই প্রজন্ম খায়নি।


এই হাসপাতালে সাংবাদিকদের ক্যামেরা বের করা তো দূরের কথা, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে ভবনের ছবি তুললেও অনেক জবাবদিহীতার সন্মুখিন হতে হতো। কিন্তু আজ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ গাইনি, সার্জারি, মেডিসিন ও চক্ষু ওয়ার্ডে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীরাই ওয়ার্ডগুলির দেয়াল, ছাদ ও ভিমগুলির দিকে তাকিয়ে। মূল ভবনের চূড়ায় বিরাট ফাটল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। ফাটলের চিত্র আশপাশের দেওয়ালেও। উৎসাহী রোগীর আত্নীয়-স্বজনদের অনেকেই মোবাইল বের করে যথেচ্ছ ছবি তুললেন। নেই ধমক, নেই চোখরাঙানি।


হাসপাতালের ৪, ৭ এবং ১৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন দিকে তাকালে নজরে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায় ফাটলের চিহ্ন। আড়াআড়ি বিরাট ফাটল। আতঙ্কের রেশ রোগীদের গলায়।
দেওয়াল ছাদজুড়ে অজস্র ফাটলের চিহ্ন। অভিজ্ঞমহল বলছেন, কেন যে এই ওয়ার্ডগুলি অন্যত্র সড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না? তা কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন । গেলো ক'দিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গাল মন্দ পাড়ছেন এখানকার মানুষ, রোগী এবং তাদের স্বজনরা।


সরেজমিনে রবিবার বিকালে এখানে এসে দেখা ও জানা যায়, সম্প্রতি পুরনো ৪টি ওয়ার্ডের বিল্ডিংএর দেয়ালে ও গ্রেডভিমে আকষ্মিক ফাটল দেখা দিয়েছে । এতে এখানকার ৩ শতাধিক রোগী আতংকিত হয়ে বারান্দা, সিঁড়ির নিচে ও করিডোরে আশ্রয় নিয়েছেন। ওয়ার্ডগুলির প্লাস্টার খুলে রড বেরিয়ে আসছে। বারান্দায় শীতের কনকনে হাওয়ায় রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা জবুথবু। অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার তারা।

তবে, এরই মাঝে ক'টি ওয়ার্ডে ফাটলের সংস্কার করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দাবী করেছেন, হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. লক্ষী নারায়ণ মজুমদার । গেলো দু'দিন ধরে ফাটলের সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সমাধানের লক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রোগী ও ভূক্তভোগীগণ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ।