ময়মনসিংহে ব্রিজ তামাশা

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 23 Nov 2016, 07:10 PM
Updated : 23 Nov 2016, 07:10 PM


ময়মনসিংহে সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নে ডিগ্রিপাড়া ও চররাঘবপুরে অল্প জায়গার ব্যবধানে এ ধরনের দুটি ব্রিজ করা হয়েছে। সচিবের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের গোঁড়ায় মাটি নেই! বিষয়টি আশ্চর্য লাগে। মনে হয়, পারাপারের জন্যে নয় যেন দর্শনার্থীদের দেখা বা তামাশা দেখানোর জন্য ব্রিজ করা হয়েছে। ব্রিজগুলো ব্যবহার উপযোগি করা হলে ডিগ্রিপাড়া, চররাঘবপুর, কুষ্টিয়াপাড়া, কাচারীবাজার, মৃর্ধাপাড়া, বৈঠামারী, রেহাইতারাপুর, মহিষমারী, ডেবুয়ারচর, সেনেরচর, ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর, চরবাহাদুরপুরসহ দশ গ্রামের মানুষ শিক্ষা সংস্কৃতি ও চলাচল সুবিধাসহ নানাভাবে উপকৃত হতে পারবে।

জানা যায়, বোররচর ইউনিয়নের ডিগ্রিপাড়া ও চররাঘবপুর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর সংযোগ স্থলে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৪ সনের ২১ মে উহা ময়মনসিংহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ওয়ালিদ উহা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রায় দুই বছর গত হয়ে গেলেও ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারেনি জনগণ।

ব্রিজের গোঁড়ায় দু'পাশে মাটি ও সংযোগ সড়ক না থাকায় শুকনা মৌসূমে নিচ দিয়ে আর বর্ষা মৌসূমে নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হয়। ব্রহ্মপুত্র থেকে বের হয়ে আসা বিশাল নদীর মাঝে এ ধরনের ছোট্ট ব্রিজ বেমানান হলেও যদি উহা ব্যবহার করা যেত তাহলে ময়মনসিংহ সদর ও ফুলপুর উপজেলার প্রায় দশ গ্রামের মানুষ তাদের শিক্ষা দীক্ষা ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করাসহ নানামুখি সুবিধা পেত।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বৈঠামারী গ্রামের ডা. মোঃ শাহা আলী জানান, এই রাস্তায় আজও পর্যন্ত কোন মাটি পড়েনি। ফলে এ ব্রিজ জনগণের কোন কাজে আসছে না। মৃর্ধাপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ সরকার বলেন, ব্রিজ না থাকায় আমরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না। এমনকি আমরা সামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছি। বৈঠামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মুল পাল জানান, ব্রিজ ও রাস্তাঘাটের অভাবে এলাকাটি শিক্ষার দিক দিয়ে এই এলাকা পিছিয়ে রয়েছে।

বোররচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শওকদ আলী (বুদু)'র নিকট ব্রিজটিতে মাটি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বরাদ্দ না পাওয়ায় মাটি ভরাট করা যাচ্ছে না। এলাকাবাসি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ রইস উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের গোঁড়ায় মাটি নেই! দুঃখ আর রাখব কোথায়। জরুরি ভিত্তিতে তারা ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগি করার দাবি জানান।